জীবনের গল্প || গুগলের মুরিদ হয়ে গেছি আমরা
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখন সুস্থ এবং ভালো আছি। তবে ঠান্ডার ঝাঁজ এখনো একটু অবশিষ্ট আছে। এটা আসলে থাকারই কথা, কারণ আমরা যা খাচ্ছি কিংবা যে পরিবেশের মাঝে থাকছি এর ব্যতিক্রম কিছু হওয়ার কথা নয়। সুন্দর পরিবেশ মানেই সুন্দর ও সতেজ প্রকৃতি, আর সতেজ প্রকৃতি মানেই হলো সুস্থ্য ও সবল দেহ। সুস্থ্য আর সুন্দর দেহ মানেই হলো চঞ্চল মানসিকতা। এখন চিন্তা করে দেখুন, কোন অপশনটা আমাদের চারপাশে এ্যাকটিভ আছে। জ্বী এখন কোনটারই অস্তিত্ব নেই।
তবে হ্যা, উপরে উল্লেখিত অপশনগুলোর কোন একটাও ঠিক না থাকলেও একটা নতুন অপশন ঠিকই এ্যাকটিভ আছে। আর সেটা হলো গুগল মশাই। শুধু মশাই নয় বরং পণ্ডিতও বলা যেতে পারে। কারণ আজকাল আমাদের সকল জিজ্ঞাসা কিংবা কৌতুহল এখন এই পণ্ডিত মশাই সমাধান দিয়ে থাকেন। চিন্তা করে দেখুন, চারপাশের সব কিছু নষ্ট হয়ে গেলেও নতুন একটা বিষয় ঠিক আমাদের মাঝে আশা জাগিয়ে তুলছে। এখন বলতে পারেন এর সাথে সুস্থতার সংযোগ কোথায়? কিংবা অসুস্থতার বিষয়টির সাথে কি যোগসূত্র আছে? হুম, সবগুলোরই একটা দারুণ যোগসূত্র রয়েছে।
এখন আপনি যদি চারপাশের এই অসুন্দর অপশনগুলোর পরিবর্তন করতে চান তাহলে কি করতে হবে? সেটা কিন্তু আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন গুগল পণ্ডিত মশাই এর নিকট হতে। আবার আপনি যদি অসুস্থ হয়ে যান তাহলেও কিন্তু আপনি গুগলের পরামর্শ নিতে পারেন, কিভাবে বা কি কি ব্যবহার করলে আপনি খুব দ্রুত এই অবস্থা হতে উত্তরণ করতে পারেন, দেখবেন গুগল হতে নানা ধরণের পরামর্শ আপনাকে দিতে থাকবে, কোনটা ব্যবহার করলে কি হবে এবং কত দ্রুত আপনি সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন, সেগুলোও কিন্তু বেশ দারুণভাবে বর্ণনা করে দিবে।
সহজভাবে বলতে গেলে আধুনিক এই প্রযুক্তির যুগে আমরা কম বেশী সবাই গুগল পণ্ডিত মশাইয়ের মুরিদ হয়ে গেছি। হ্যা, আপনি ঠিকেই শুনেছেন মুরিদ। এই মুরিদ শব্দটা কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় কারণ আমরা আধ্যাত্নিক আত্মশুদ্ধির জন্য এমন নানা ধরণের সাধকের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। গুগলের সাথে আমাদের বর্তমান সম্পর্কটা অনেকটাই সেই রকম। না না না আমি এটার বিরোধিতা করছি না, তবে হ্যা, একটা প্রশ্ন অবশ্যই করতে চাই আর সেটা হলো সবগুলোই ঠিক হচ্ছে আমাদের জন্য, মানে সবগুলোই উপকারী আমাদের জন্য?
আমার মনে এই বিষয়ে একটা দ্বিধা বেশ স্পষ্ট হয়ে আছে, সব কিছুর ব্যাপারে কিংবা সব কিছুর ক্ষেত্রে আমরা কেমন জানি গুগলের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। আজকাল তারিখ নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা গুগলের কাছে যাই, বাঙালী হয়েও বাংলা মাসের নাম ও দিনক্ষণ জানার ক্ষেত্রে গুগলের কাছে দৌড় দেই। এখন চিন্তা করে দেখুন, পুরো বিষয়টি চিন্তা করুন, গুগল কি আমাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে নাকি আমাদের আরো বেশী দুর্বল করে দিচ্ছে, প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা কি এগিয়ে যাচ্ছি নাকি এগিয়ে যাওয়ার আদতে পিছিয়ে পড়ছি?
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR





আসলে প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে, আমরা ততই দুর্বল এবং অলস হয়ে যাচ্ছি। কারণ আমরা দিনদিন পুরোপুরি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। তো সেই হিসেবে বলাই যায়, আমরা গুগলের মুরিদ হয়ে গিয়েছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।