ভ্রমণ পোস্ট: সময়ের মূল্য বুঝতে ট্রেন ভ্রমণে একদিন।
আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদেরকে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকের ব্লগ এ আমি সময়ের মূল্য বুঝাতে ট্রেন ভ্রমণে একদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
আমি প্রায় বেশিরভাগ কলেজ যাতায়াত ট্রেনেই করে থাকি। অটো বা বাসের তুলনায় ট্রেন ভ্রমণই আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। তবে আমাদের দেশে ট্রেন ভ্রমণ আনন্দময় হলেও এর কিছু অসুবিধাও আপনাকে উপভোগ করতে হবে। যেমন ধরেন আপনি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতেছেন কিন্তু ট্রেন সঠিক সময় আসতেছেনা আবার কখনো একদুই মিনিট দেরি করে গেছেন , দেখলেন ট্রেন আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা আর ট্রেন আপনাকে ছেড়ে চলে যাওয়া দুটাই বিরক্তিকর।
কয়েকদিন আগে ট্রেনে করে আমি কলেজে গিয়েছিলাম। সকাল ছয়টা ত্রিশ মিনিটে একটি লোকাল ট্রেনে করে শ্যামপুর থেকে লালমনিরহাটে গিয়েছিলাম। এই ট্রেনের কোন সময়সূচী ঠিক নেই। সকালে অবশ্য সঠিক সময়ে আসে। যাওয়ার সময় তেমন সময় লাগে না কারণ সকালবেলা কোন ক্রসিং থাকে না। আসার সময় যত জল্পনা কল্পনা পোহাতে হয়। সময়ের মূল্যটা তখন বোঝা যায়। ট্রেনের আসার সময় সূচি ছিল একটাই। একদিন কলেজ থেকে বের হতে একটু দেরি হয়েছিল, লালমনিরহাট স্টেশনে আসতে প্রায় তিন মিনিট দেরি হয়েছিল। এসে দেখি ট্রেন আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে।সেইদিন ট্রেনটি সঠিক সময়ে এসেছিল এবং আমাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। ২/১ মিনিটের জন্য ট্রেন মিস হলে অনেক খারাপ লাগে।
আবার আরেকদিন হয়েছে কি ! আমরা একটার আগেই স্টেশনে এসে পৌঁছাই। স্টেশনে এসে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো বসে ছিলাম তবুও ট্রেনের আসার কোন নাম গন্ধ ছিল না। অবশেষে ট্রেন ২:৩০ মিনিটে এসেছিল অথচ এই ট্রেন আসার কথা ছিল একটার সময়। আসার সময় কয়েকটি স্টেশনে ক্রসিংয়ের জন্য 30 মিনিট করে অপেক্ষা করা লাগে যা খুবই বিরক্তিকর। ক্রসিংয়ের সময় আমরা ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে হালকা পরিসরে নাস্তা সেরে নেই এবং স্টেশনের সৌন্দর্য উপভোগ করি।
আমার কলেজ আসা যাওয়ার মাঝে সবথেকে বেশি সৌন্দর্যময় স্টেশন হচ্ছে কাউনিয়া স্টেশন। এই স্টেশনের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে থাকবে। স্টেশনের পাশে বিশাল একটি পুকুর রয়েছে পুকুর পাড়ে অনেক বড় বড় কয়েকটি নাম না জানা কাঠের গাছ রয়েছে। এই কাঠ গাছের ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ট্রেন ক্রসিংয়ের সময় আমি এই স্টেশনের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
রেল লাইনের পাশে এই বিশাল গাছটির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি উঠালে দেখতে অনেক সুন্দর দেখা যায়। আমরা প্রায় এইখানে নিজেদের ছবি উঠিয়ে থাকি। ট্রেন ভ্রমণ করলে অনেক অভিজ্ঞতা এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে সময়ের মূল্য কত তা বুঝা যায়। আপনারা চাইলে ট্রেন ভ্রমণ করতে পারেন। ট্রেন ভ্রমণ বিরক্তিকর হলেও আমার কাছে তা ভালোই লাগে। তবে কারো ইমারজেন্সি কোথাও যাওয়া লাগলে ট্রেন ভ্রমণ হতে বিরত থাকুন। সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না এক্ষেত্রে অটো অথবা বাসই ভালো।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আপনারা যারা ট্রেন ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন কমেন্টে জানাবেন।
Device | Tecno spark 20c |
---|---|
Camera | 50 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
বাংলাদেশ বলে কথা। ছয়টার ট্রেন নয় টায় আসবে এটাই স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে লোকাল ট্রেনগুলো আসতে এতটাই দেরি করে তাকিয়ে থাকতে থাকতে যেন নিজের মধ্যে অন্যরকম অস্বস্তি লেগে আসে মনে হয় যেন মারামারি শুরু করি কারো সাথে। তাইতো এখানে ঠান্ডা মাথায় অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় ট্রেন ভ্রমণ করলে। তবে আনন্দ ও আছে অনেক ট্রেন ভ্রমনে। ধন্যবাদ ভাইয়া।