আমার করা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি | |
আসসালামুয়ালাইকুম / আদাব 🩵
Device-Redmi note 10
আমরা বন্ধুরা মিলে একদিন নেত্রকোনা বিরিশিরি ঘুরতে যাই ।আমার বাড়ি ময়মনসিংহ বিধায় আমার বাড়ি থেকে খুব দূরে না জায়গাটি। ঐখানে অনেক ছোট বড় পাহাড় আছে ।এই ছবিটি সেই পাহাড় গুলার একটির ছবি।পাহাড়ের কাছে যেতে আমাদের বেশ সময় লেগেছিল।আমাদের এক লোকাল বন্ধু ছিল,ও অনেক পাড়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের নিয়ে গিয়েছিল ।যাতে আমরা সেই পাড়াগুলোর সুন্দর্যও উপভোগ করতে পারি ।পাহাড়টি দেখতে অসাধারণ ছিল।সময় গুলো খুব সুন্দর কেটেছিলো। সাধারনত যে কোনো জায়গায় গেলেই খুব ভালো লাগে।তবে বন্ধুদের সাথে গেলে আরও বেশি ভালো লাগে।
চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরে যাওয়ার যাত্রা পথে একটি স্টেশনে ট্রেনটি থেমে ছিল।তখন আমি ট্রেন থেকে নেমে এই ছবিটি তুলে ছিলাম।স্টেশনটির নামটা ঠিক মনে নেই।বেশ অনেক দিন আগের বিধায় ছবিটি স্টেশনটির নাম মনে নেই।তবে স্টেশনটি তেমন বড় ছিল না ।ছোট হলেও স্টেশনটি বেশ সুন্দর ছিল। আমরা সে খানে চা সাথে বেশ অনেক কিছু খেয়েছিলাম। স্টেশনটি ছোট ছিল বিধায় জিনিস গুলোর দাম খুবই কম ছিল অন্যান্য স্টেশনের তুলনায়।
এই ছবিটি তুলেছিলাম মিরপুর -১০ মেট্রো স্টেশনে।আমি আমার এক বন্ধুর সাথে শাহবাগ যাওয়ার সময় যখন মেট্রো রেল এর জন্য দাঁড়িয়ে দিলাম ঠিক তখনই এই সুন্দর ঘড়িটির দিকে চোখ যায়।রাতের সময় ছিল বিধায় ঘড়িটি লাইটের আলোতে আরও বেশি সুন্দর লাগছিল।ঘড়িটি দেখে মনে হচ্ছিল সময় যে কীভাবে চলে যায় আমরা তা টেরই পাই না।আসলেই সময় কারো জন্য কখন অপেক্ষা করে না ।সে তার আপন গতিতে চলতে থাকে।
আসলেই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কতই না সুন্দর তা এই শূন্য আকাশটি দেখলে বুঝা যায়।ছবিটি আমার বন্ধুর বাসার জানালা দিয়ে তুলেছিলাম।আকাশ যে কখন কোন রূপ নেয় তা হয়ত কেউই বলতে পারে না।সবার কাছেই আকাশের রূপ খুব প্রিয়।এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন যার আকাশের রূপ ভালো লাগে না।বিশেষ করে সন্ধ্যার আকাশের রূপ।সূর্য যখন অস্ত যায় তখন সে তার রক্তিম লাল রূপে মানুষকে মুগ্ধ করে দিয়ে যায়।আর এইরকম আকাশের রূপ কারই না ভালো লাগে।
![1000003873.jpg](
জোছনা রাতে চাঁদের আলোয় সবকিছু আলোকিত করে তুলে।হয়ত চাঁদ তখন বলতে চায় সূর্য চলে গেছে তো কি হয়েছে আমার আলোয় তুমরা আলোকিত হও।আকাশ তার বাহারি রূপে মানুষকে সবসময় মুগ্ধ করে রাখে। ছবিটি আমি আমার গ্রামের বাড়িতে তুলেছিলাম। জোছনা রাতে গ্রামের বাড়িতে বেশ ভালো লাগে।চারদিক হালকা হালকা দেখা যায় চাঁদের আলোয়।পরিবেশটা খুব সুন্দর লাগে ঠিক সেই মুহূর্তে। কিন্তু শহরে এই সৌন্দর্যটা উপভোগ করা যায় না ।চারদিকে লাইটের আলোতে চাঁদের আলো বুঝা যায় না।আর চারদিকে শুধু দালান দেখার মতোও কিছু নেই।
এই ছবিটিও জোছনা রাতে তুলা।জায়গাটি হলো ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে তুলা ।একদিন রাতের বেলা বন্ধুরা সবাই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যায় ।তখন ঠিক এই ছবিটি তুলেছিলাম। বন্ধুদের সাথে রাতে ঘুরতে বের হওয়ার মজাই আলাদা।সেইদিনও বেশ মজা হয়েছিল।আমার সেখানে অনেক কিছু খাই। অনেক সময় যাবত আড্ডা সেই।বেশ রাত করেই বাসায় ফিরি।জোছনা রাতটা আড্ডার মজাটা আরও দ্বিগুণ করে দেয়।
সবাই ভালো থাকবেন। বিশেষ করে এই গরমে নিজের ও পরিবারের সবার যত্ন নিবেন।আশা করি সকলের কাছের ছবিগুলো ভালো লাগবে । আমি স্টিমিটে আমার বাংলা ব্লগে নতুন বিধায় আমার কোনো ভুল হলে তা আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে অবগত করবেন,যাতে পরের বার থেকে ঠিক সেই ভুল গুলো না করি।সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক সুন্দর ছিল প্রতিটি ছবি কোনটা রেখে কোনটার মুল্যায়ন করবো সব গুলোই আমার কাছে ভাল লেগেছে।অনেক দারুন ছবি তুলেন আপনি।এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার কাছে ছবিগুলো ভালো লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো।আশা করি সামনে আপনাদের আরও ভালো ছবি উপহার দিতে পারব।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বেশ চমৎকার হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। বিশেষ করে প্রত্যেকটা দেখতে জাস্ট অসাধারণ লাগছে। জোছনা রাতের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। এছাড়া ও ট্রেনের ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত ছিলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর কিছু ফটোগ্ৰাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।আপনদের কাছে ছবিগুলো ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হয় আরও বেশি বেশি ছবি তুলে পোস্ট করার উৎসাহ পায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার ধারণ করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার ছিল। বিশেষ করে রেললাইনের দৃশ্যটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ডিভাইস টা ভালো হওয়ার ফটো ধারণ খুব সুন্দর। আশা করব এভাবে চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে কমেন্ট করে আমাকে আরও উৎসাহিত করার জন্য। দোয়া করবেন যাতে আরো বেশি পোস্ট করতে পারি ।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।