জগত মদন গাছের ভেষজ উপকারিতা।
![]() |
|---|
জগৎ মদন গাছ গ্রাম অঞ্চলে বাড়ির পাশে বেড়া দেওয়ার জন্য বেশ ব্যবহার হয়ে থাকে এই গাছের। এটি একটি ঔষধি গাছ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এই গাছ জন্মাতে দেখা যায়। সাধারণত পরিত্যক্ত জায়গায় বেশি জন্মে। যদিও এই শহর অঞ্চলে দেখা যায় না তবে গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে এই গাছ সচারাচর দেখা মেলে। এই গাছের ভেষজ গুনাগুন রয়েছে যা অনেকের অজানা চলুন জেনে নেওয়া যাক জগৎ মদন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে।
এই গাছের পাতা গাড়ো সবুজ পাতার নিচের অংশ হালকা সবুজ রঙের কান্ড কুচকুচে কালো। এর পাতা ছিড়লে হালকা আঠালো রস বের যার বাদ হালকা মিষ্টি। এর বৈজ্ঞানিক নাম জাস্টিসা গেন্ডারিকা। এর উচ্চতা সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এই উদ্ভিদ ছায়া যুক্ত স্থানে বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এর একটি বিশেষত হলো এই গাছ গরু বা ছাগল এর পাতা খায় না। ডিসেম্বর থেকে মে এই গাছে সাদা রঙের ফুল ফুটে।
বহুকাল আগ থেকেই এই জগতমদন গাছের ঔষধি ব্যবহার হয়ে আসছে। এই গাছের পাতা, কান্ড ও শিকর বিভিন্ন রকমের ভেষজ ব্যবহার করা হয়।
✅ এ গাছ দাঁত ব্যাথ ও মাড়ি ফোলায় ব্যবহৃত হয় এই অসুখে জগতমদন গাছের পাতা মিহি করে সেই পাতা দিনে একবার দাঁতের মাড়িতে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে এইভাবে চার থেকে পাঁচ দিন করলে ভালো হয়ে যাবে।
✅ হাঁপানি জনিত সমস্যায় এ গাছের পাতার সাথে রসুন বেঁটে ভালো করে মিশিয়ে সিরাপের মত করে দিনে দুই বার টানা এক মাস খেলে হাঁপানি ভালো হবে।
✅ সর্দি কাশি হলে এর পাতা পিষে রস বের করে সেই রস পানিতে মিশিয়ে পরিমান মত খেতে হবে তা হলে উপকার পাওয়া যাবে। এ পাতার রস বাসক পাতার বিকল্প হিসাবে ব্যআহার করা যেতে পারে।
✅ ফোঁড়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারলে এর পাতা পুড়ে ছাই বানিয়ে একটানা সাতদিন ফোঁড়ার উপর ব্যবহার করলে ব্যথা অনেক কমে যাবে। এছাড়াও গা-ব্যথায় এর পাতার রস পানিতে সিদ্ধ করে সেবন করলে উপকার পাওয়া যাবে।
✅ বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ালে বা ফুঁড়লে এর পাতা পিষে রস আক্রান্ত স্থানে ব্যআহার করলে সংক্রামন হওয়ার ঝুঁকি থাকে না ব্যথাও অনেক কমে যায়। এছাড়াও পেট ব্যথা বা বমি হলে এর পাতার রস অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
![]() |
|---|
বিঃ দ্রঃ উপরে উল্লেখ্য চিকিৎসা পদ্ধতি সবার ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল বয়ে নাও আনতে পারে। তাই বাড়িতে নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন অথবা একজন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শে ব্যবহার করাই উত্তম।
উপরে উল্লেখ্য তথ্য গুলোর মধ্যে কিছু তথ্য গুগল থেকে নিয়ে নিজের মত করে লেখা।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the Herbal benefits of willow-leaved justicia plant.
| Device name: | Vivo Y21 |
|---|---|
| Camera: | 13 megapixels |
| Shot by: | @shasan705 |
| Location: | Bangladesh🇧🇩 |






জগত মদন এই গাছটি দেখেছি কিন্তু কোনদিন এর নাম জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম এই গাছটির নাম কি জগত মহন গাছ। আপনার পোস্ট পড়ে দেখলাম এই গাছটির অনেক উপকারিতা দিক আছে। গাছটি একটি ঔষধীয় গাছ। আমাদের বাড়ির চার আঙিনা এই গাছগুলো দেখা যায় তবে এর ঔষধি গুনাগুন জানা ছিল না। দাঁতের ব্যথা ও মাড়ি ফোলায় ব্যবহার করা হয়, হাঁপানি রোগে ব্যবহার করা হয়, সর্দি-কাশিতে কাজে লাগে।
থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি টপিক আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করলেন।
এটি বাসক পাতার মতো কাশির জন্য অনেক উপকারী। এই গাছ শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি দেখা মিলে। আমাদের চারপাশে এরকম অনেক উদ্ভিদ আছে যাদের বাম আমরা জানি না বা এর ভেষজ গুন সম্পর্কেও জানি না। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
তবে ঠিক বলেছেন আমাদের চারপাশের আঙিন অনেক ঔষধি গুনাগুন পাতা রয়েছে যেগুলো আমরা চিনি না। যেমন জগত মদন পাথাটা আমাদের চারপাশে আছে কিন্তু নামে আমি চিনি না কিন্তু এই পাতাটারে অনেক ঔষধি গুনগুন আছে। এরকম ভাবে আমাদের চোখ থেকে অনেক ঔষধি পাতায় এড়িয়ে যায়।
থ্যাঙ্ক ইউ আমার কমেন্টটি পরিদর্শন করে খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই দিলেন।
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি লিখা এবং উপকারী কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। মূলত আপনি যে গাছটির কথা লিখেছেন আমাদের এলাকায় আগে এই গাছটি আমি প্রচুর দেখেছিলাম। তবে নাম কোনদিন জানা হয়নি। আজ আপনার কাছ থেকে জানলাম এই গাছের নাম জগত মদন। বাড়ির চারদিক কিংবা কোন জংগলের চারপাশে এই গাছগুলো প্রচুর দেখা যায়। মানুষ সাধারণত বেড়া দিতে এই গাছগুলো ব্যবহার করে থাকে।
আপনি এই গাছের বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমার এসব গুণ সম্পর্কে একদম ধারণা ছিলো না। আমরা ছোটবেলায় শুধু এই গাছের সাদা ফুল দিয়ে খেলা করতাম। ধন্যবাদ ভাই আপনার লিখার জন্য। ভালো থাকবেন।
গ্রামের দিকে এখনো এই গাছ বাড়ির পাশে বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় আমি নিজেও এই গাছের নাম জানডাম না একটি ভিডিও এর মাধ্যমে জানতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
এই জগত মদন নামের গাছ আমি কখনো দেখি নাই। জগত মোহন নামের গাছের নামও শুনি নাই। এই গাছে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এই গাছ গ্রাম অঞ্চলে এখনো বাড়ির পাশে বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় যদি কখনো গ্রামে বেড়াতে যান রাস্তার পাশে বাড়ি গুলোতে ভালো করে লক্ষ করলে এই গাছের সন্ধান পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
জগত মদন গাছকে মনে হয় আমাদের এখানে বাসক পাতা গাছ বলে তবে আমি ঠিক শিওর নই এ ব্যাপারে। এই গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্বন্ধে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়েই আমি প্রথম জানতে পারলাম যে গাছের পাতা দাঁতের ব্যথা ও মাড়ি ফোলায় ব্যবহার করা হয়, হাঁপানি রোগে ব্যবহার করা হয়, সর্দি-কাশিতে কাজে লাগে এবং এমনকি ফোঁড়ার যন্ত্রণার থেকেও উপশম দেয়।
এই গাছ দেখতে প্রায় বাসক পাতার মতো তবে বাসক পাতা আরো বড় হয় এই গাছ আর বাসক গাছ একই গোত্রের কিন্তু দুটো গাছেই আলাদা। ধন্যবাদ ভাই আমার লেখা পড়ার পর এত সুন্দর একটা মতামতের জন্য
হাঁ হাঁ হাঁ। ভাই গাছটির নাম শুনে আমার ভীষণ হাঁসি পেয়েছে। কেমন জানি একটা নাম। ঐ যেমনটা হয় আর কি, কারণ আমরা তো সেই সমাজেই থ কি যেখানে কারো গুনাবলির থেকে ও বাইরের চাকচিক্যের মূল্য বেশি।
এইসব নাম তো মানুষেরই দেওয়া। তবে ঠিক বলেছেন আমাদের সমাজে ভিতরের গুণাবলি থেকেও বাইরের চাকচিক্যকে বেশি প্রাধান্য দেয় এটাই এখন সমাজের নিয়ম। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
এই গাছ গুলোকে আমি চিনি তবে এই গাছের নাম যে জগত মদন সেটা জানতাম না ৷ আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে এই গাছের নাম সহ এই গাছের ঔষুধি ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারলাম ৷ বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আমাদের এই সবুজ প্রকৃতিতে সকল কিই মানব ক্যালাণের জন্যই। প্রত্যেক উদ্ভিদে কোন না কোন ভেষজ গুনাগুন রয়েছে তবে তা আমাদের জানতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ে সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই গাছের পাতা নিয়ে ছোটবেলায় অনেক খেলা করেছি। কিন্তু এই গাছের আসল নাম জানতাম না। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই গাছের নাম জানতে পারলাম। বা এর গুনাগুন সম্পর্কেও কোন ধারণা ছিল না। এই পাড়া নিয়ে ছোটবেলায় আমরা টাকা টাকা খেলা করতাম। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট করেছেন যা আমাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
আমরাও শৈশবে নানুর বাড়িতে এই গাছের পাতা দিয়ে অনেক খেলেছি এর ফুল থেকে মধু খেয়েছি। তবে আমিও এর জানতাম না একটি ভিডিও এর মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
এই গাছগুলো আমাদের বাড়ির রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। কিন্তু এই গাছের নাম যে জগত মদন, সেটা আমার জানা ছিল না। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার পর জানতে পারলাম। সেই সাথে আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং এই গাছের ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আসলে সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যেই আমাদের উপকারিতা তৈরি করেছে। আমরা সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে, চমৎকার গাছ সম্পর্কে আমাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
হ্যা এটা ঠিক সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে কোন কিছু অনার্থক সৃষ্টি করেন নি এই সবুজ প্রকৃতি মানব ক্যালাণে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের চারপাশে এরকম অনেক উদ্ভিদ আছে যাদের ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে আমরা কেউ জানি না। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
মাঝে মাঝেই ভেষজ ঔষধ যখন কিনতে যাই। তখন জানতে পারি বিভিন্ন ধরনের লতা পাতা দিয়ে এই ঔষধ গুলো তৈরি করা হয়েছে। সেই লতাপাতা আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অথচ তাদের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে যেমন আপনি এই বিষয়টা আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। ঠিক তেমনি আমাদের চারপাশে আরো নানা ধরনের গাছ রয়েছে। অবশ্যই সেগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
এই গাছ আমি আজকেই প্রথম দেখলাম। এর নামটাও আমার কাছে একদম অপরিচিত মনে হয়েছে। তবে এর ভেষজ গুণ জেনে মনে হচ্ছে কেন এতদিন এই গাছ আমার কাছে অজানা ছিল।
ভাইজান এই গাছ গ্রাম বাংলায় প্রায় চোখে পড়ে বাংলাদেশের সর্বোত্র দেখা পাওয়া যায় হয়তো দেখেছেন কিন্তু খেয়াল করেন নি তাই চিনতে পারছেন না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।