পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয় (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


দেশের এই পরিস্থিতিতে কারোরই ক্রিকেট নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ ছিলো না। তবে আমি যেহেতু ক্রিকেট পাগল মানুষ। তাই বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টটা আমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখছিলাম। যখন চতুর্থ দিনের খেলা হচ্ছিলো তখন আমি ধরে নিয়েছিলাম এই টেস্ট ড্র হতে চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ যখন একটা ভালো রানের লিড নিয়ে নিলো। তখন মনে হতে লাগলো যদি পাকিস্তানের দ্রুত কয়েকটা উইকেট নিয়ে নেয়া যায়। তাহলে সম্ভব জেতা সম্ভব। তখনই মনে পড়ে গেলো ২১ বছর আগের সেই মুলতান টেস্টের কথা।

IMG_20240826_235235.jpg

সেই টেস্টেও বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো। তখনকার বাংলাদেশ দল ছিলো খুবই দুর্বল। সেই দুর্বল বাংলাদেশ দল শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে লড়াই করেছিলো। সেটা এখনো আমাদেরকে অনুপ্রেরণা যোগায়। তবে অনেক লড়াই করার পরেও আম্পায়ারের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত, পাকিস্তানের উইকেট কিপার রশিদ লতিফের প্রতারনা এবং ইনজামামুল হকের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচটা মাত্র এক উইকেটে হেরে গিয়েছিলো। গতকাল ২১ বছর পরে বাংলাদেশ হয়তো সেই হারের বদলা নিলো।

এমনিতেই পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড খুবই খারাপ। টেস্ট তো অনেক দূরের কথা ছোটো ফরম্যাট এর কোনো ম্যাচেও কখনো বাংলাদেশ জিততে পারেনি পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভেতরে সাদমান করেন ৯৩ রান। পরবর্তীতে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বাংলাদেশের ব্যাটিং এর মেরুদন্ড বলা হয় যাকে সেই মুশফিকুর রহিম ১৯১ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মমিনুল ইসলাম, লিটন দাস এবং পরবর্তীতে মেহেদী হাসান মিরাজ। সবার চমৎকার ব্যাটিং এর ফলে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৫৬৫ রান তুলতে সমর্থ হয়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ