মরিচ বিক্রির আগে অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার মরিচ বিক্রি করার মুহূর্ত নিয়ে,

ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।

গতকাল সকালে আমাদের জমি থেকে প্রায় এক বস্তা সতেজ মরিচ তোলা হয়েছিল বাজারে বিক্রি করার জন্য। আমার শ্রদ্ধেয় মা খুব যত্ন সহকারে এই সমস্ত মরিচগুলো তুলেছেন। মরিচ তোলার পর আমি নিজেই মাঠ থেকে মরিচগুলো আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর, বাড়ির উঠোনে সমস্ত মরিচগুলো একটি পরিষ্কার জায়গায় অনেকটা স্তূপ করে রাখি।

কিছুক্ষণ পরে আমি মরিচগুলো সাবধানে দুই ভাগে বিভক্ত করি। আসলে এই দুই ভাগে বিভক্ত করার পেছনে একটি বিশেষ কারণ ছিল। তা হলো, আমাদের জমিতে দুই জাতের মরিচ লাগানো হয়েছে। প্রথমটি হলো 'কারেন্ট মরিচ', যা তুলনামূলকভাবে বাজারে অনেক দাম বেশি হয়ে থাকে। এই মরিচটি দেখতে চিকন এবং স্বাদে অনেক বেশি ঝাল হয়, যার কারণে এর চাহিদা বেশি।

আরেকটি জাত হলো 'সাদা মরিচ'। এই মরিচটি কারেন্ট মরিচের চেয়ে দাম কম পেয়ে থাকি। কারণ এই মরিচটি দেখতে আকারে অন্যরকম, একদম সাদা এবং মরিচটি একটু মোটা হয়, যার কারণে দাম কম হয়।

মরিচগুলো দুই ভাগে বিভক্ত করে, ওজন মেপে আমি প্রতিটি জাতের মরিচকে আলাদা আলাদা শক্ত বস্তায় ভরে অটো আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের এলাকার এক পরিচিত চাচার অটো আসলো। তারপর আমি সেই অটোতে করে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বাজারের দিকে রওনা হলাম।

তবে, বাজারে পৌঁছানোর আগেই একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলো। বাজারের প্রায় খুব কাছাকাছি চলে গেছি, আর মাত্র দুই মিনিট গেলেই আমাদের গন্তব্য বাজার। এরই মধ্যে আমাদের চাচার অটোটি একটি ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে হঠাৎ সংঘর্ষে সামনের কাঁচের গ্লাসটি ভেঙ্গে যায়। এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনায় হাসিখুশির মধ্যে থাকা চাচার মনটা একদম বিরক্ত হয়ে পড়েন।

আসলে, এই দুর্ঘটনার জন্য চাচার কোন দোষ ছিল না। প্রায় সকল দোষ ছিল ঘোড়ার গাড়িওয়ালার। কিন্তু মুশকিল হলো, ঘোড়ার গাড়িওয়ালা লোকটি আমাদের এলাকারই খুব পরিচিত একজন। তাই চাচা তার কাছ থেকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ নিলেন না। বিরক্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাদের বাজারে পৌঁছে দিলেন। অবশেষে আমি মরিচগুলো বিক্রি করে সঠিক সময়ে বাড়িতে ফিরতে পারলাম।

বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।

---

---

আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।

ফটোগ্রাফির বিবরণ

📱 ডিভাইসের নাম	📍অবস্থান	ক্যাপচার📸 দ্বারা
Redmi note 10 pro max	Jamalpur/BD	@alimtutorial
-	-	-

---

ধন্যবাদ

---

---

@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin

আমার পোস্টটি দেখার জন্য

---

শুভেচ্ছান্তে
@alimtutorial

_{Posted using SteemX}