সেজো মিয়ার গাছের কামরাঙ্গা চুরি 🤭🤭|| আমরা বাংলা ব্লগ

in আমার বাংলা ব্লগ15 days ago

আজ - বুধবার

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মে ০৮, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

আসসালামুয়ালিকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আমি বাংলাদেশ থেকে ইমন আজকে নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে আবারও স্বাগতম জানাচ্ছি
carambola-173172_1280.jpg

source

আমরা সবাই জানি কামরাঙ্গাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর এটা আমাদের শরীরের প্রতিদিনেরই প্রয়োজন। চলুন সাইন্টিফিক কথাগুলো এক সাইডে রেখে আসল গল্পে ফিরে আসা যাক। 🤭 আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের প্রাইমারি স্কুল থেকে ২০ মিনিট হাঁটলেই আমাদের গ্রামের সবচেয়ে ধনী সেজো মেয়ার বাগান। উনি হচ্ছেন আমাদের গ্রামীণ সবচেয়ে ধনী এটা বলার কারণ ওনার প্রায় ৭ থেকে ৮০০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে এবং সেই সাথে উনার বড়, বড় অনেক বাগান রয়েছে যে বাগানে প্রচুর ফলমূল হয়ে থাকে। উনার বাড়ির পিছনে একটা বাগান রয়েছে যে বাগানে কামরাঙ্গা, কদবেল, ‌ ফজলি আম খেজুর এছাড়াও অনেক ধরনের ফলমূল পাওয়া যায়। আসলে অতিরিক্ত সম্পদ থাকার কারণে উনি হয়তোবা এগুলোর যত্ন নেওয়ার তেমন একটা সময় পান না যার কারণে এগুলো গাছেই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এই জিনিসটা আমাদের ছোটবেলাকে আরো বেশি রঙিন করে তুলেছিল।

averrhoa-carambola-245062_1280.jpg

source

ওনার বাগানে প্রচুর পরিমাণে কামরাঙ্গা এবং নাদি ফল হতো আর বৃষ্টি হলে নদিফল পেকে টয় টুমর হয়ে যেত। এবং যখন কালো , কালো হয়ে যেত ওগুলো তখন খেতে যে কিরকম সুস্বাদু লাগতো ওয়াও এখনো যেন জিভে জল চলে আসছে কথা বলতে গিয়ে। আর যদি কামরাঙ্গার কথা উঠে তাহলে গাছ পাকা কামরাঙ্গা গুলো পেরে যখন লবণ এবং শুকনো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে একসঙ্গে মাখিয়ে খেতাম তখন জিভে যেমন জল চলে আসতে তেমনি তৃপ্তি করে খেতাম। এগুলো যেমন বাসাবাড়িতে পেড়ে নিয়ে গিয়ে খেতাম তেমনি অনেক সময় স্কুল ব্যাগ লোড করে নিয়ে যেতাম স্কুলে । এবং সবাই মিলে একসঙ্গে বন্ধু বান্ধব মিলে খেতাম এবং ক্লাস করতাম। আসলে এই কামরাঙ্গার গাছে যে কেউ উঠতে পারতো কারণ এই গাছটি তেমন একটা বেশি বড় ছিল না । গাছের ডালগুলো মাটির দিকে নোয়ানো ছিল যার কারণে খুব সহজে কামরাঙ্গা গাছে আমরা উঠতে পারতাম। কামরাঙ্গা গুলো তখন গাছে থোকায়, থোকায় ঝুলত তখন ওগুলো পেরে খেতে যে কি আনন্দ হতো সে কথাগুলো এখনো মনে পড়ে যায়।

star-fruit-63091_1280.jpg

source

আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাছে উঠতে পারতো হচ্ছে রাসেল। ও এমনিতেই এই ধরনের কাজ অনেক ভালো পারে এবং ওর গা হাত পা অনেক শক্ত ।আমাদের মধ্যে ওই সবচেয়ে শক্ত ছিল যে কোন কাজ খুব সহজে ও করে ফেলতে পারত এবং বলা যেতে পারে গাছে ওঠা ওস্তাদ। ও এক লাফেই কামরাঙ্গা গাছে উঠে পড়তো এবং আমরা নিচে দাঁড়িয়ে থাকতাম ও গাছ পাকা কামরাঙ্গা গুলো আমাদের ছুরে, ছুরে দিত এবং আমি ব্যাগ লোড করতাম। অনেক সময় কামরাঙ্গা পারতে গিয়ে সেজো মেয়ার লোকেদের তারাও খেয়েছি 🤭। আসলে কামরাঙ্গা ফ্রিতে খেতে দিত ঠিক আছে কিন্তু তখন আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে সবাই মিলে একসঙ্গে কামরাঙ্গা পাড়ার সময় অনেক সময় কামরাঙ্গা গাছের ডাল ভেঙে যেত। তো এই বিষয়টা ওরা লক্ষ্য যখন করত তখন অনেক সময় এসে আমাদের তারা দিত। আর আমরা তো সেই ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে এক দৌড়ে পগার পার। 😁 সেদিন গিয়েছিলাম স্কুলের ওদিকে তখন কামরাঙ্গা গাছটি দেখলাম তখন ওটার কথা অনেক মনে পড়ছিল।

star-fruit-6489499_1280.jpg

source

তাই ভাবলাম আজকে ওই কামরাঙ্গা গাছ নিয়ে গুছিয়ে এই গল্পটা শেয়ার করি আশা করি আপনাদের গল্পটি ভালো লাগবে। আমার মনে হয় মানুষের স্মৃতির মধ্যে ছেলেবেলায় যে স্মৃতিগুলো রয়েছে সেগুলো সারা জীবন মনের ভিতর আঁকড়ে থাকে। এই যে বর্তমানে বন্ধু-বান্ধবগুলো কোথায় যে হারিয়ে গেছে তাদের এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই যে স্মৃতিগুলো রয়েছে এগুলো হয়তোবা কোন না কোন সময় ওরাও মনে করছে এবং আফসোস করছে যে ইস রা, যদি সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। জানি ছেলেবেলা হয়তো বা এখন আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় কিন্তু ছেলেবেলার এই স্মৃতিগুলো যখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করি এবং আপনাদের মতামত গুলো যখন পড়ি তখন সত্যিই অন্যরকম একটা ভালোবাসা কাজ করে যেটার মূল্য দেওয়া হয়তোবা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যাইহোক ভালোবাসার মানুষগুলোকে মনে অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা জানিয়ে আজকে বিদায় নিচ্ছি, আমার খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে। ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

🫂ধন্যবাদ!!!🤵


ব্লগার@emonv
[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Sort:  
 15 days ago 

আমাদের সময়ে আমরা অনেক খেয়েছি এই গাছ থেকে কামরাঙ্গা পেড়ে। কামরাঙ্গা গুলো পেকে গেলে খেতে ভীষণ ভালো লাগতো। কামরাঙ্গা চুরির গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 15 days ago 

ধন্যবাদ আপনাকে, কমেন্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 15 days ago 

ভাই আপনার কামরাঙ্গার চুরির গল্পটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কামরাঙ্গা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম। করে মেয়েরা তো খুব বেশি পছন্দ করে। কামরাঙ্গার ফটোগ্রাফি টা দেখে কামরাঙ্গা খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক ভালো লাগলো এমন একটা পোস্ট দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।

 14 days ago 

সেজো মিয়ার বাগানের কামরাঙ্গা চুরির ঘটনাটি ভীষণ ভালো লাগলো।আপনার লবন,মরিচ দিয়ে কামরাঙ্গা খাওয়ার বর্ননা পড়তে গিয়ে জিভে জল চলে এসেছে। দারুন এনজয় করেছিলেন ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 69380.97
ETH 3764.30
USDT 1.00
SBD 3.86