অপূর্ণ স্বপ্ন গল্প-(তৃতীয় পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সে হিসাব করে দেখেছে নিজের একটা অটোরিকশা থাকলে ঢাকা শহরে পরিবার নিয়ে সে চলতে পারবে। তাই সে অটো রিক্সা কেনার জন্য বেশ কিছুদিন থেকেই টাকা জমাচ্ছিলো। নসু মিয়া হিসাব করে দেখেছে আর মাত্র বছরখানেক জমাতে পারলেই তার নিজের অটো কেনার টাকা হয়ে যাবে। তার পরিকল্পনা সে তার স্ত্রীর সাথে শেয়ার করেছে। তার স্ত্রী তার পরিকল্পনা শুনে খুশি হয়ে যায়। পরক্ষণেই আবার সে নসু মিয়াকে জিজ্ঞেস করে শুনেছি ঢাকা শহরে নাকি থাকার অনেক খরচ। তখন নসু মিয়া তাকে আশ্বস্ত করে এ কথা বলে তুমি এগুলো নিয়ে চিন্তা কোরো না। তোমাদের ছেড়ে থাকতে আমার ভালো লাগেনা। এই জন্য এবার অটো রিক্সা কেনা হলে তোমাদের সবাইকে ঢাকা নিয়ে যাবো।
নসু মিয়ার পরিকল্পনা শোনার পরে তার স্ত্রী ও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। স্বপ্ন দেখে তার ছেলেমেয়েরা একসময় লেখাপড়া করে অনেক বড় হয়েছে। তাদের কষ্টের দিন শেষ হয়েছে। দেখতে দেখতে নসু মিয়ার ফেরার দিন চলে আসে। ফেরার সময় নসু মিয়া তার পরিবারকে কথা দিয়ে যায় আর মাত্র একটা বছর। তারপরে আমরা সবাই একসাথে থাকতে পারবো। এই কথা শুনে পরিবারের সকলেই খুশি হয়ে যায়। যদিও নসু মিয়াকে বিদায় দেয়ার সময় সকলেরই চোখ ছলছল করতে থাকে। মেয়েটা তো নসু মিয়াকে ছাড়তেই চায় না। নসু মিয়ার ও বিদায় নেয়ার সময় চোখে পানি চলে আসে। তার পরেও শেষ পর্যন্ত তাকে বিদায় নিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে হয়। নসু মিয়া ঢাকা শহরে ফিরে আবার আগের মতো অটোরিকশা চালাতে শুরু করে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
নসু মিয়ার মত হাজারও মানুষ এভাবেই স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন। ঢাকা শহরের মত জায়গা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। তারপরের নসু মিয়া এক বছর সময় নিয়ে নিজের অটো রিক্সা কিনার স্বপ্ন দেখেছে এবং পরিবারকেও এক বছর পর ঢাকা শহরে নিয়ে একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। খুব সুন্দর ধারাবাহিক একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। এমন সুন্দর একটি গল্প ধারাবাহিক গল্প শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।