আমার দাদুর মৃত্যুর কারণ || শিক্ষনীয় একটি বিষয়
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভালোবাসা অন্যরকম। সেটা হয়তো সবার কপালে থাকে না। আমার নানা-নানী এখনো জীবিত।উনাদের চোখের মণি আমি।ছোটবেলায় দাদীর আদর পেয়েছি অনেক। বলতে গেলে উনার কাছেই বড় হয়েছি। আমার দাদি মারা গিয়েছেন বছর ১৪ হবে। তবে দাদুভাইকে আমি দেখিনি। আমার মা যখন বিয়ে হয়ে আমাদের বাড়িতে আসেন তারও আগে নাকি আমার দাদু মারা গিয়েছেন। মাঝেমধ্যে দাদুর অনেক গল্প শুনতাম আমার বাবা চাচাদের মুখে। উনি অনেক কর্মঠ একজন মানুষ ছিলেন। এমন কোনো কাজ নাই যেটা উনি করতেন না। এক কথায় বলতে গেলে উনি সব কাজেই পারদর্শী ছিলেন।
আজ আমার এক চাচার সঙ্গে বসে গল্প করছিলাম। এরপর একটা বিষয় জানার পর বেশ অবাক হয়ে গেলাম সেটা হচ্ছে আমার দাদার মৃত্যু নিয়ে । উনি খুব অল্প বয়সেই মারা গিয়েছেন। বলতে গেলে মধ্য বয়সে। মানুষ কতটা বোকা হলে ডাক্তার না দেখিয়ে হাতুড়ি ডাক্তারের কাছে ওষুধ খায়। আমার দাদু ভাইয়ের নাকি উচ্চ রক্তচাপ ছিল। পাশের গ্রামে এক লোক গাছগাছালি দিয়ে ওষুধ বানাতেন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে। আমার দাদু কোনো ভাবে সেই বিষয়টা জানতে পেরেছিলেন। এবং সেখান থেকে একটি ট্যাবলেট এনে খেয়েছিলেন। সেই ট্যাবলেট খাওয়ার পর ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে হয় কিংবা পুকুরে গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকতে হয়। কি বিষয়গুলো অবাক লাগছে তাই না?
হ্যাঁ আমিও শুনে অবাক হয়েছিলাম এটা আবার কি ধরনের ঔষধ। যাইহোক উনি এই কথাগুলো জানতেন না। তাই ঔষধটা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই উনার ভেতরে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই যে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়েন এরপর আর বিছানা থেকে ওঠেননি। কয়েক মাস পর উনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন। আমার মনে হয় শুধু আমার দাদু নয় গ্রামে এখনো এরকম অশিক্ষিত কিছু লোক আছে যারা এ ধরনের গ্রাম্য গাছগাছালি দিয়ে তৈরি ঔষধের ওপর অন্ধ বিশ্বাস করেন।
আসলে আমার দাদু যে ঔষধটা খেয়েছিলেন এটা প্রথমে কেউই বুঝতেই পারেনি পরে সবাই বুঝতে পেরেছিলেন এবং সবাই সাবধান হয়ে গিয়েছিলেন। যাইহোক বিষয়টা জানার পর খুব খারাপ লাগছিল এবং ভাবলাম এটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি হয়তো বিষয়টা জেনে রাখা ভালো। তাই হোক সবাই আমার দাদু ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন উনি যেন জান্নাতবাসী হন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু হয়তো আপনার দাদু মৃত্যু এভাবে লিখা ছিল। তা না হলে ঔষধ খাওয়ার পর যে করণীয় রয়েছে তা পালন করলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতেন। আমাদের গ্ৰামে অনেকেই গাছের শিকড় দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ দেয় আর সেগুলো কাজও করে। অনেক মানুষ ভালো হতেও দেখেছি। সেই লোকটির কাছে থেকে ঔষধ খেয়েছেন তিনি হয়তো তেমন বেশি বুঝে না। সেজন্য এমন হয়েছে। যাই হোক আপনার দাদুর জন্য দোয়া রইল। মহান আল্লাহ যেনো উনাকে জান্নাতবাসী করেন।
তা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু যেভাবে মৃত্যু লেখা থাকে সেই ভাবেই হবে।ধন্যবাদ।
আপনার দাদুর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো আপু। আসলে আগের দিনের বেশিরভাগ মানুষজন একেবারে সহজ সরল ছিলো। তাই নির্দ্বিধায় কবিরাজদের কাছ থেকে ঔষধ নিয়ে খেয়ে ফেলতো। হয়তো অনেকে ঔষধ খেয়ে সুস্থ হতো আবার অনেকে হতো না। পোস্টটি আসলেই বেশ শিক্ষণীয়। কারণ ডাক্তার না দেখিয়ে ঔষধ খাওয়া মোটেই উচিত নয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।