গ্রামের ভিতর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ( ১ম পর্ব)।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গ্রামের ভিতরে চতুর্দিকে কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু শহর ছেড়ে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য গ্রামের ভিতর বেরিয়ে পড়ছি।আমরা দুপুরে খাওয়া শেষ করে বাসা থেকে বের হলাম।আসলে একটি কথা না বললে নয়, আমরা সব সময় আমাদের সময়টুকু ফোনের মধ্যে কেটে দিয়। ফোন ছাড়া আমরা এক মিনিটও নিজেকে কল্পনা করতে পারি না। আমরা সবসময় শহরে থাকি এবং শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করি। গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করার মত আমাদের সময় থাকে না।অথচ গ্রামের চতুর্দিকে রয়েছে বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা আমাদের মনকে আনন্দিত এবং মনমুগ্ধ করে।
তখন সময় বিকেল বেলা আমি এবং আমার বন্ধুরা আমরা গ্রামের ভিতরে রাস্তার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি।
এই গ্রামটি ছিল আমাদের শহরের পাশেরই একটি গ্রাম।আমরা রাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে চারদিকের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছি এবং মাঝে মধ্য আমরা সৌন্দর্যের দৃশ্যগুলো ছবি তুলছি।বিশেষ করে শেষ বিকেলের সূর্যাস্ত, গ্রামের সোনালী ধানক্ষেত গ্রামের শীতল হাওয়া, সবই যেন উপভোগ করার বিষয়!আমরা যখন রাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে চাচ্ছিলাম তখন গ্রামের সেই মুক্ত বাতাস আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। বিকেল বেলার মৃদু বাতাস আপনি প্রাণ ভরে গ্রহণ করতে পারবেন।যখন আমরা এই মৃদু এবং মুক্ত বাতাস উপভোগ করছি তখন আমাদের ইচ্ছে হচ্ছে অন্য জগতে হারিয়ে যেতে।
আসলে আমাদের কয়েকজন বন্ধু আমরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। আমাদের জন্মস্থান গ্রামে।হয়তোবা আমাদের গ্রামে বসবাস করার সুযোগ হয়নি। আমরা ছোটবেলা থেকে শহরে চলে এসেছি পড়ালেখা শিখার জন্য।আমাদের এই সময়টুকু আমরা শহরের পরিবেশের সাথে মিশে আছি। গ্রামের পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের কোন কিছু জানা নেই।এভাবে যখন আমরা সামনের দিকে রাস্তার উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন আমরা লক্ষ্য করেছিলাম গ্রামের চারদিকের পরিবেশ এবং অবস্থা।
রাস্তা দুই পাশের ফসলের জমিন, ছোট ছোট বাগানের গাছপালা এবং রাস্তার পাশে পুকুরে মাছগুলো আমাদের মনকে আনন্দিত এবং মনোমুগ্ধ করেছে।
আমরা লক্ষ্য করেছিলাম রাস্তার পাশে একটি পুকুরের মধ্যে অনেকগুলো মাছ পানির মধ্য বেশে খাবি খাচ্ছে।
একজন বয়স্ক ব্যক্তি পুকুরের মধ্যে মাছকে খাবার দিচ্ছে। কিছুটা সময় ধরে আমরা এই সৌন্দর্যটি উপভোগ করেছিলাম।আসলে একটি কথা হলো, যারা গ্রামে বসবাস করে গ্রামের পরিবেশ এবং সৌন্দর্যের সাথে তারা মিশে আছে। গ্রামের সৌন্দর্য তাদের কাছে এখন আনন্দিত মনোমুগ্ধকর মনে হয় না।
আসলে গ্রামের আগের অনেক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে, যেখানে অনেক বনে জঙ্গলে ঘেরাও ছিল। সেখানে আজকে বন জঙ্গল এখন আর দেখা যাচ্ছে না।আগে গ্রামে অনেক বন-জঙ্গল দেখা যেত! ঝোপঝাড়ে চারপাশ ঢাকা থাকতো! দিনের বেলায়ও মনে হতো যেন ঘুটঘুটে অন্ধকারের মতো আছি।মানুষ দিনের বেলায়ও এই অন্ধকারের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে ভয় পেতো।বর্তমানে এগুলো প্রায় আর দেখা যাচ্ছে না। সবগুলো কেটে ধীরে ধীরে মানুষ নতুন করে ঘরবাড়ি তৈরি করতেছে।
আমরা যখন রাস্তার উপরে দিয়ে হেঁটে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমরা চারপাশের এই করুন দৃশ্যগুলো লক্ষ্য করেছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরের সেই দারুন মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে আগামী ২য় পর্বে শেয়ার করবো,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | গ্রাম |
share on twitter
https://x.com/HaniferMd/status/1789541204956471428
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনারা বন্ধুরা মিলে গ্রামের রাস্তার ভেতর দিয়ে হাটাহাটি করেছেন প্রকৃতির মাঝে। নিজের গ্রাম ছেড়ে পাশের গ্রামের রাস্তায় গিয়ে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সত্যি বলতে যারা ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছে একমাত্র তারাই বুঝতে পারবে যে গ্রামটা কতটা সুন্দর। চমৎকার কিছু প্রকৃতির দৃশ্য আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।