পাঙ্গাস মাছের ভাসমান খাবার খাওয়ার চমৎকার ভিডিওগ্রাফি।

bidyut01 (70)memberVerified Member 🇧🇩in আমার বাংলা ব্লগ • 22 days ago

^{হ্যালো বন্ধুগণ,

আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।}

আজ বুধবার। ০১লা মে, ২০২৪ ইং।

আসসালামু আলাইকুম।

^{সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।}

^{সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে এবং আমার প্রত্যেকটি পুকুরে আমি মাছের চাষাবাদ করি। আর আমার প্রত্যেকটি পুকুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাঙ্গাস মাছ। আসলে পাঙ্গাস মাছ চাষ করা তুলনামূলক লাভজনক। কেননা পাঙ্গাস মাছের সাথে সাথী মাছ হিসেবে তেলাপিয়া, রুই, মৃগেল, জাপানি ও সিলভার কার্প মাছ চাষ করা যায়। যাহোক আমার পুকুরের পাঙ্গাস মাছগুলোকে আমি প্রত্যেকদিন সকালে এবং বিকেলে নির্ধারিত সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার সরবরাহ করি। সকালবেলায় পাঙ্গাস মাছগুলোকে ডোবা খাবার পরিমাণ মতো প্রয়োগ করি। এবং বিকেল বেলায় পাঙ্গাস মাছগুলোকে পরিমাণ মতো ভাসমান খাবার দিয়ে থাকি।}

^{বিকেল বেলায় যখন পাঙ্গাস মাছগুলোকে ভাসমান খাবার দিয়ে থাকি তখন পাঙ্গাস মাছ গুলোর খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখলে মনটা আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সত্যি বলতে বিকেলের সময়টা আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে কাটিয়ে দিই। কারণ ভাসমান খাবার গুলো পাঙ্গাস মাছ যখন পানির উপরে পুরো শরীর ভাসিয়ে খেতে থাকে তখন একসাথে অনেকগুলো পাঙ্গাস মাছ দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। পুকুরে ভাসমান খাবার দেওয়ার সাথে সাথে পাঙ্গাস মাছগুলো একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে ভাসমান খাবার গুলো মুখ দিয়ে ধরে খেতে থাকে। পাঙ্গাস মাছের মুখ তুলনামূলক মোটা হওয়ার কারণে একবারে অনেকগুলো খাবার ঢুকে যায়। আবার ভাসমান খাবারগুলো যদি একটু অল্প জায়গার মধ্যে দেওয়া যায় তাহলে পানি ছাড়া পাঙ্গাস মাছ গুলো দুই তিন ইঞ্চি উঁচু হয়ে যায়। অর্থাৎ একটি পাঙ্গাস মাছের পিঠের উপর আরেকটি পাঙ্গাস মাছ উঠে পানি ছাড়া উঁচুতে চলে যায়।}

^{তাই বিকেল বেলায় পাঙ্গাস মাছের ভাসমান খাবার দেওয়ার মুহূর্তটি অত্যন্ত উপভোগ্য হয়ে থাকে। পাঙ্গাস মাছের মাথার দুই পাশে বড় বড় দুইটি কাটা রয়েছে। কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় পাঙ্গাস মাছের কাঁটা অন্য মাছের গায়ে ঢুকে যায় না। আবার যখন পাঙ্গাস মাছ গুলো পাল্লা দিয়ে ভাসমান খাবার গুলো মুখ দিয়ে ধরতে থাকে তখন পানির সাথে লেজ দিয়ে খুবই জোরে আঘাত করে। পাঙ্গাস মাছের লেজের আঘাতে পুকুরের পানি থেকে বেশ জোরালো শব্দ বের হয়। মনে হয় যেন পুকুরে কেউ সাঁতার দিচ্ছে। যাহোক বিকেল বেলায় পাঙ্গাস মাছের ভাসমান খাবার খাওয়ার সুন্দর দৃশ্যটি আজ আপনাদের নিকট শেয়ার করার জন্য আমি আমার মোবাইল ফোনে ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম। আমি আশা করি আমার আজকের ভিডিওগ্রাফিটি দেখে আপনাদের সামান্য পরিমাণে হলেও ভালো লাগবে এবং পাঙ্গাস মাছ চাষ করার জন্য আপনাদের মাঝে উৎসাহ সৃষ্টি হবে।}

আমার পরিচয়।

^{আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।}

১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।