অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা ভালো
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এই লেখাটি আমার নয় অর্থাৎ টাইটেলের এই লেখাটি ' হোমারের' লেখা। তিনি অত্যন্ত নামি এবং সনামধন্য একজন মানুষ। উনার বিশেষ বিশেষ উক্তিগুলো আমার খুব পছন্দ উনার। বিশেষ উক্তিগুলোর মধ্যে এই উক্তিটি অর্থাৎ যে উক্তিটি আমার খুব পছন্দের। কারন আমরা মানুষ হিসেবে সব সময় অসৎ কাজ করতে যেমন পছন্দ করি। ঠিক তেমনটাই অসৎভাবে জীবন পরিচালনা করতেও পছন্দ করি। এবং আমরা সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই অসৎ কাজ করে। হয়তো এখন মুখের উপরে অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন না। কিন্তু এটা খুব তিক্ত সত্য কথা। আমরা সব সময় আনন্দ পাই বিভিন্ন খারাপ কাজ করে। কিন্তু ওই খারাপ কাজটা থেকে আনন্দ পাওয়ার চেয়ে আমার কাছে মনে হয় যে, পবিত্র উপায়ে বেদনা পাওয়াটাও ভালো। কারণ তখন নিজের কাছে নিজে পরিষ্কার থাকা যায়।
ধরুন, আপনি কোনো একটা অসৎ কাজ করে অনেক বেশি আনন্দ পাচ্ছেন কিংবা আপনি কোনো একটা লুকায়িত খারাপ কাজ করে অনেক আনন্দ পাচ্ছেন। কিন্তু পরম মুহূর্তে দেখবেন কোনো না কোনো সময় আপনার সেই ব্যাপারটি নিয়ে গিলটি ফিল হচ্ছে এবং এতোটাই অনুতাপবোধ হচ্ছে যে ওই আনন্দটার ছিঁটে ফোটাও তখন আপনার মধ্যে কাজ করবে না। এবং ওই পাপ বোধটা আপনাকে কোনো ভালো কাজ ও করতে দিবে না। ঠিক তেমনটাই, ভালো কাজে আপনি যে আনন্দটা পাবেন। সে আনন্দটা ও অনেকটা ফিকে করে দিবে।
আর তা ঠিক অপরদিকে আপনি যদি কোনো ভাল কাজ করে সফলতা অর্জন নাও করতে পারেন। তখনও দেখবেন যে আপনার নিজের মনে একটা নিজেরই শান্তি লাগছে যে আপনি অন্তত সৎ ভাবে করার চেষ্টা করেছেন এবং আপনি সৎভাবে হেরেছেন। এবং যখন আপনি সৎ ভাবে হারবেন। তখন দেখবেন এই কাজটি নিয়ে আপনার আরো অনেক বছর পর মনে পরলেও আফসোস হবে না। কারণ আপনি আপনার নিজের কাছে এতোটুকু ক্লিয়ার থাকতে পারবেন যে, আপনি আপনার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন। তাই আমি হোমারের লেখাটির সাথে একেবারে একমত। অর্থাৎ সত্যিই অসৎ আনন্দের চেয়ে পবিত্র বেদনা অনেক অনেক বেশি ভালো। অন্তত নিজের কাছে নিজে ছোট হতে হয় না।