জনদরদীর অকাল মৃত্যু ( দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


মানুষের সেবা করতে গিয়ে সে বিভিন্ন রকম সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যে সমস্ত সংগঠন মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে তাদের সাথে। এভাবেই ইমরানের জীবন এগিয়ে চলছিলো। ইমরান অনার্স পাস করার পরে হঠাৎ করে একটা বিষয় নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে তার মতবিরোধ হয়। চেয়ারম্যান তার এক আত্মীয়কে সুবিধা দিতে গিয়ে এলাকার এক দরিদ্র লোকের জমি জবরদখল করে। ইমরান চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে চেয়ারম্যান ইমরানের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। ইমরানের সাথে দুর্ব্যবহার করার কারণে এলাকার সব লোকজন চেয়ারম্যানের উপরে ক্ষেপে যায়।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240911_192617_0000.png

পরে ইমরান তাদের সবাইকে কথা বলে শান্ত করে। তখন সবাই মিলে ইমরানকে চেপে ধরে চেয়ারম্যান ইলেকশন করার জন্য। এলাকার লোকজন সবাই ইমরানকে বলতে থাকে তুমি এলাকার চেয়ারম্যান হলে আমাদের আর কোন দুঃখ কষ্ট থাকবে না। কিন্তু ইমরান এই প্রস্তাবে কিছুতেই রাজি হয় না। সে এলাকার লোকজনকে বলে আমি কখনোই রাজনীতিতে আসবো না। এলাকার লোকজন তখন তাকে পাল্টা যুক্তি দেয়। তোমার রাজনীতি করার কোন প্রয়োজন নেই। তুমি শুধু ইলেকশন করবে।

ইলেকশনে তোমাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না। আমরা এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে তোমার ইলেকশনের খরচ জোগাড় করবো। তুমি সারা জীবন আমাদের জন্য কাজ করে এসেছো। এখন আমাদের এই আবদারটা তোমাকে রাখতেই হবে। ইমরান শেষ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কিছুটা সময় চায়। সেদিন বাড়িতে ফিরে ইমরান তার বাবা মার সাথে এই বিষয়ে কথা বলে। কিন্তু তার বাবা মা দুজনেই তাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়। এই সমস্ত নোংরা কাজের ভেতরে যাওয়া যাবে না। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ