ভালোবাসলে কখনো ছেড়ে যেতে হয় না

ভালোবাসলে কখনো ছেড়ে যেতে হয় না

1000000744.png
ছবির উৎস

নীরার সাথে সোহানের প্রথম দেখা হয়েছিল এক শরতের সন্ধ্যায়। তারা দু’জনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র। নীরা ছিল চঞ্চল, হাসিখুশি আর সোহান ছিল শান্ত, গভীর চিন্তক। তাদের পরিচয়টা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানে। তাদের বন্ধুত্ব হয় এবং তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিনত হলো। একসাথে পড়াশোনা, ঘুরে বেড়ানো, আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনা সবকিছুতেই যেন ছিল প্রেমের আনন্দ। সময় যেন উড়ে চলে যাচ্ছিল, তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ছিল সুখময়।

1000000745.jpg
ছবির উৎস
কিন্তু জীবনের নিয়মেই সুখের দিনগুলো অতিক্রম করে কঠিন সময়ও আসে। সোহানের একটি স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ এলো। একদিকে ছিল স্বপ্নের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আরেকদিকে ছিল নীরার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তের মায়া। সোহান দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লো, কিন্তু নীরা তাকে সাহস দিলো। তুমি যাও সোহান, আমি জানি তুমি আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে, নীরার কথা গুলো ছিল মধুর কিন্তু বেদনাময়।

বিদায়ের দিনটা ছিল তাদের দুজনের জন্য সবচেয়ে কঠিন। এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। সময় যেন থেমে গিয়েছিল সেই মুহূর্তে।

সোহান বিদেশে গেল, আর নীরা অপেক্ষায় থাকলো। সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে লাগলো। একদিন চিঠিতে নীরা জানালো, "সোহান, আমি আর পারছি না। আমাদের পথ ভিন্ন হয়ে গেছে।" সোহানের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরলো, কিন্তু সে জানত, এটি তাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত।

বছর গড়াল, সোহান জীবনে সফল হলো, কিন্তু নীরার স্মৃতি তার হৃদয়ে রয়ে গেল। আর নীরা, সে তার জীবনে নতুন পথে পা বাড়ালো। প্রেমের আনন্দের স্মৃতি গুলো তার বুকে রেখে এগিয়ে গেল।

আজকে এই পর্যন্ত পরে অন্য কোন গল্পে দেখা হবে।

গল্পটা পড়ে কেমন লাগলো সবার।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

কথা কিন্তু ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভালোবাসলে সারাজীবন এক সাথেই চলতে হয়