কীর্তিমানের মৃত্যু নেই!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটা সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ । আসলে মানুষের জীবনটা হলো ক্ষণস্থায়ী! এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমাদের মানুষ কিভাবে মনে রাখবে বলুন তো! নিশ্চয় আপনার কর্মের মাধ্যমেই মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। ইতিহাসের পাতা ঘাটলেই দেখা যায় বিখ্যাত ব্যক্তিদের কেন মানুষ এখনও স্মরণ করছে। তারাঁ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাদের কর্ম এখনও বেচেঁ আছে।
আপনি যদি বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের কথায় চিন্তা করুন না কেন। ভাষা আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছিল তাদের আজও আমরা ভুলতে পারেনি। তারা আজও আমাদের বেচেঁ আছে। ভাষা দিবসে আমরা তাদেরকে স্মরণ করি। তাদের ভাষার জন্য প্রাণ দেয়া এই মহাকীর্তির জন্যই আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। আবার দেখেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা। মুক্তিযুদ্ধে কতোশত মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। তাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেলাম স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ!
আসলে তারা প্রমাণ করে গিয়েছেন কীর্তিমান হতে হলে এতোকিছুর প্রয়োজন নেই। নৈতিক আদর্শ ও দেশপ্রেমের কারণেই আজ মানুষ তাদেরকে স্মরণ করছে! কীর্তিমান হতে হলে আপনাকে হতে নীতিবান, সত্যের পথে অবিচল, ন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর! আপনার মাঝে যদি গুণগুলো থাকে তাহলে আপনি এ পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পরেও মানুষ আপনাকে মনে রাখবে, ভালোবাসবে। তারই একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ শহীদ শরীফ ওসমান হাদী। যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন আপোষহীন। সবসময় ন্যায়ের পক্ষেই কথা বলে গেছেন।
আর এই ন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই তিনি শহীদ হয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলায় বুলেটের আঘাতে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। আসলে মারা যাওয়ার পর মানুষ বুঝতে পেরেছে আমরা কি হারালাম! কথায় আছে না! " আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে! " তারই বাস্তব উদাহরণ ছিল আমাদের হাদী ভাই। সহজ সরল জীবন যাপন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ছিল তার প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর এসবের কারণেই মানুষের মনে খুব সহজেই জায়গা করে নিয়েছিলেন।
তিনি প্রমাণ করে গেছেন! কীর্তিমানরা কখনো মরে না। তারা বেচেঁ থাকে যুগের পর যুগ ধরে। হাদী ভাই আমাদের জন্য এক আদর্শ বলা যায়। বর্তমান তরুণ সমাজ তারই পথে পরিচালিত হয়ে বাকি স্বপ্ন গুলো পূরণ করা উচিত! যতদিন না ইনসাফের বাংলাদেশ কায়েম না হবে ততদিন পর্যন্ত এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। দিনশেষে আপনার কাজ আপনাকে ডিফাইন করবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।



