স্মৃতিচারণ: শৈশবে ফুটবল খেলার কিছু স্মৃতিচারণ।

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি আপনাদের সাথে শৈশবে ফুটবল খেলার অনুভূতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।

বাতাসন মাঠ

1000002226.jpg

লোকেশন

কয়েকদিন আগে আমি আমার নানুর বাসায় ঘুরতে গেছিলাম। আমার নানুর বাসা আমার বাসা থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে বাতাসন বাজারের সাথেই প্রায় অবস্থিত। উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেই মাঠটী অবস্থিত বাতাসন বাজারের সামনেই। এই মাঠে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ছোটবেলায় আমি নানুর বাসায় বেড়াতে এসে দীর্ঘদিন থাকতাম এবং মামাদের সঙ্গে এই মাঠে ফুটবল ,ক্রিকেট ,শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলতাম। নানুর বাসায় আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব রয়েছে। মূলত বন্ধুবান্ধব থাকার কারণে এখনো আমি নানুর বাসায় ঘোরার জন্য যাই।

1000002223.jpg

ছোটবেলায় এই মাঠে ছোট মামা এবং বড় মামাদের সাথে ফুটবল খেলছিলাম অনেক। এখন তেমন আর ফুটবল খেলা হয় না। এখন কেন জানি আগের মত ফুটবল খেলার সেই মন মানসিকতা নেই। দিন দিন আমাদের জীবন থেকে খেলাধুলা গুলো দূরে চলে যাচ্ছে। এখন ফুটবল খেলতে গেলে অনেক ভয় কাজ করে কোথায় জানি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। অথচ একসময় এই ফুটবলই জনপ্রিয় খেলা ছিল আমার। সেই দিন ছোট মামাতো ভাইকে নিয়ে মাঠের পাশে বসে ছিলাম। মাঠের মধ্যে ফুটবল খেলা দেখে ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখি।

1000002215.jpg

ফটোগ্রাফি করার এক সময় একটি বল আমাদের দিকে এমন ভাবে তেড়ে এসেছিল অল্পের জন্য আমাদের গায়ে এসে লাগেনি। প্রথম ফটোগ্রাফিটিই হচ্ছে সেই বলটি। আমার কাছে প্রথম ফটোগ্রাফিটী অনেক ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফির সময় আমি নিজেও ভাবতে পারিনি এমন ফটোগ্রাফি হয়ে যাবে। তবে দিনটি সেদিন আমার ভালই কেটেছিল। পরিবেশের আবহাওয়া অনেক ভাল ছিল ।সেই দিন আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ছিল এজন্য ফটোগ্রাফি গুলো ভালোই হয়েছে।

1000002214.jpg

এদের ফুটবল খেলা দেখে আমারও খেলার ইচ্ছা হয়েছিল। সেই দিন আমার তেমন হাতে সময় ছিল না এজন্য পরে আর খেলা হয়নি আমার। এদের ফুটবল খেলা ২০ মিনিটের মত দেখেই আমাকে নানুর বাসায় যেতে হয়েছিল। নানুর বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে আমার বাসার দিকে রওনা হতে হয়েছিল সেই দিন। এখন নানুর বাসায় গিয়ে আর তেমন থাকা হয় না। আগের মত আর নানুর বাসায় আনন্দময় জীবন যাপন নেই তেমন। যা আনন্দ হয়েছে তা ছোটবেলাতেই।

1000002254.jpg

নানা নানি বেঁচে থাকা পর্যন্ত নানার বাড়ি সুন্দর। নানা মারা যাওয়ার পর থেকে দিন যত যাচ্ছে নানার বাসায় যাওয়ার আগ্রহ তত কমতেছে। নানা বেঁচে থাকতে ভালোবাসার কমতি ছিল না। মামা মামিরাও অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু কালের পরিবর্তনে তা সীমিত হচ্ছে। নানি মারা যাওয়ার পর হয়তো আর তেমন নানার বাসায় যাওয়া হবে না। প্রত্যেক মামারা তাদের নিজ পরিবার নিয়ে এখন ব্যস্ত। আগে যৌথ পরিবারে সবাই মিলেমিশে থাকতো। এখন সবাই আলাদা আলাদা বাসা করেছে। আমার মামা সাতজন আমার কোন খালা নেই। বলতে গেলে আমার মা সাত ভাই চম্পা।

1000002248.jpg

আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো ভোলার মত নয়। প্রত্যেক ব্যক্তিই শৈশবের স্মৃতির সাথে জড়িত। শৈশবের অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। যা বলে প্রকাশ করার মতো না। আশা করি অন্য কোন পোস্টে ভিন্ন স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করব। আসলে মানুষ শৈশবেই সুন্দর। বেশিরভাগ আনন্দময় জীবন মানুষ শৈশবেই পার করে। এজন্য মানুষ তার শৈশবকে ভুলতে পারে না। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যখন খেলাধুলা বা কোন আনন্দময় মুহূর্ত পার করে ,সেসব দেখলে নিজেদের শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়।

1000002252.jpg

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceTecno spark 20c
Camera50 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

InShot_20240819_114902993.jpg

আমার নাম মোঃ গোলাম রব্বানী।আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলাতেই কথা বলতে ভালোবাসি।আমি একজন ছাত্র।আমি লালমনিরহাট সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের মিয়াপাড়া নামক গ্রামে।আমি ফটোগ্রাফী এবং ভ্রমণ করতে বেশি ভালোবাসি।
Sort:  
 7 days ago 

ডেইলি টাক্স:

1000009912.jpg1000009910.jpg1000009909.jpg1000009907.jpg
 7 days ago 

শৈশবের প্রত্যেকটা মুহূর্ত অনেক বেশি রঙিন ছিল। আর শৈশবের মুহূর্তগুলো যেমন ভালো লেগেছে তেমনি স্মৃতিগুলো মনে পড়লেও অনেক ভালো লাগে। আপনার এই পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।

 7 days ago 

আপনার শৈশবের ফুটবল খেলার স্মৃতিচারণ পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনার পোস্ট টি পড়ে আমারও অনেক শৈশবের মধুর মুহূর্তের কথা মনে পড়ে গেলো। শৈশবে আমারও প্রিয় খেলা ছিলো ফুটবল খেলা। ফুটবল খেলা নিয়ে কত মধুর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি শৈশবে । সেই মুহূর্ত গুলো এখনো মনে পড়লে হৃদয় শিহরিত হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ আপনাকে স্মৃতিচারণ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

এইতো বছরখানেক আগেও মাঠে ফুটবল নিয়ে আমিও দৌড়াতাম। ফুটবল আমার পছন্দের খেলা। আহ সারাটা দিন অপেক্ষায় থাকতাম কখন বিকেল হবে। কিন্তু আজ সেটাও যেন ধূসর অতীত। ফুটবল নিয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার কথা এখন ভাবতেও পারি না।