২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় বাংলার!
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন । তো সুস্থ্য থাকাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে আবার। ঘন ঘন ভূমিকম্পে সবাই মোটামোটি আতঙ্কে আছে! বিশেষ করে যারা শহরে থাকে। আমাদের ভার্সিটিও বন্ধ দিয়েছিল কয়েকদিনের জন্য। তো যায়হোক, আপনারা যারা খেলাধুলা করেন। অথবা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর নিয়মিত রাখেন। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট টিম এসেছিল দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে। তো আমি শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়েই আলোচনা করবো। আসলে আয়ারল্যান্ড এর টি-টোয়েন্টি পারফর্মেন্স কিন্তু বেশ ভালো। বেশিরভাগ প্লেয়ারই তাদের বিগ ব্যাশ লিগে খেলে।
বাংলাদেশ একটা সুবিধা তো পাবেই যেহেতু ঘরের মাঠে হচ্ছে খেলাটা। ঘরের মাঠে খেলা হলে বাংলাদেশ ভালো পারফর্মেন্স করে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণভাবে হোচট খেয়েছিল। খুব বাজেভাবে হেরেছিল আসলে। তৌহিদ হৃদয় ছাড়া কেউ ভালো পারফর্ম করতে পারে নি। তো দ্বিতীয় ম্যাচটাও ছিল গুুরুত্বপূর্ণ। হেরে গেলে সিরিজ জিতে যাবে আইরিশরা। তাই বুঝেশুনেই খেলতে হবে। তো দ্বিতীয় ম্যাচটাতে বাংলাদেশ দারুণভাবে কামব্যক করেছিল। তো দ্বিতীয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জিতে ১-১ এ সমতায় আসে। আর এদিকে তৃতীয় ম্যাচটা ছিল খুবই গুুরুত্বপূর্ণ ! কারণ যে দল জিতবে তারাই সিরিজ জিতে যাবে। বলা যায়, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচই ছিল এটা।
তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। আগের ম্যাচেও আগে ব্যাটিং করেছিল। শুরুতেই মাঠে নামে ক্যাপ্টেন স্ট্রিলিং ও টিম ট্যাক্টর! আয়ারল্যান্ড শুরুটা বেশ ভালো করেছিল। আগের ম্যাচে রিশাদকে বাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে রিশাদকে দলে নেয়া হয়। পল স্টারলিং খেলার শুরুটা ভালোই করেছিল। একটা বড় স্কোর করার ইঙ্গিত দিয়েছিল তার ব্যাট। পল স্টারলিং ডাউন দা ট্র্যাকে খেলতে পছন্দ করে। তো আয়ারল্যান্ড এর দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৮ রান তখন ট্যাক্টর শরীফুল ইসলাম এর বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। তারপর মাঠে আসে হ্যারি ট্যাক্টর। আগের ম্যাচে সে ভালো পারফর্ম করেছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ইনসাইড এইজ হয়ে আউট হয়ে যায় মোস্তাফিজের বলে!
তারপর মাঠে আসে টাকার। কিন্তু নামার পরেই মেহেদী হাসানের বলে এলডব্লিউর শিকার হয়ে সাজঘরে চলে যায়! তারপর মাঠে আসে চাম্পার। স্টারলিং এর সাথে একটা পার্টনারশিপ গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল কিন্তু সেটাও ব্যর্থ হয়। রিশাদ হাসানের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে চলে যেতে হয়। তারপর মাঠে আসে ডকরেল! ডকরেল কে নিয়ে স্টারলিং একটা পার্টনারশিপ দাড় করানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা একটা প্রেসার ক্রিয়েট করে। রান রেইট কম দিয়ে! আর তখন স্টারলিং ছক্কা মারতে গিয়ে রিশাদের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! দলীয় সংগ্রহ তখন ৭৫ রানে পাচঁ উইকেট। মোটামোটি টপ অর্ডার ব্যাটার সবাই ব্যর্থ হয়। তো শেষ অবধি সবকটি উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড ১১৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
তো ১১৭ রান চেইস করে জেতাটা সহজই । কারণ ঘরের মাঠে বাংলাদেশ একটু সুবিধা তো নিবেই। আর এই পিচে এভারেজ রান ১৫০ এর মতো। তো শুরুতেই ওপেনিং এ নামে তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। কিছুটা পরিবর্তন করে নামানো হয়। শুরুতে দুজনই দারুণ ব্যটিং করে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৩৮ রান তখন সাইফ হাসান আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে নামে ক্যাপ্টেন লিটন! আগের ম্যাচে সে হাফ সেঞ্চুরি করেছিল। তো লিটনও দারুণভাবে শুরু করে কিন্তু মাঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। ৪৬ রানে বাংলাদেশ দুটি উইকেট হারায়! তারপর মাঠে আসে ইমন। আর শেষ অবধি তামিম ও ইমনের জুটিতে বাংলাদেশ জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে! তানজিদ তামিম ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।








