সন্ধ্যা বেলায় একটু ঘুরাঘুরি || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - মঙ্গলবার
আপনারা সবাই জানেন বর্তমানে অতিরিক তাপের প্রকোপে সবার অবস্থাই মোটামুটি কাহিল। আমাদের এদিকেও অতিরিক্ত রোদ ও তাপ দুটোই পড়ছে। আজকে তো প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে চলে গিয়েছিল তবে যারা শ্রমিক কৃষক অথবা দিনমজুর রয়েছে তাদের কাজ কিন্তু বন্ধ নেই। যতই কষ্ট হোক না কেন তারা তাদের দৈনিক কাজ ঠিকই চালিয়ে নিচ্ছে এটাই হচ্ছে বাস্তবতা 🙃। আমি কিছুদিন আগেই সিরাজগঞ্জে ব্যাক করলাম এক্সাম দেওয়ার উদ্দেশ্যে, এক্সাম দেয়ার উদ্দেশ্যে আসলেও আমাদের এক্সামের ডেট দিয়েছিল 28 তারিখে কিন্তু এই অতিরিক্ত তাপের কারণে বর্তমানে এক্সাম স্থগিত করে রাখা হয়েছে । জানিনা কবে হবে তবে হয়তোবা এই সামনে মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে। এই সুযোগে আমার যেই ফ্রেন্ডগুলো হোস্টেলে থাকে তাদের প্রায় সবাই চলে গেছে শুধুমাত্র আমি এবং সাজিদ দুজনে রয়েছি। আমি চাইলেই বাড়িতে যেতে পারি তবে আমার বাড়ি এখান থেকে প্রায় ১৫৩ কিলোমিটার দূরে তাই জার্নি করার একটা বিষয় আছে, আর আমি এই গরমে জার্নি করতে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করব না।
কারণ এমনিতেই ট্রেনের অবস্থা খুবই খারাপ । গতবার এসেছিলাম তখন ট্রেনের ভিতরে এক মিলিমিটার জায়গা দিতে গিয়েই কষ্ট হয়ে গেছিল এমন ভিড় ছিল, তবে এখন জানি না কেমন ভিড় কিন্তু মানুষের মুখে যা শুনছি এখনো নাকি মানুষের প্রচুর ভিড়। এইতো সেদিন ফেসবুকে ভিডিও স্ক্রল করতে, করতে দেখলাম একটা বাসের কন্টাকটার বলতেছিল যে এই গরমের তাদের যাত্রী প্রতিদিনই একটা করে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে আর যে যাত্রীগুলো একটু সেন্সিটিভ তাদের অবস্থাও অনেক খারাপ । তাই সবকিছু ভেবেচিন্তে যা বুঝতে পারলাম এখন বাড়িতে না যাওয়াটাই বেটার তাই আপাতত বাড়িতে যাওয়া ক্যান্সিল। যেহেতু অতিরিক্ত রোদ তাই সকাল অথবা দুপুরবেলায় কোথায় তেমন একটা যাওয়া হয় না কিন্তু যখন রোদটা একটু কমে যায় অর্থাৎ বিকেল হয়ে যায় তখন মন চাই এদিক-ওদিকে গিয়ে কিছু স্ট্রিট ফুভ অথবা ফাস্টফুড খাই। তবে এদিকে তেমন একটা এবং ফাস্টফুড পাওয়া যায় না যদি আবার এগুলো খেতে হয় তাহলে বেলকুচি বাজার যাওয়া লাগে।
আমি এবং আমার বন্ধুর সাজির দুজনে বাইরে যখন হাঁটাহাঁটি করছিলাম তখন ভাবলাম যে এই সন্ধ্যা বেলা করে আর বেলকুচি বাজার যাচ্ছি না কারণ ওখানে যেতে হলেও মোটামুটি এক থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগবে সব কাজ সম্পন্ন করে আসতে । আর মধ্য কথা হচ্ছে আমাদের হোস্টেলের গেট রাত আটটার পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় , এর জন্য আর গেলাম না । তবে সৌভাগ্যবশত হাঁটাহাঁটি করতে, করতে একটি ঝাল মুড়িওয়ালার খোঁজ পেয়ে গেলাম। ওখানে গিয়ে উনাকে বললাম যে মামা আমাদের জন্য ঝালমুড়ি আর ফুচকা বানান। তো উনি কিছুক্ষণের মধ্যে আমার এবং সাজিদ কে ঝালমুড়ি তৈরি করে দিলেন। এবং আমাদের ঝাল মুড়ি খাওয়া শেষে ফুচকা তৈরি করে দিলেন । ঝাল মুড়িটা একটু অন্যরকম স্বাদ লাগলো কারণ ওনারা ঝালমুড়ির মধ্যেও ডাল ব্যবহার করে কিন্তু আমাদের ওদিকে শুধুমাত্র তেল এবং যাবতীয় সরঞ্জাম গুলো দিয়েই ঝালমুড়ি তৈরি করা হয়। তো যাই হোক বিকেলের সময়টা এভাবে পার করে দিলাম মোটামুটি অনেক ভালো সময় কাটল আজকে আর ঝাল মুড়ি খাওয়ার নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
মাঝে মধ্যে ঘুরোঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দই খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আমি মাঝে মধ্যে খাই। ঝালমুড়ি এবং ফুচকা খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। আপনার লেখা অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। একদমই ঠিক বলেছেন ভাই গরমের কথা আর কি বলবো। টিকে থাকা মুশকিল। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
বর্তমান সময়ে দিনের বেলায় ঘুরতে বের হলে গরমে অবস্থা একদম নাজেহাল হয়ে যাবে। আপনারা বিকেলের দিকে ঘুরতে বের হয়ে বেশ ভালো কাজ করেছেন। এই গরমে বিকেলে একটু হাঁটাহাঁটি করে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালোই লাগে। যাই হোক দুই বন্ধু ঘুরা ঘুরি করার পাশাপাশি ঝাল মুড়ি খেয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখছি। তুমি যেখানে আপনি বর্তমান আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি ট্রেনের ভিড়। আরে এই মুহূর্তে সবাই নিজেকে সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে চলেছে। যাইহোক খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেখানে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটা বেশ দারুন ছিল দেখছি। সব মিলিয়ে অসাধারণ ব্লগ শেয়ার করেছেন।