৩য় পর্ব || কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ20 days ago

হিমছড়ি ঝর্ণার পানি মোটমোটি বেশ ঠান্ডা ছিল। শীতের মধ্যে কেউ গোসল করার সাহস পায়নি। আসলে এ জায়গাগুলোতে মানুষ আসেই শুধু ছবি তোলার জন্য। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ কয়জনই বা উপভোগ করে। হিমছড়ি ঝর্ণার শীতল পরিবেশে নিজের হৃদয়কে শীতল বানিয়ে দিলাম। যেহেতু অনেকগুলো স্পট ঘুরার প্রয়োজন আমাদের তাই সেখানেও বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। আমাদের পরের গন্তব্য পাহাড়ের উপরে উঠা। পাহাড়ে উপরে উঠতে গিয়ে খেলাম এক ধাক্কা! সিড়ির ব্যবস্থা করা আছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো সিড়িগুলো বেশ উচুঁ, একেবারে খাড়াভাবে উপরে উঠে গেছে।

২য় পর্বের পর

Messenger_creation_89D64C79-76E6-472C-B061-D5D7A9D0DF0B.jpeg

Messenger_creation_B765C328-793B-45FE-B1CB-3D27F0784A6B.jpeg

খাড়া সিড়ি বেয়ে উপরে উঠা কঠিন। সেটা যদি হয় দশতলা বিল্ডিং সমান উচুঁ তাহলে বুঝতেই পারছেন কতো উচুঁ সেটা! অর্ধেক উঠেই হাটুঁতে ধরে ফেলে। তবুও অনেক কষ্টে উপরে উঠলাম কারণ পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্রের ভিউটা চমৎকার হয়। একটু পর পর সমুদ্রের ঢেউ এসে আচড়ে পরবে। তবে পাহাড়ের উপরে দেখি ক্যামেরাম্যান এর অভাব নেই। ভাগ্যিস আমি বুদ্ধি করে ছোট ভাইয়ের ফোনটা সাথে নিয়ে গেছিলাম। উপরে উঠে বেশ কিছু ছবি তুললাম। আরও অনেক মানুষ সেখানে এসে ছবি তুলছে। পিছনে সমুদ্র থাকার কারণে ভিউটা দারুণ আসছিল।

Messenger_creation_40B21822-4A1B-49DD-9FC3-B4B31339306F.jpeg

Messenger_creation_BEEFC1C5-84B2-4068-9DE1-95BF472ABC36.jpeg

Messenger_3CF07520-EC6E-4660-A7B7-607323BB69BB.jpeg

তো সেখানেও বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। কারণ আমাদের বলে দিয়েছিল দুপুর দুইটার আগেই মেইন স্পটে ব্যাক করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে দুপুরের খাবার খেতে হবে। তো আমরা কয়েকজন নিচে নেমে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু দোকান। দোকানে কসমেটিকস্ আর আচার টাইপের জিনিসই বেশি। শুনেছিলাম কক্সবাজারের ভার্মিস আচার বিখ্যাত। তবে আমি এক কেজি বড়ই এর আচার নিয়েছিলাম ২০০ টাকা দিয়ে। অল্প একটু টেস্ট করে নিয়েছিলাম অবশ্য। তাছাড়া বিকালে হালকা নাস্তা করার জন্য বাদামের কটকটি ভাজা নিয়েছিলাম। এগুলো খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।

Messenger_creation_3C1574F5-ABAD-4742-B3F9-00800508DF7B.jpeg

Messenger_7D6E89F7-1F69-4C79-8C89-24ABCC8E3D29.jpeg

আরও কয়েকজন কিছু কেনাকাটা করেছিল। ওদের কেনাকাটা শেষে করতে দেরি হয়ে যায়। আসার সময় দেখলাম একদম টাটকা পাহাড়ি পেপে ফল। দেখে লোভ সামলাতে পারেনি। ৪০ টাকার পেঁপে কাটা নিয়ে নিলাম। লবণের সাথে খেতে অসাধারণ লাগছিল আসলে। খাওয়া শেষ করে দ্রুত চলে গেলাম গাড়ির কাছে। গাড়ির কাছে গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে। অনেকক্ষণ ধরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। তো আমাদের পরবর্তী স্পট কাকড়া বিচ ও ঝাউবন এর এখানে যাওয়া।

চলবে,,,,,

DeviceSamsung S20
LocationHimchuri, Coxs-bazar

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟