সুর না পালটিয়ে অভ্যাস পালটান
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের চারপাশে আমরা মানুষ নিয়েই বসবাস করি। যদিও মানুষের বদলে যদি সেটা অমানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারতাম। তাহলে বোধহয় এই লেখার লেখকের মনে কিছুটা হলেও শান্তি আসতো। যাইহোক লেখকের মনে এখন শান্তি আনার কোনো প্রয়োজন নেই। এখন লেখাতেই একটু মনোযোগ দেওয়া যায়। কারণ লেখক এর মনে কখন কি চায় সেটা লেখক নিজেও জানে না। যাইহোক একটু কাব্যিকভাবেই শুরু করলাম। কারণ লেখাটা একটু কাব্যিক বলা চলে।
আমাদের মানুষদের মধ্যে যেটা সবচেয়ে বেশি সাধারণ। অর্থাৎ যেটা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এবং সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সেটা হচ্ছে, সুর পাল্টানো। অর্থাৎ ধরুন আপনি কোনো একটা কথা বললেন এবং আপনার সামনে কেউ অন্য একটা কথা বললো। এখন দেখা যায় যে যদি আপনার একটু পরিমাণ ও লাভ থাকে। তাহলে আপনি সাথে সাথেই নিজের বক্তব্য পাল্টে ফেলে সামনের ওই মানুষের বক্তব্যের সাথে নিজের বক্তব্য মিলিয়ে ফেললেন।
এটা আমার কাছে সম্পূর্ণভাবে মেরুদণ্ডহীন মানুষ এর কাজ মনে হয়। তাই আমার কাছে মনে হয় যে, মানুষ সুর না পাল্টিয়ে যদি নিজের এই সুর পাল্টানোর অভ্যাসটি বদলায়। তাহলে বোধহয় জীবনে আরও বেশি তাড়াতাড়ি সফলতা এবং সম্মান আসবে। কারণ যে মানুষগুলো এভাবে কথায় কথায় মত বদলায় এবং সব সময় অন্যের কথায় কথা মিলিয়ে বলে তাদেরকে সাধারণত কেউ দেখতে পারে না। কারণ কারো কথায় যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটে না উঠে, সবসময় যদি অন্যের ধার করা ব্যক্তিত্বে চলতে হয়। তাহলে সেই মানুষের ব্যক্তিত্ব নেই বলেই ধারণা করা হয়।
এই যে মানুষের সাথে কথায় কথায়, কথা মিলিয়ে বলা। সব সময় নিজের স্টেটমেন্ট চেঞ্জ করা। সবসময় অন্যের ক্ষতি হচ্ছে জানা সত্ত্বেও নিজের ভালোর জন্য অন্যের ভুল কথাতে সায় দেওয়া। এসব খুব জঘন্যতম কাজ বলেই আমার মনে হয় এবং তাই ভাবলাম যে তা নিয়েই আপনাদের সাথে কথা বলি। কারন আমার কাছে মনে হয়, আমাদের মধ্যে কম বেশি আমরা সকলেই এই কাজটি করি, অর্থাৎ সত্যকে। সত্য কে সত্য, সাদা কে সাদা এবং কালোকে কালো আমরা বেশিরভাগ মানুষ প্রথমে বললেও এরপরে আমরা খুব সহজেই ইনফ্লুয়েন্স হয়ে যাই। যেটা হওয়া উচিত নয়।