দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিজয়

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


দেখতে দেখতে রোজা হয়ে গেল প্রায় বারোটা। এর ভেতরে মোটামুটি গরমও পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি মাত্র একটা তরমুজ কিনেছি। সাধারণত রমজান মাসে ইফতারের টেবিলে তরমুজ আমার খুব পছন্দের একটা ফল। তবে এবার অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ হিসেবে এতদিন কোনো তরমুজ কিনিনি। অনেকগুলি রোজা পার হয়ে যাওয়ার পর গতকাল প্রথম তরমুজ কিনেছি। শুধু যে আমি এমনটা করেছি ব্যাপারটা তা নয়। দেশের আরো অসংখ্য মানুষ এই তরমুজ বয়কট কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলো।

IMG_20240314_121911.jpg

এটা কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিলো না। মুখে মুখে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে পড়া এই বয়কটে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলো। যার ফলশ্রুতিতে তরমুজের দাম এখন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটাকে বলতে পারেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের একটা বিজয়। এখন এ থেকে যদি শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সংগঠিত হতে পারে তাহলে অচিরেই এই সিন্ডিকেট ভেঙে পড়বে। আর বয়কট করা ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হাতে তেমন কোনো কিছু করারও নেই।


কারণ দেশের সরকার দ্রব্যমূলের এই উর্ধ্ব গতিতে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শুধু লোক দেখানো কিছু অভিযান ছাড়া সরকারের তরফ থেকে আর কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। আর এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে দেশের সাধারণ মানুষজন দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে। প্রতিটা জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সেটাও আবার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশের সাধারণ মানুষকে সংগঠিত হতে হবে। তাহলেই সম্ভব এই সিন্ডিকেট এর কালো থাবা থেকে মুক্তি পাওয়া।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ঢাকা


ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি। আসলে এবার রোজার মধ্যে তরমুজ বয়কট করার মধ্য দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা জন্মের শিক্ষা দিয়েছে। তাই আমরা সাধারণ মানুষ যদি এভাবে প্রত্যেকটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে দাঁড়ায় তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিঃসন্দেহে নাকানি-চুবানি খেতে বাধ্য।

 last month 

অসাধু সিন্ডিকেট শুধু তরমুজের বা ফলের বাজারেই আছে তা নয়, বরং সব জায়গায়ই কমবেশি রয়েছে। এদের কাজই হলো সাধারণ নিম্ন -মধ্যম আয়ের মানুষদের কষ্ট দিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করা।

বাংলাদেশে এ সমস্যাটি অনেকদিন ধরে, বড় বড় ব্যাবসায়ী মহল এর পিছনে মূল কলকাঠি নাড়ে তা স্পষ্ট দেখা না গেলেও, অনুসন্ধান বা গোয়েন্দা রিপোর্টে তা দেখা যায়।

যা হোক, একটি বাস্তবভিত্তিক লেখা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সাথে কিভাবে ডিসকর্ডে যোগাযোগ করতে পারি?
কিছু কথা জানার ছিল।

 last month 

এবারের রমজানের শুরুতে তরমুজের দাম অতিরিক্ত বেশি ছিলো। প্রথম দিকে তো ৮০০-১২০০ টাকায় বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ তরমুজ কেনা বন্ধ করে দেওয়ার পর, সেই তরমুজ ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করেছে। এটা আসলেই সাধারণ মানুষের বিজয়। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলার জন্য এটা বেশ কার্যকরী পদক্ষেপ। সবাই একজোট হয়ে যদি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়া দ্রব্য কেনা বন্ধ করে দেই,তাহলে জিনিসপত্রের দাম কমতে বাধ্য। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য, এছাড়া আর কোনো রাস্তা তো দেখছি না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67655.95
ETH 3799.02
USDT 1.00
SBD 3.53