আলু এবং বেগুন দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি। ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু-আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব আলু এবং বেগুন দিয়ে ছোট বাটা মাছ রান্নার রেসিপি। বাটা মাছ খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে বাটা মাছে অনেক কাটা থাকায় খেতে খুবই ঝামেলায় পড়তে হয়। বাচ্চাদের তো এ মাছ একদমই খাওয়ানো যায় না। এই মাছ ভালভাবে ভেজে রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আজ আমি এই বাটা মাছ গুলো ভেজে আলু এবং বেগুন দিয়ে একটু ঝোল ঝোল করে রান্না করেছি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক আমার এই রেসিপিটি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
| উপকরণের নাম | পরিমাণ |
|---|---|
| বাটা মাছ | ৮-১০ টি |
| আলু | ৩টি |
| বেগুন | ৩টি |
| কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টি |
| আদা বাটা | ২ চা চামচ |
| রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
| হলুদের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| জিরার গুড়া | আধা চা চামচ |
| শুকনা মরিচের গুড়া | পরিমাণ মতো |
| লবণ | পরিমাণমতো |
| সয়াবিন তেল | আধা কাপ |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ ১ঃ
 |  |
|---|
প্রথমে বাটা মাছ গুলোকে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর হলুদ এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি। এবার চুলায় একটি ফ্রাই প্যান নিয়েছি। এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি। এরপর বাটা মাছ দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ ২ঃ
 |  |
|---|
এরপর বাটা মাছগুলো উল্টে পাল্টে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ ৩ঃ
 |  |
|---|
এবার কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। এরপর এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচামরিচ দিয়েছি। এরপর সব মসলাগুলো দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ ৪ঃ
 |  |
|---|
এরপর কেটে রাখা আলু এবং বেগুনগুলো এর মধ্যে দিয়েছি। এরপর পরিমানমত পানি দিয়েছি।
ধাপ ৫ঃ
এরপর আলু এবং বেগুন সিদ্ধ হয়ে গেলে ভেজে রাখা বাটা মাছগুলো দিয়েছি। এরপর আরো কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ ৬ঃ
এবার একটু বাটিতে পরিবেশন করে নিয়েছি।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
| Photographer | @iraniahmed |
|---|---|
| Device | Samsung M01s |
আলু এবং বেগুন দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রান্না রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে আপনার এই রেসিপিটি ভীষণ ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটি রান্না করলে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই রেসিপিটি আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি বাটা আমার যদিও অনেক সুস্বাদু কিন্তু এই মাছ ছোট বাচ্চাদের একদমই খাওয়ানো যায় না। তবে ব্যক্তিগতভাবে বাটা মাছ আমি অনেক বেশি পছন্দ করি রেসিপিটি দেখেই জিভে জল এসে গেল।
ব্যক্তিগতভাবে বাটা মাছ আমারও খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলু এবং বেগুন দিয়ে বাটা মাছের ঝোল রেসিপিটি দারুণ হয়েছে এরকম রেসিপি আমি অনেক খেয়েছি তবে বাটা মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং মজা হয়েছে। আমি কি আপনার বাড়িতে দাওয়াত খেতে চলে আসবো?
অবশ্যই আপু, আপনার দাওয়াত রইলো বাসায় একদিন চলে আসবেন।
আপনি বাটা মাছ দিয়ে আলু ও বেগুনের ঝোল করেছেন। আসলেই মাছ দিয়ে তরকারি রান্না টা আমার বেশ পছন্দের। আর আমি অনেক বেশি পছন্দ করি এসব তরকারি খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমারও তরকারি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।