বাসায় মেহমানদের জন্য খাবারের আয়োজন।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের বাসায় মেহমানের জন্য কি কি ধরনের খাবার আয়োজন করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল থেকে আমরা জানতে পারলাম যে আমাদের বাসায় কিছু মেহমান আসবে আজকে। তাই আমরা গতকাল থেকেই আমাদের মেহমানের খাবার আয়োজনে জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।আমি গতকালকে একটি রুটিন করেছিলাম। বাজারে যাব বাজার থেকে কি কি জিনিস কিনতে হবে খাবারে আয়োজন করার জন্য।এরপর গতকালকেই আমি বাজারে গিয়েছিলাম। বাজার থেকে আমি কিনেছিলাম গরুর মাংশ, ডিম, মুরগি, মাছ ইত্যাদি।
প্রতিটি জিনিসই সংরক্ষণ করার প্রয়োজন, তাই আমরা আমাদের ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম সবগুলো জিনিস।যেহেতু মেহমান তো আজকে আর আসতেছে না, আগামীকাল আসবে।
যাইহোক, আমরা পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।রাতের পর দিন হল, আজকে আমাদের মেহমান আসবে, সে উদ্দেশ্যে আমরা তাড়াতাড়ি সবাই ঘুম থেকে উঠেছিলাম।এরপর আমরা আমাদের খাবারের আয়োজন গুলো প্রস্তুত করতে শুরু করে দিয়েছি।যেহেতু মেহমান আসবে প্রায় ১১.০০ টার দিকে, তাই সকালের নাস্তা, আমাদের পরিবারের সকল সদস্য মিলে আমরা সবাই নাস্তাটা করে নিয়েছি।এরপর আমরা সবাই কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
আমি লক্ষ্য করেছিলাম, গতকালকে বাজার থেকে কিনা ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করা জিনিস গুলো মাংস, ডিম, মাছ,মুরগি গুলো ফ্রিজ থেকে ধীরে ধীরে বাহির করতেছিল আমার মা।তাই আমি একটু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে, আমার মাকে একটু সহযোগিতা করেছিলাম।সবগুলো জিনিসে আমি রান্না ঘরে নিয়ে রাখলাম।এরপর আমি একটু বাইরে গিয়েছিলাম। এদিকে আমাদের রান্নার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল।যখন সময় ১০:৩০ মি:এতে আমাদের রান্নার কাজ প্রায় পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছিল।তারপর আমি লক্ষ্য করেছিলাম আমাদের মেহমান চলে এসেছিল।সকল মেহমানগণ আমাদের ঘরের ভিতর প্রবেশ করল।এরপর আমরা তাড়াহুড়া করে মেহমানদের জন্য কিছু নাস্তা প্রস্তুত করেছিলাম।
আমরা সকল মেহমানদেরকে আমাদের ডাইনিং টেবিলের উপর কিছু নাস্তা দিয়েছিলাম।তারা ধীরে ধীরে নাস্তা খাচ্ছিল আর আমাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করলো।এরপর নাস্তা খাওয়া শেষ করে, মেহমানেরা কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে আমাদের দুপুরের সম্পূর্ণ খাবার প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল।এরপর ধীরে ধীরে আমাদের সম্পূর্ন খাবার গুলো আমরা ডাইনিং টেবিল উপর নিয়ে আসলাম।এদিকে মেহমানেরা আবার ফিরে এসেছে আমাদের বাসার ভিতরে।এরপর সবাই ডাইনিং টেবিলের পাশে চেয়ারে বসলো। আমরা তাদেরকে খাবার দিচ্ছিলাম।আমরা সবাই মিলে একসাথে মেহমানদের সাথে বসে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।
দুপুরে খাওয়া শেষ করে আমরা এবং মেহমানেরা সবাই মিলে বাসার মধ্যে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলাম। আজকের জন্য এখানে শেষ করছি,পরে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হব, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
share on twitter
https://x.com/HaniferMd/status/1788860655547928741
বাসায় মেহমান আসলে আসলেই নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ বাসায় মেহমান আসলে অন্যান্য দিনের থেকে সেদিন মজাদার মজাদার কিছু খাবার রান্না করা হয়। বাসায় মেহমান আসলে তো আমার কাছে ঈদের দিনের মতো খুশি লাগে হাহাহা। যাই হোক বাসায় মেহমান আসা উপলক্ষে মজাদার খাবারের আয়োজন করেছিলেন এবং সেগুলোর ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কি আর বলব ভাইয়া পরিবারে মেহমানের আগমন মানেই যেন নতুন কিছু খাবারের আইটেম যোগ করে নেওয়া হয়। এমনিতেও প্রতিদিনের রুটিন বাদেই মেহমানদের জন্য মনে হয় আরো ভালো কিছু তাদের দেওয়া হোক। মেহমান এসেছে এটি আপনি অনেক খুশি এবং দেখছি একদম জমিয়ে রান্না করেছেন। আসলে ভাইয়া এত হরেক রকমের খাবার যদি টেবিলে থাকে তাহলে যেন মনের মধ্যে একটা অন্যরকম ফিলিংস হয়। দেখে মনে হচ্ছে এখনই আপনার বাসায় চলে যাই এবং নিত্যনতুন খাবারগুলো খেয়ে আসি তাতে বেশ প্রশান্তি লাগবে। তো কবে আসবো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে, পরবর্তীতে আবার আয়োজন করা হলে আপনাকে আমন্ত্রণ করা হবে।সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন
ভাইয়া আপনার পোস্টে মাংসের কথাটা লিখা ঠিক হয়নি। আপনি হয়তো জানেন এখানে এই কথাটি ব্যবহার করা ভীষণ অন্যায়। কারন আমরা অনেক ধর্মের লোক এখানে কাজ করি। যাইহোক আশা করছি এই ব্যাপারগুলোতে আরো বেশি সচেতন হবেন।
আসলে আপু আমার এটা জানা ছিল না। যেহেতু আমি "আমার বাংলা ব্লগের" একজন নতুন ব্লগার। পরবর্তী লেখার সময় সচেতন থাকবো। ধন্যবাদ আপনাকে।