আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি মাছ বিষয়ক পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। পুকুরে জেলে ভাইদের মাছ ধরার বেশ কিছু চিত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
photography device: Huawei P30 Pro-40mp
প্রথমে শুনতে পারলাম পুকুরে মাছ ধরার জন্য অনেক জেলে এসেছে। পাঙ্গাস মাছ থেকে শুরু করে সকল প্রকার মাছ বিক্রয় করতে হবে উত্তর সাইডের পুকুরে। জেলেরা এসে গেছে তাই রাজের আব্বু চলে গেল। এরপর রাজের দাদা হিসাবের খাতা হাতে করে ছাতা মাথায় চলে গেলেন। এদিকে ছোট ভাইয়াকে বলে গেলেন ডিজিটাল স্কেল নিয়ে আসছে। আমিও রেডি হতে থাকলাম দ্রুত কাজ সেরে পুকুরের দিকে যাব। ইতোমধ্যে পুকুরের সব জেলেরা নেমে পড়েছে। আমাদের বের হতেও দেরি হয়ে গেল। ভাইয়া তার ডিজিটাল স্কেলে চার্জ করে রাস্তার দিকে রওনা হলেন। আমিও তার পিছু পিছু হাঁটা শুরু করলাম। যেতে বাগানে দেখলাম জেলেরা তাদের গাড়িগুলো রেখে দিয়েছে বাগানে। এরপর পুকুরে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম তারা পুকুরের মধ্যে নেমে পড়েছে মাছ ধরতে।
প্রচন্ড রোদ গরম চলছিল। এই মুহূর্তে জেলেরা দ্রুত মাছ ধরার চেষ্টা করছে পুকুরের মধ্যে। এদিকে আমি বসার জায়গা খুজছিলাম। চারিদিকে কলাগাছ রয়েছে কিন্তু বসার মত তেমন একটা জায়গা নেই। একদিকে ফটো ধারণ করতে হবে আবার মাছ দেখতে হবে বসতে গেলেও হচ্ছে না। আবার রোদেও দাঁড়ানো যায় না। এদিকে দেখতে থাকলাম জেলেরা তাদের মত জাল টেনে এগিয়ে চলছে।
একটা সময় তারা সারা পুকুর জাল টানতে টানতে চারিপাশ থেকে গুছিয়ে আসলো। আর জালের মধ্যে মাছগুলো বেশি পরিমাণ আটকা পড়ায় জোরে জোরে লাফাতে থাকলো। মাছ ধরা দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে কিন্তু প্রচণ্ড রোদের মুহূর্তে যেন মাছ ধরা দেখার কোনো আনন্দ ছিল না। তবুও মাছের লাফালাফি, জেলেদের মাছ ধরা আনন্দটা বেশ দারুন লাগছিল। লক্ষ্য করে দেখলাম পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া মাছ বেশি উঠেছে। জেলেরা জাল ঝেড়ে ঝেড়ে টানতে থাকলো, যতক্ষণ না দুই পাশের লোকজন মাছগুলোকে ভালোভাবে ঘেরাও করতে পারলো। লক্ষ্য করে দেখলাম প্রচন্ড রোদ গরমের মুহূর্তে এভাবে জালটানা খুবই কঠিন কাজ। যখন জালের দুই মাথা একজন একজন করে ধরে টেনে আনতে পারছে না, তখন দুইজন করে টানা শুরু করল। আর ঠিক এভাবে টানতে টানতে অনেকটা গুছিয়ে গেল।
এরপর সকল জেলেরা জালটাকে গুছিয়ে কোচ তৈরি করল। দুই সাইডে জাল যেভাবে রেখে দিয়েছিল সেদিকের জালগুলো ঝাড়তে ঝাড়তে নিয়ে আসলো। আর এভাবে মাছগুলো জালের মধ্যে আটকা পড়ে গুছিয়ে যেতে লাগলো। তাই মাছগুলো খুব জোরে জোরে লাফাতে ছিল। এদিকে জেলে ভাইরা মাছ ধরার জন্য বেশ তাড়াহুড় শুরু করে দিল। কিন্তু এর মধ্যে জালের প্রধান বকা দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে থাকলো। কারণ মাছগুলোকে একটু থামিয়ে নিতে হবে নয় মাছের ক্ষতি হতে পারে। এরপর মাছ ধরার কাজ শুরু হয়ে গেল। বিস্তারিত পরবর্তী পোস্টে দেখানো হবে।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেক সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন আপনি। তবে প্রচন্ড রোদ গরমে জেলেদের মাছ ধরতে দেখাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। আর এই মুহূর্তে রোদে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করাটা আরো ঝামেলা। তবে যাই হোক ভালো লাগলো আপনার ফটোগুলো। ঐদিন বেশ অনেক মাছ ধরা হয়েছিল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পুকুরে জেলেদের মাছ ধরার দারুন একটি অনুভূতি। কি আর বলবো অপু পুকুরে যখন মাছ ধরে তখন আমার পরিবারের সবাই চলে যায়। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম আপনি নিজেকে বাড়ি গিয়েছেন এবং দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে জেলেরা যখন মাছ ধরে তখন এই দৃশ্যটি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে করার জন্য।
আপনার একদম ঠিক কথা বলেছেন
এই দুপুর বেলা কড়া রোদের মধ্যেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলেদের মাছ ধরা দেখেছেন আপু! সাথে করে ছাতা নিয়ে এলে আরেকটু আরাম করে দেখতে পারতেন। তবে এটা ঠিক যে এমন পুকুরে যখন মাছ ধরা চলে তখন কেমন একটা উৎসব উৎসব পরিবেশ হয়। কি মাছ উঠলো, কত বড় বড় মাছ উঠলো এসব দেখার আগ্রহ তৈরি হয়৷ আর নিজেদের পুকুর তো, তাই আগ্রহ টা আরো বেশিই হয়। তেলাপিয়া মাছের ছবি তো দেখলাম, পাঙ্গাস মাছ কত বড় ছিলো? ওগুলোর ছবি তো দেখলাম না!
ছাতা টানা ঝামেলা, আর ছাতার কথা মনে ছিল না। মনের মধ্যে একটা চিন্তায় কাজ করছিল ছবি উঠাবো।