লাইফ স্টাইল :- হঠাৎ করে বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়ার পোস্টগুলো একটু বেশি ভালো লাগে। ঠিক তেমনি আজকে একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
কিছুদিন মাস হঠাৎ করে বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে গেলাম। বিগত কয় মাস আগে আমি একটু রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। আমি কিন্তু প্রথম আমাদের বাবার বাড়িতে ছিলাম। আমার হাজব্যান্ড তাদের বাড়িতে ছিল। এবং বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা আমি যদি আমাদের বাড়িতে থাকি ওই সময় আমাদের বাড়িতে আসে আমার হাজব্যান্ড। যখন সে আমাদের বাড়িতে আসবে বিকাল বেলা তখন আমাকে কল করে বললেন। এবং বলতেছে দাগনভূঞা বাজারে যাওয়ার জন্য। প্রথমে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি জন্য। কারণ দাগনভূঞা বাজার আমাদের বাড়ির একদম পাশে।
তারপর আমি বললাম ঠিক আছে দাগনভূঞা বাজারে যেতে পারব। দাগনভূঞা বাজার আমার হাজব্যান্ডের বাড়ি থেকে অনেক দূরে। প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরত্ব। কিছুক্ষণের মধ্যে আমার হাজব্যান্ড দাগনভূঞা বাজারে আসলো। আসার পর আমাকে কল দিয়েছিলে তারপর আমি দাগনভূঞা বাজারে গেলাম আমার মেয়েকে নিয়ে। এরপর আমরা জিরো পয়েন্ট রাস্তায় একত্রিত হলাম। তারপর আমার হাজব্যান্ড জিজ্ঞেস করল কি খাবে। প্রথমে আমি কিছু খেতে চাইলাম না তারপরও সেই রিকোয়েস্ট করার পর রাজি হলাম। তখন আমি তাকে বললাম বিরিয়ানি খাব। কারণ দাগনভূঞা একটি বিরিয়ানি দোকান আছে ওইখানে বিরিয়ানি গুলো খুব ভালো হয়। তখন আমার হাজব্যান্ড বলল ঠিক আছে।
তারপর আমরা ওই রেস্টুরেন্টে গেলাম বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। ওইখানে অনেক ধরনের বিরিয়ানি বিক্রি করা হয়। তবে আমরা খাসির বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। যদিও এই বিরিয়ানি গুলো একটু দাম বেশি। দশ মিনিটের মধ্যে তারা বিরিয়ানি আমাদের সামনে নিয়ে আসলো। তবে আমার মেয়ে ছোট সেই এগুলো দেখে খেলাধুলা করতে খুব পছন্দ করতেছে। তারপর আমরা বসে একসাথে মজা করে বিরিয়ানি খেতে লাগলাম। প্রথমে আমরা এক প্লেট অর্ডার করলাম। শুধু এক প্লেট বিরিয়ানি ওইখানে ২০০ টাকা। খাওয়ার পর বেশ ভালোই লাগলো। সাথে সাথে আমার হাসব্যান্ড বলতেছে আর এক প্লেট খাবে নাকি। শুনে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম।
সাথে সাথে আমি বললাম ঠিক আছে আরেক প্লেট খাব। তারপর আরেক প্লেট অর্ডার করলাম বিরিয়ানি। এরপর আমরা দুইজনে এই প্লেট ভাগ করে গেলাম। সত্যি বলতে মাঝেমধ্যে এ ধরনের বিরিয়ানি খেতে বেশ মজাই লাগে। খেতে খেতে ভালোই সময় কাটল। এবং আমার মেয়ে দুই একটা করে বিরিয়ানির চাউল খেতে লাগলো। মেয়ের খাওয়া-দাওয়া দেখে আমরা একটু বসলাম। তবে এসব দোকানে কাস্টমার থাকা অনেক বেশি। ওই সময় দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষ পার্সেল বিরিয়ানি নিয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা পরিবারকে নিয়ে হয়তোবা বাসায় খাবে। এরপর আমার হাজব্যান্ড ঠান্ডাও অর্ডার করলেন। ঐদিন আমার হাজব্যান্ড যাহা অর্ডার করল আমি সবগুলো খাওয়ার চেষ্টা করলাম। মজার বিষয় হচ্ছে আমার শ্বশুর বাড়ির আশেপাশে এরকম রেস্টুরেন্ট নেই।
এই কারণ আমার হাজব্যান্ড আমাদের বাড়ি আসলে প্রায় সময় আমাকে দাগনভূঞা বাজারে নিয়ে যায় পছন্দের খাবারগুলো খাওয়াতে। এবং মজার বিষয় হচ্ছে আমি মিষ্টি জাতীয় খেতে একটু পছন্দ করি আর সেই একটু ঝাল জাতীয় জিনিস খেতে পছন্দ করে। তবে এই দুই প্লেট বিরিয়ানি একসাথে বসে খেয়ে সত্যি অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। কারণ প্রিয় মানুষের সাথে বসে কোথাও কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। এরপর যখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা হল। দেখতেছি ৪৫০ টাকার একটি বিল দিয়ে গেছেন। তারপর আমরা বাজার থেকে মেয়ের জন্য আরো কিছু কেনাকাটা করলাম। এরপর আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। এই হচ্ছে বাইরে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত। আর আমাদের ভালই সময় কাটল এদিন। যাইহোক আশা করি আমার পোস্টটি দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
হঠাৎ প্ল্যান করে সবাই মিলে এরকম বাইরে খেতে যেতে ভালোই লাগে। আপনারা সবাই মিলে বিরিয়ানি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। বিরিয়ানিটা বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনারাও খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/bdwomen2/status/1876261066684223886?t=9tKuG8p6Zie3la8ViXwnjQ&s=19
মাঝে মাঝে প্রিয়জনকে নিয়ে এভাবে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। বিরিয়ানি খেতে অনেক মজা হয়েছিল জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু দাম যেমনি হোক না কেন খেতে ভালো হলেই ভালো লাগে। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে বাহিরে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর আপনি আপনার পরিবারের সাথে বাইরে খেতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আর আপনার পিচ্চি মেয়েটাকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। মাশাল্লাহ অনেক কিউট হয়েছে।
ছোট্ট একটা পরিবার,মাঝে মাঝে এভাবে হঠাৎ করেই ঘুরে বাইরে খাওয়া দেওয়ার পরিকল্পনা বা ঘোরাফেরা করতে ভালই লাগে।ভাইয়া আপনি এবং আপনাদের পিচ্চি বাবুকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার ছোট একটি পরিবার সহ দাগনভূঞা বাজারের একটি রেস্টুরেন্টের মধ্যে বিরিয়ানি খেয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে পরিবারের সকল সদস্য একত্রিত হয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল, যেন আপনারা সব সময় খুবই সুন্দর সুময় কাটাতে পারেন।
আমার পছন্দের খাবার গুলোর মধ্যে বিরিয়ানি একটি। আমিও মাঝেমধ্যে বাইরে পরিবার নিয়ে বিরিয়ানি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনাদের এই আনন্দ ঘন মুহূর্তটি সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। আর আপনাদের মেয়েকে দেখে বেশ আনন্দিত মনে হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনারা দুজনে দেখছি একা একা বিরিয়ানি খেয়ে নিয়েছিলেন। আমাকে এখান দিয়ে ডাক দিলে তো আমিও চলে যেতাম খাওয়ার জন্য। মাঝেমধ্যে এভাবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে হঠাৎ করে হলে বেশি ভালো লাগে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষদের সাথে বাইরে খেতে গেলে অনেক ভালো লাগে। মুখের স্বাদ বদলানোর জন্য হলেও মাঝে মাঝে বাইরে খেতে যাওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। বিরিয়ানি মজা হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। আপনারা যে খুব মজা করে বিরিয়ানি খেয়েছেন তাও দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিরিয়ানি খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।