ব্রেইনওয়াশ করতে যে বয়স.

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আপনারা একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন কিনা জানেন না। রাজনীতিতে কোন বয়সে ছেলে মেয়েরা ঢুকে বলুন তো? আমি যদি একটু ক্লিয়ার করে বলতে চাই। তাহলে রাজনীতি কিংবা বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিজ কিংবা সোশ্যাল একটিভিটিস ইত্যাদিতে ঢুকে কিন্তু টিনেজার বয়সের ছেলেমেয়েরা। এখন আপনার আগে আমাকে বলুন যে, কেনো তারা এই বয়সের ছেলেমেয়েদেরকেই বেছে নেয়? অর্থাৎ কাজটক ভালো হতে পারে এবং খারাপও হতে পারে।

যেমন ধরুন বিভিন্ন social activities বা social awareness এর এসবের কিন্তু শুরু থেকেই যুক্ত থাকে একদল টিনেজাররা। যারা হয়তো বড় হয়েও এসবের সাথে যুক্ত থাকে কিংবা বিভিন্ন খারাপ কাজের কথাও যদি আমি বলি। অর্থাৎ জুয়া, বেটিং সাইট কিংবা মাদকদ্রব্য সেখানেও কিন্তু এই বয়সের ছেলেমেয়েরাই প্রথমে পা দেয় এবং আস্তে আস্তে এসবের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পরে। আপনারাই বলুন তো, কেনো এই বয়সটাই এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত হয়ে যায়?

আসলে এই বয়সটা হলো একেবারে পারফেক্টভাবে ব্রেন ওয়াশ করে দেওয়ার মতোন একটি বয়স। অর্থাৎ এই বয়সে ছেলেমেয়েদের আপনি যেভাবে বুঝাবেন, তারা সেভাবেই বুঝতে চায়। অর্থাৎ আপনি যদি তাদেরকে ভালোটা শিক্ষা দেন। তাহলে তারা ভালোটাই শিক্ষা নিবে। কিন্তু আপনারা যদি তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে খারাপ কিছু তাদের ব্রেইনে একেবারে পাকাপাকিভাবে সেট করে দিতে চান। অনেকে কিন্তু সেটাতেও সফল হয়। কারণ ওই যে বললাম, এই উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা খুব একটা দুনিয়া চিনে না। তাই ওদের ব্রেন খুব ভালোভাবেই ডাইভার্ট করা যায় বিভিন্ন ছলাকলা এবং কুটকৌশল এর মাধ্যমে।

এ কারণেই আমাদের যাদের ঘরে টিনেজার বয়সের ছেলেমেয়েরা রয়েছে। আমাদের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এই বয়সে ছেলে মেয়েদের দিকে অনেক খারাপ মানুষদের নজর থাকে। কারণ তাদেরকে দলে টানতে পারলে তাদের দল ভারী হয়। সে কারণেই তারা সবসময় এই ধরনের ছেলেমেয়েদের সন্ধানে থাকে। আর আমাদের দায়িত্ব হলো তাদেরকে এসব অন্যায় থেকে দূরে রাখা এবং ভালো কাজে এনগেজ করানো। যাতে তারা বড় হয়ে মানুষের মতোন মানুষ হয়ে উঠতে পারে।