সৌন্দর্য থেকেও ব্যক্তিত্ব গুুরুত্বপূর্ণ!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো মাঝে মাঝে ভালো থাকা যায় না পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে। আজকে দুপুর থেকেই একটা নিউজ দেখে খুবই মর্মাহত হলাম। আসলে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের কোনো মূল্য কতটুকু? জুলাই যোদ্ধা হাদি ভাইয়ের মাথায় গুলি! একটি জঙ্গি সংগঠন হত্যার চেষ্টা করেছিল। তো আশার কথা হলো সে এখনও বেচেঁ আছে তবে বেচেঁ থাকবে কি না সেটা বলা যাচ্ছে না। আসলে বাংলাদেশের রাজনীতি আমার মোটেও পছন্দ না! রাজনীতির ভিতরে যে পক্ষপাতিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতার অপব্যবহার! এগুলো আমার মনে হয় না বাংলাদেশে কখনো শেষ হবে! এ গুনগুলো আমৃত্যু থেকে যাবে! এখন কথা হলো এগুলার জন্য বলির পাঠা হয় কেন সাধারণ মানুষদেরকে!
আজকে সে বিষয় নিয়ে লিখবো না। আজকে মানুষের গুণাগুণ নিয়েই কথা বলবো! তো সৌন্দর্যের প্রেমে সবাই পরতে চাই। সেটা কোনো দোষের কিছু না। যেমন ফুলেরও বাহ্যিক সৌন্দর্য আছে! মানুষের বেলায়ও কিন্তু তাই! তবে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখেই কি আমাদের বিচার করা উচিত সবকিছু! মানুষের জীবনের কয়েকটা পর্যায় থাকে শৈশব থেকে বৃদ্ধ হওয়া অবধি! সবসময় কি মানুষের সৌন্দর্য একই থাকে। বয়স যত বাড়ে সৌন্দর্য ততো ক্ষয়ে যায়। শরীরে চামড়া হয়ে যায় ফিকে! আসলে সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রদত্ত! এটা কখনো পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু মানুষের ব্যক্তিত্ব! সেটা কিন্তু পরিবর্তনশীল। সময়ের সাথে সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন করা যায়! একজন মানুষ ভালো কি না মন্দ সেটা আমরা তার ব্যবহার বা ব্যক্তিত্ব দিয়েই মূল্যায়ন করি।
যে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব যতো ভালো সে ব্যক্তি ততো উন্নত! মানুষ তাকে ভালোবাসবে, সম্মান করবে! হতে পারে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য নেই! কিন্তু তার ব্যবহার অনন্য! ব্যবহার দিয়েই কেবল মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়া যায়! আপনি চেহারা যতই সুন্দর হোক না কেন, যদি আপনার ব্যবহার ভালো না হয় তাহলে কেউ আপনাকে মূল্যায়ন করবে না, ভালোবাসবে না! অনেকেই আছে সৌন্দর্য নিয়েও অহংকার করে! তার চেহারা ভালো, সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু এই সৌন্দর্য নিয়ে আপনি গর্ব করতে পারেন না! সেটাও একটা সময় ক্ষয়ে যাবে। তবে তার ব্যবহার যদি ভালো না হয় তাহলে তাকে কেউ পছন্দ করবে না। পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তাদের অসামান্য ব্যক্তিত্বের কারণেই মানুষ তাদেরকে মনে রেখেছে।
আপনি জীবনে সাফল্যের কথায় ধরুন না কেন? সৌন্দর্য এর থেকে যথাযথ গুণ সম্পন্ন মানুষ এগিয়ে থাকবে। নরমালি একটা বিষয় খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। ধরেন, একজন শিক্ষার্থীর কথায়। তার চেহারা তেমন ভালো না কিন্তু সে অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট। শিক্ষার্থীরা তার আচরণ দেখে মূল্যায়ন করবে না কি চেহারা দেখে? অবশ্যই তার রেজাল্ট দেখে বা সে যে মেধাবী সেটা দেখে মূল্যায়ন করবে! আমাদের আসলে সে কাজটাই করা উচিত! কারো চেহারা দেখে নয় বরং ব্যক্তিত্ব দেখেই তার প্রেমে পরা উচিত, তাকে ভালোবাসা উচিত! মানুষ মারা গেলে তার কর্ম, তার ব্যক্তিত্বের কথায় মানুষ মনে রাখবে। সে কি কালো নালি সাদা ছিল সেটা মনে রাখবে না! এজন্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, নীতিবান মানুষ হওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।



