Recipe || আম মাখা
আসসালামু আলাইকুম। এই গরমে আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। গরমে সবারই শরীর কম বেশি খারাপ হয়ে যায়। তবে এই সময় যদি আমরা একটু টক জাতীয় খাবার খাই তাতে শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আর গাছে যখন নতুন আম ধরেছে তখন মনে হলো একটু আম ভর্তা খেতে। আজ অনেকদিন পরে আম ভর্তা খেতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আজ আমি কিভাবে আম ভর্তা তৈরি করলাম সেই পদ্ধতিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
---|---|
আম | ৪ টি |
শুকনা মরিচ | ২ টি |
বিট লবণ | পরিমাণমতো |
চিনি | ২ টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি চারটি আম ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি এবং আমের খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
আমগুলোকে টুকরো করে কেটে নিয়েছি এবং বিচি ফেলে দিয়েছি।
এরপর একটি গ্রেটারের সাহায্যে আমগুলোকে গ্রেট করে নিয়েছি।
এরপর শুকনা মরিচ ও লবণ একত্রে মেখে নিয়েছি।
মেখে রাখা মরিচ লবণের ভিতরে এবার কুচি
করে রাখা আম দিয়ে দিয়েছি।
কুচি করে রাখা আমের ভিতরে এবার চিনি ও সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি।
আর এইভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আম ভর্তা।
কি যে মজা হয়েছিল এই আম ভর্তা খেতে। আশা করি আপনারাও এইভাবে ভর্তা করে খাবেন। এই গরমের ভিতরে আম ভর্তা খেতে কার না ভালো লাগে। এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আপনার আম মাখা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আগে পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুরা সবাই মিলে এভাবে আম মাখা তৈরি করে খেতাম সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতাম। এখন ব্যস্ত থাকার কারণে আর আম মাখা তৈরি করা হয়। শুকনা মরিচ এবং বিট লবণ দেওয়াতে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয় । এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া সব বন্ধুরা মিলে একসাথে আম ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এই মজার সময় গুলো ব্যস্ততার কারণে হারিয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাছে এখন নতুন আম ধরেছে। আম মাখা খেতে ভীষণ মজা লাগে। গতকাল আমি আম মাখা খেলাম বেশ মজা লেগেছিলো। আজকে তো আবার আপনার পোস্ট দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। অনেক সুন্দর করে আম মাখা তৈরি করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার আম মাখা দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে আপু। অনেকদিন ধরে খাওয়ার ডিসিশন নিয়েছি কিন্তু খাওয়া হয়নি। আপনার আম্মা খাওয়া দেখে লোভে পড়ে গেলাম। প্রতিটি ধাপ আপনি বেশ চমৎকারভাবে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল এত পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এই গরমে আম ভর্তা করে খাওয়ার সময় বের করে নিয়েন ভাইয়া। এতে শরীরের বেশ উপকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আম মাখা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনি গাছের নতুন আম দিয়ে আম মাখা রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। ঠিকই বলেছেন এর গরমে একটু টক জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা আম লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়া হয়েছে। তবে বছর এখনো ভর্তা করে খাইনি। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভনীয় লাগছে। মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আম ভর্তা খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে আম ভর্তা রেসিপি তুলে ধরেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। আর এভাবে আম ভর্তা করলে খেতেও বেশ ভালো লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আম মাখা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে এই গরমে একটু ঝাল কমিয়ে খেলে ভালো হয়। কারণ আমের সাথে যদি একটু বেশি ঝাল দিয়ে খাওয়া হয় তাহলে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। গত কয়েকদিন আগেই আমরা কিন্তু আম মাখা খেয়েছিলাম। খুব মজা লেগেছিল। আসলে আমের সিজনে যদি আম মাখা খাওয়া না হয় তাহলে কমতি থেকে যায় যেন। খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
আপু আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন গরমে ঝাল কম খেতে হয়। ঝাল বেশি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই গরমে কাচা আম মাখা অনেকটাই রিফ্রেশ করে তোলার উপযুক্ত টোটকাই বলা যায়!! বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই এই কাচা আম মাখা টা করা যায়। আপনি সবচেয়ে সিম্পল ভাবে কাচা আম মাখা টা উপস্থাপন করেছেন। তবে এর সাথে হালকা কাসুন্দি কিংবা মিহি সরষে বাটা ব্যাবহার করলে আরও জমে যেত কিন্তু! ( মানে ওটা আমার পার্সোনাল ফেভারিট আর কি! 😋)
সত্যি কথা বলতে কি আপু কাসুন্দি আমি খুব একটা পছন্দ করি না। আম মাখাতে একজন খাবে আরেকজন খায় না সেজন্যই কাসুন্দি দেয়া হয়নি। তবে কাসুন্দি দিলে এর মজাটা আরো বেড়ে যেত সত্যি বলেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গরমের সময় এই জাতীয় টক ফল গুলো খেতে ভালো লাগে এবং শরীরও খুব ভালো রাখে। আজকে আপনি আম খুব সুন্দরভাবে কুচি কুচি করে কেটে এরপর মাখিয়ে দেখিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই অনেক রেসিপি দেখে। আশা করি খেতেও বেশ ভালো লেগেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আম ভর্তা আমার অনেক পছন্দের। তবে আম খাওয়ার মতো যথেষ্ট বড় এখনো হয়নি। আরেকটু বড় হলে আমগুলো খাওয়া শুরু করব হা হা। আমের ভর্তাটা আপনি দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখেই লোভনীয় লাগছে। পাশাপাশি প্রতিটা ধাপ খুবই চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। একটা কথা ঠিক গরমে টক জাতীয় ফল বেশ উপকারী।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি মাখা দেখেতো আমার জিভে জল চলে আসলো। আম মাখা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমি দুই দিন আগে বাসায় এই কাঁচা আম মাখা তৈরি করেছিলাম। খেতে বেশ মজাদার হয়েছিলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আম মাখা তৈরি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।