কলার পাতায় ক্ষীর উপস্থাপন এবং পরিবেশন করার প্রণালী || ১০% @shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের ঐতিহ্য যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে কলার পাতায় খাবার পরিবেশন করার প্রণালী । কলার পাতায় খাবার পরিবেশন আমাদের আদিমকালের মানুষেরা অনেক করেছে কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার প্লেট এবং থালা বাসন উঠে যাওয়াই এগুলো তেমন একটা আর ব্যবহার হয় না। কিন্তু এখনো নানান গ্রাম অঞ্চলে এখনো এই প্রথা চালু আছে সব জায়গায় না হলেও কিছু কিছু জায়গায় এগুলো ব্যবহার করা হয় । আমরা সবাই জানি কলা বারোমাসি পাওয়া যায় এটি অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার সেই সাথে আমরা কাচা কলা তরকারি হিসেবে খেতে পারি এবং কলাগাছের থোড় ও তরকারি হিসেবে আমরা খেতে পারি। আপনাদের একদিন কলাগাছের থোড় রান্না এর প্রসেসটি দেখাবো ইনশাল্লাহ, কলা ফল এবং কলা গাছ যেমন উপকারী তেমনিভাবে কলা গাছের পাতাও অনেক কার্যকরী । এটি তৃণভোজী প্রাণীরা খেয়ে থাকে এছাড়াও এটি দিয়ে বিভিন্ন রকম কাজ করা যায়। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে কলার পাতা দিয়ে খাবার পরিবেশন এর প্রসেস টি রিপ্রেজেন্ট করতে যাচ্ছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে । তবে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
# প্রসেসটি সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় উপাদান
উপাদান | পরিমান |
---|---|
হেসো বা ছুরি | ১ টি |
কলার পাতা | প্রয়োজন অনুযায়ী |
ধাপঃ-১
কলার পাতা কাটার উদ্দেশ্যে প্রথমে কলাবাগানে গেলাম।
ধাপঃ-২
এবার কলার পাতা গুলো গাছ থেকে কেটে এক জায়গায় রেখে দিলাম।
ধাপঃ-৩
এবার পাতাগুলো এক সাইজ করে কেটে নিলাম।
ধাপঃ-৪
এবার কেটে নেওয়া পাতার মাঝখান দিয়ে এইভাবে আলাদা করে নিতে হবে।
ধাপঃ-৫
এভাবে পাতাগুলো একটি বান্ডিলে বেঁধে নিতে হবে।
ধাপঃ-৬
এবার পাতার বান্ডিল গুলো এক জায়গায় সাজিয়ে নিলাম।
ধাপঃ-৭
এবার ক্ষীর এবং মিষ্টি পাতার উপরে সাজিয়ে নিলেই পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত।
- ১০% বেনিফিসারী @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ফটোগ্রাফার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y12 A |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
পায়েস মিষ্টি একসাথে দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে তবে আপনার আজকের এই আয়োজন দেখে ছোটবেলার কথা মনে হয়ে গেল ছোটবেলায় এরকম মসজিদে কলার পাতায় অনেক বাড়ি শিন্নি খেয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যের জন্য।
বাহ কি বুদ্ধি। কাজে লাগানো যাবে। যদিও গ্রামে দেখা যায়।। ঢাকাতে দেখিনা এসব। এসব এ খাওয়ার মজাই মনে হয় আলাদা। একদিন চেস্টা করে দেখতে হবে।
জি ভাই অবশ্যই কাজে লাগানো যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
আসলে কলার পাতায় ক্ষীর ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। অনেক আনন্দ উদযাপন করে আমি খেতাম। খুবই ভালো লাগতো। আপনি আবারও শৈশব কালের কথা মনে করায় দিলেন। আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বুদ্ধিটা দারুণ। কিন্তু কথা হচ্ছে এখন কলা বাগান খুব কমই দেখা যায়। আর কলাপাতা বেশী পাওয়া যায় না। আপনার পরিবেশন অনেক ভালো লাগছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন গ্রামের বাড়িতে দেখেছি কোন অনুষ্ঠান হলে এভাবে সবাইকে মাটিতে বসে কলার পাতায় খাওয়ানো হতো। আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি সবার কাছে তুলে ধরার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
জি ভাই ক্ষীর অনেক সুস্বাদু খাবার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।