মর্যাদার অভাব
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের সমাজে দিন দিন যেটার অভাব দেখা দিয়েছে। আজকে ভাবলাম যে আমি তা নিয়েই আপনাদের সাথে একটা লেখা শেয়ার করি। কারণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা এবং সেসব নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলা আলোচনা করা, বিভিন্ন বিশ্লেষণ করা। এটা আমার খুব পছন্দের একটি কাজ বলা যায়। তো আজকেও আমি তেমন একটা কাজ করতে এসেছি।
আমাদের জীবনের অনেক কিছুর অভাব। অর্থাৎ আপনি যদি একটা মানুষকে জিজ্ঞেস করেন যে, তার জীবনে কিসের অভাব। সে আপনাকে এতো কিছু বলবে যে, তার কথা যখন শেষ হবে। তখন সে আসলে প্রথম কি বলেছিলো কিংবা প্রথমের দিকে কি বলেছিলো সেটাও আপনার মনে থাকবে না। অর্থাৎ মানুষের অভাবের তালিকাটা অনেক বড়।
কিন্তু বর্তমানে যে অভাবটা অনেক বেশি বোধ করছে আমি আমাদের জেনারেশনে। সেটা হচ্ছে মর্যাদার অভাব। আমাদের মধ্যে,আমরা মানুষেরা আসলে মর্যাদা খুব কম দিতে পারে এবং আমরা নিজেরাও ঠিক তাই আমরা সবকিছু করতে পারলেও। অর্থাৎ আমরা আসলে সভ্য হলেও অনেক বেশি অসভ্যতা আমাদের মধ্যে থেকে গিয়েছে।
এবং সেই অসভ্যতার জন্য আমরা মানুষকে মর্যাদা দিতে পারি না। আমরা মানুষকে মর্যাদা দিতে ভুলে যাই। অর্থাৎ আমাদের মধ্যে একটা মজাদার অভাব দেখা দিয়েছে। যেটা আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারি। কিন্তু এটা থাকা মানেই আমরা নিজেদেরকে অসভ্য জাতি হিসেবে প্রকাশ করা যেটা মোটেও ভালো কিছু নয়। তাই আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের পারিবারিক শিক্ষাতে যে বিষয়টার উপরে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সেটা হচ্ছে, আমরা আসলে কতোটা মানুষকে মর্যাদা করতে পারি সেটার উপরে। কারণ একটা কথা আমরা ভুলে যাই যে, আমি অন্যকে মর্যাদা দিচ্ছি না মানে। সেও আমাকে মর্যাদা দেবে না। অর্থাৎ ব্যাপারটা এমন যে, ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।এটাই আমরা ভুলে যাই বারবার।
সম্মান আর মর্যাদা সবাই দিতে পারে না।নিতে পারাটা ব্যর্থতা নয়, কারণ সমাজে সবাই ভদ্র নয়।তাই সম্মান বা মর্যাদা কারো কাছ থেকে নেয়াটাও সম্ভব নয়।একমাত্র সুপরিবার থেকেই মর্যাদা পাওয়াটা শেখা যায়। দারুণ কিছু কথা লিখেছেন।
সত্যি কথা বলতে একটি মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো নিজের সম্মান। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মানটা রক্ষা করাটাও অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মর্যাদা পূর্ণ কিংবা ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ হয়ে বেঁচে থাকাতে অনেক বেশি আনন্দ আছে।