কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আপনার আমার ব্লগের মাধ্যমে জানতে পারবেন কুকুর পাড়ের সবজি বাগান থেকে সবজি তোলার অনুভূতি। তাহলে চলুন আর দেরি না করি।
দিনকাল প্রচন্ড গরম। পুকুর পাড়ে রয়েছে শাকসবজি। কিন্তু এই মুহূর্তে পুকুর পাড়ে যাওয়া বেশ কঠিন। আগে বিকেল মুহূর্তে পরিবারের লোকজনের সাথে উপস্থিত হতাম। কিন্তু এখন বিভিন্ন ঝামেলার কারণে বিকেলে যাওয়া সম্ভব নয়। একদিকে রান্নাবান্না আর একদিকে ছেলেখাওয়ানো, এদিকে কমিউনিটির কাজ কিছুটা করা। তবে হঠাৎ সবজি ছিল না। সকালবেলায় রান্না করতে উঠে দেখি এ অবস্থা। এখন প্রচন্ড গরমের কারণে মাছের খাবার একটু সকালে দিতে যায় তারা। তাই সুযোগ হল তাদের সাথে পুকুরে যাওয়ার।
প্রথমত ভাত রান্নার কাজ সম্পন্ন করলাম এবং ফ্রিজে থাকা তরকারি গরম করে রেখে পৌঁছে গেলাম পুকুরে। পুকুর পাড়ের সবজি বাগানে উপস্থিত হয়ে শুধু লাউ ছাড়া কিছুই দেখছিলাম না। এরপর চলে এলাম বড় সবজি বাগানটার মধ্যে। জানি সেখানে পুয়ের শাক ছিল। হয়তো তার বিচিও রয়েছে। তবে আসামাত্র দেখলাম সত্যি কাঁচা পাতা পুয়ের বিচি রয়েছে। পুঁইশাক আমার খুবই পছন্দ। এর বিচি খেতেও খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে আলুর সাথে ভাজি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। গাছে গাছে অনেক পুয়ের বিচি থাকায় মনটা ভরে গেল। তখন পূর্ব গগনে সূর্যের কিরণ শুরু হয়ে গেছে। একদম কপালে এসে লাগতে থাকলো সূর্যের আলো। হাতে একটি ব্যাগ আর ছুরি নিয়ে গেছিলাম। ছুরি দিয়ে এই বিচি তোলা সহজ হয়। সবজি উঠাতে থাকলাম, মাঝেমধ্যে ফটো উঠাতে থাকলাম আর রেস্ট নিলাম।
আর এভাবে অনেকক্ষণ ধরে পুঁইশাকের বিচি উঠাতে থাকলাম। পাকা পাকা বিচিগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। শুধুমাত্র পেয়াজ রসুনের সাথে ভাজি করলে খেতে ভালো লাগে বেশি। তবে সকলের খাবার হিসেবে আলু কুচি কুচি করে কেটে রান্না করলে সবার জন্য হয়ে যায় এবং সুস্বাদু হয়। এছাড়াও ঝোল ঝোল করে রান্না করলে বেশি রুচি সম্মত হয়।
এই গাছগুলো গত বছর মে জুন মাসের দিকে ছোট ভাইয়া বান করে লাগিয়েছেন। আর সেই থেকে এই পর্যন্ত একদিকে পুরো ডাটা দীর্ঘ শীত পর্যন্ত খেয়েছি। এরপর সারা শীত থেকে শুরু করে অনেকদিন পুঁইশাকের বিচি। এরপর কিছুদিন বন্ধ ছিল তারপর নতুন কুশি গজিয়ে আবারো পুঁই শাক এর বিচি হয়েছে। এছাড়াও বেশ ডাটা হয়েছে। প্রায় আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা বাছাই করে উঠাতে থাকলাম। আর এভাবে আমার পুকুরপাড়ে এসে শাকসবজি সংরক্ষণ হয়ে গেল। একদম ব্যাগ ধরে পুঁই শাকের বিচি নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম।
ফটোগ্রাফি | শাকসবজি উত্তোলন |
স্থান | গাংনী-মেহেরপুর |
লোকেশন | Location |
|
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি আপনাদের পুকুর পাড়ের সবজি বাগান থেকে পুঁইশাকের বিচি সংরক্ষণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এই পুইশাকের বিচিকে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ভাষায় মেস্ড়ি বলে থাকি। আসলে এগুলো রান্না করে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
এখানে এই নামটা শুনেছি আমি
পুকুর পাড়ে সবজি বাগান থেকে পুঁইশাকের বিচি সংগ্রহ করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। নিজের গাছের সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা তার মধ্যে পুঁইশাক এবং পুঁইশাকের বিচি আমার বেশ পছন্দের। পুঁই শাকের বিচি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। সাথে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি টাটকা সবজি
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে একটু পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পুকুর পাড় থেকে পুঁই শাকের বিচি সংরক্ষণ এর দারুন একটি পোস্ট। আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপু পুঁইশাকের যে বিচি গুলো পাওয়া যেগুলোকে মেসড়ি বলে সবাইকে নিয়ে। আর এগুলো খেতে খুবই স্বাদ হয়ে থাকে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম
বর্তমান সময়ে অনেকেই পুকুরপাড়ে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে থাকে। আপনি আজকে পুকুর পাড়ে সবজি বাগান থেকে পুঁইশাকের বিচি সংরক্ষণ করেছেন। এই বিচি ভেজে খেতে বা যে কোন ডাল দিয়ে রান্না করে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। তবে এই পুঁইশাক বেশ অনেকদিন যাবত দেখি খাচ্ছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা ভাজি করে খেতে খুব ভালো লাগে
পুঁইশাকের এই ফলগুলো রান্না করে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । আপু আপনি গত বছরের জন্য পুঁইশাকের বিচি সংরক্ষণ করে রাখছেন খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। আপনার ছোট ভাই পুকুর পাড়ে এই ধরনের সবজি চাষাবাদ করে জেনে খুবই ভালো লাগলো। মে জুন মাসে এই বিচি গুলো থেকে আবারো অনেক চারা তৈরি হবে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে
আপু পুঁইশাকের কিছু ফল আমার বাসায় পাঠিয়ে দিন। আমার এটা খেতে খুবই ভালো লাগে।খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার পুঁইশাকের বিচি সংরক্ষণ করার ব্লগটি পড়ে।
আমারও খুবই ভালো লাগে পুঁইশাকের ফল