সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। তবে শুরু করা যাক আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট।
আমাদের ঢাকা শহর যেমন ঘনবসতিপূর্ণ। তেমন ট্রাফিক জামের সমস্যাটা অনেক বেশি। সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। প্রয়োজনে শহরের একটু দূরে দূরে অনেক ফ্লাইওভার তৈরি করে দিয়েছেন। তবুও ট্রাফিক জ্যাম যেমন কমেনা। তেমনি গাড়ি পার্কিং করার ঝামেলাটাও বেশ। মোটরসাইকেল রাখার জায়গাটাও খুঁজে পাওয়া যায় না। একজন ব্যক্তি কোন কিছু কেনার উদ্দেশ্যে দোকানের দিকে গেলেই মোটরসাইকেল রাখতে হয় হাই রোড সংলগ্ন জায়গাতে। এজন্য বেশ ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় পথে চলা মানুষদের। মাঝেমধ্যে ফুটপাত দখল হয়ে যায় গাড়ি রাখার জন্য অথবা বিক্রেতাদের জন্য। মাঝেমধ্যে পুলিশের অনেক কন্ট্রোল করে থাকে। তবে দেখা যায় পুলিশ চলে গেলে আবারও এমনই অবস্থা।
সবজি বাজারগুলো যখন বিভিন্ন শাকসবজিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, ওই মুহূর্তে বাজারে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। প্রতিনিয়ত দুই বেলা রান্নার প্রয়োজনে মাছ-মাংস শাকসবজি প্রয়োজন হয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে এভাবে সবজি বাজারে এসে সবজি কিনে নিয়ে যেতে হয়। এখানে আমি ভালোলাগার একটা জিনিস অনেকটা লক্ষ্য করে থাকি। সবজি বিক্রেতারা তাদের ডালা গুলো সবজিতে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখেন। দেখতে বেশ ভালো লাগে।
একটু সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ খুঁজে পেতে হলে বেশ দূরে এগিয়ে যেতে হয়। ব্যস্ততম দিনগুলো তো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। ছুটির দিনগুলো অলসো তাই ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। তবুও সবকিছুর মাঝখান থেকে যেদিন একটু সুযোগ পাওয়া যায়। গ্রামীন পরিবেশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি এবং ভালোও লাগে। এছাড়া গ্রামের এরিয়াতে ফসলের মাঠগুলো মন ছুয়ে যাওয়ার মত।
কোন একদিন থালা ভরে পাকা কাঁঠাল খাওয়ার মুহূর্তে ধারণ করেছিলাম ফটোটা। নিজেদের বাড়িতে গাছ থাকলে অনেক ভালো লাগে। আমাদের বাসাতে বেশ কয়েকটা কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এবার কাঁঠাল গাছে বেশ অনেকগুলো কাঁঠাল হয়েছিল। আমাদের এই কাঁঠালগুলো খুবই সাধের। এবার বাসাতে নিজেরা সহ গেস্ট দের খাওয়ানোর সুযোগ হয়েছিল।
কিছুটা দিন ধরে আমরা পেঁয়াজের হাহাকার লক্ষ্য করলাম। বাজারে গেলে দু'তিন কেজি করে পেঁয়াজ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এবার যেন পেঁয়াজের এমন একটা অবস্থা হয়ে উঠেছিল দুই তিন কেজির চিন্তা দূরে থাক এক কেজি কিনতে গিয়েই হিমশিম খেয়ে যাওয়ার মত হয়েছিল। তবে ইদানিং আবার পেঁয়াজের বাজারটা হাতে নাগালের মধ্যে এসে গেছে। হয়তো আবারো এভাবে বেশি বেশি করে কিনে আনতে পারব।
ঢাকা শহরের সুপারি গাছ তেমন বেশি একটা চোখে পড়ে না। আমাদের বাসায় বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি সুপারি গাছ লাগিয়ে বড় করার। তবে কেন জানি ব্যর্থ হয়েছি বারবার। গাছ ঠিকই হয়ে ওঠে কিন্তু পরে মারা যায়। একদিন ঘুরতে গিয়ে লক্ষ্য করেছিলাম বেশ দূরে এই সুপারি গাছগুলো। সুপারি গাছ গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। তাই দূর থেকেও ফটো ধারণ করছিলাম।
আকাশের সৌন্দর্য আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। যারা আকাশের সৌন্দর্য উপলব্ধি করে থাকে তারা জানে কোন সময়টা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিত করে তোলে। আমরা বর্ষাকাল অথবা শরৎকালের দিকে আকাশের সৌন্দর্য লক্ষ্য করে থাকি। মাঝে মাঝে খেয়াল করলে দেখা যায় আকাশের ভারসোমান সাদা সাদা মেঘগুলো। অনেক অনেক ভালো লাগে এমন আকাশের দৃশ্য দেখে চিত্র ধারণ করতে। একটু ভালো লাগা থেকেই ফটো ধারণ করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট সাজিয়ে তুলেছেন ভাইয়া।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে ধানক্ষেত এবং নীল আকাশের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।
ধান ক্ষেত ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া।
আপনি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সব সময় সুন্দর লাগে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বেশ চমৎকারভাবে আপনি বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ঠিক বলেছেন আকাশের সৌন্দর্য আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। ভালো লাগার মত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে ফসলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। এবং অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো বারবার দেখতে মন চায়।
আশা করব এভাবেই পাশে থাকবেন ভাইয়া।