২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় বাংলার
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন নিয়মিত! আপনারা হয়তো জানেন যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম বাংলাদেশ সফরে এসেছে! তো ইতোমধ্যে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে। সিরিজে এ ১-১ এ সমতায় ফিরেছে। ২য় ম্যাচে সুপারওভারের নাটকিয়তায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যায়। ম্যাচটি বাংলাদেশের অনুকূলেই ছিল। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেই যেত যদি সোহান শেষের ক্যাচটি ধরতে পারতো। তো মিরপুরের পিচ নিয়ে কিছু বলার নেই! পিচের ভয়াবহ অবস্থা। স্বভাবতই স্পিন বোলাররা সুবিধা পায় মিরপুর স্পিচে! তো তৃতীয় ম্যাচটি দুদলের জন্যই গুুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ছিল এটি! তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ!
শুরুতেই ওপেনিং এ নামে সৌম্য ও সাইফ। আগের দুইটা ম্যাচে সৌম্য ভালো পারফর্ম করতে পারনেনি। এদিকে সাইফ হাসানও লং কোনো ইনিংস খেলতে পারছিল না। সবমিলিয়ে তাদের দুজনকে নিয়ে নানা ধরনের কথা হচ্ছিল। তো ইনিংসের শুরুটা দারুনভাবে করেছিল দুজন! শুরু থেকে দারুনভাবে ওয়েস্টইন্ডিজ এর স্পিন বোলারদের ট্যাকেল দিতে থাকে। আকিল হোসেনের স্পিন ঘূর্নি দেখেশুনেই সামলায় দুজন। তবে চেইসের বলে পাওয়ার হিটিং করেই ব্যাটিং করে দুজন। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। ১৬ ওভারের আগেই ১০০ রান স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ করে ফেলে দুজন। তারা দুজন এমনভাবে ব্যাটিং করছিল মনে হচ্ছিল ব্যাটিং পিচ এটা! একের পর এক বাউন্ডারি মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে দুজন! ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ৩০০ + রান স্কোরবোর্ডে এ জমা হবে। তবে তাদের দুজনের জুটি ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১৭৬ রান!
সাইফ হাসানের আউট হওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের পার্টনারশিপ টা ভাঙে। তবে সাইফ হাসান ব্যক্তিগত ৮০ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে তৌহিদ হৃদয়! তৌহিদ নামার পরে সৌম্যও আউট হয়ে যায়। তবে সৌম্য ব্যক্তিগত ৯১ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। সৌম্য সরকার অনেকদিন পর একটা ভালো ইনিংস উপহার দেয় দর্শকদের। তারপর মাঠে আসে শান্ত। শান্তর পারফর্মেন্স ও তেমন ভালো যাচ্ছে না। শান্ত ও হৃদয় মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। রানের চাকা তখন কিছুটা স্থির! তবে শান্ত একটু স্ট্রাইক রোটেইট করেই খেলছিল। তাদের পার্টনারশিপ টা বড় করতে পারেনি। তৌহিদ হৃদয় ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ২৫২ রান তখন শান্তও আউট হয়ে যায়। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ৪৪ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়ে যায়!
তারপর শেষের দিকে আর তেমনভাবে কাউকে জ্বলে উঠতে দেখেনি। শেষ অবধি বাংলাদেশ আট উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়! তো এমন পিচে এ রান চেইস করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য কঠিনই বটে! বাংলাদেশ একাদশে স্পিন বোলারদের সংখ্যাটাই ছিল সবচেয়ে বেশি! তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি! পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর মূল টার্গেট ছিল সেই হোপ! আগের ম্যাচে সে ভালো পারফর্ম করেছিল।সেই হোপকে প্যাভিলিয়ন এ ফেরায় তানভীর ইসলাম! এরই মাধ্যমে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাটা আরও সহজ হয়ে যায়। তারপর আর তেমন কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায়। একের পর এক যাওয়া আসার খেলায় চলতে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামে ১১৭ রানে। তিনটি করে উইকেট নেয় রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ! প্লেয়ার অফ দা নির্বাচিত হয় সৌম্য সরকার!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।








আপনি খুব সুন্দর ভাবে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলার রিভিউ শেয়ার করছেন।তবে দ্বিতীয় যে ম্যাচটি হয়েছিল ওটাই কিন্তু বাংলাদেশ জিতে যেতো।যাইহোক বাংলাদেশ অনেক বড় ব্যবধানে সিরিজ জিতছে এটাই আমাদের কাছে অনেক।বাংলাদেশ টিমের জন্য সবসময় শুভকামনা রইলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সিরিজ জয় করেছে এটা বেশ ভালো খবর কিন্তু এই সিরিজের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছে একদম বাজে বলবো আমি কেননা যখন সেই ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ালো তখন এক্সট্রা রান দিয়েছিল অনেকটা কিন্তু তারপরেও তারা জয় লাভ করতে পারেনি ব্যর্থ হয়েছিল আমি মনে করি এর থেকে খারাপ কিছু আর হয় না। যাই হোক তারপরেও শুভকামনা জানাচ্ছি প্রিয় বাংলার টাইগারদের।
হ্যা ভাই এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। একটা ম্যাচ খারাপ খেলেছিল।