কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমাদের ফলের গাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। আর দেখার সুযোগ মিলবে আমাদের বাড়িতে কি কি ফল গাছ রয়েছে। তাহলে চলুন পোস্ট শুরু করি।
প্রথম আলোকচিত্রে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেল গাছে অনেক বেল ধরে রয়েছে। এটা আমাদের একটি বেল গাছের চিত্র। গাছটাতে অসংখ্য বেল ধরে। নিজেদের খাওয়ার পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনের দেওয়া হয়। তবে এবার যেন তেমন একটা বেল পাচ্ছি না। রাতে কোন মানুষের কুড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। তবে যাই হোক নিজেদের খাওয়া তো হয়।
এটা দেখতে পাচ্ছেন কাঁচা কলা। আমাদের পুকুর পাড়ের গাছগুলোতে এমন কাঁচা পাকা বিভিন্ন জাতের কলা রয়েছে। এই কলাগুলো রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে বিক্রয় করা হয়। বাইরে থেকে কলা কেনা মানুষ এসে কিনে নিয়ে যায়।
এখানে আপনারা দেখতে পারছেন সাজনে বাটা। এটা আমাদের গাছ থেকে ফটো ধারণ করেছে। আমাদের গ্রামে প্রায় জায়গায় লক্ষ্য করে দেখা যায় অনেক সাজনা ডাটার গাছ রয়েছে। এখন প্রায় ঘরে ঘরে এই ডাটার তরকারি। আমাদের একটি মাত্র গাছ রয়েছে সেখানে বেশ কিছু ধরেছিল। আর সেখান থেকে ফটোটা ধারণ করেছিলাম।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন কাঁঠাল গাছে একই জায়গায় পাশাপাশি কাঁঠাল ধরে রয়েছে। এখন অবশ্য কাঁঠালগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। এই ফটোটা অনেকদিন আগে ধারণ করেছিলাম আমাদের গাছ থেকে। আমাদের গাছের কাঁঠাল গুলো অনেক সুস্বাদু হয়। রান্না করেও যেমন খাওয়া যায় পাকাও তেমন খাওয়া যায়।
এটা আমাদের গাছের ডালিমের দৃশ্য। আমাদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা ছোট ছোট ডালিম গাছ রয়েছে,তার মধ্যে একটা গাছে প্রত্যেক বছর ধরে থাকে। গাছটা বাড়ির বাইরে হাওয়ায় মাঝেমধ্যে গৃহপালিত ছাগলের আক্রমণ করে থাকে। এরপরেও কোনরকম গাছটা বেঁচে আছে আর সুন্দর সুন্দর ফল ধরে।
আমাদের লেবু গাছের লেবু। আমড়া গাছের গোড়ায় একটি লেবু গাছ রয়েছে। গাছটির বয়স প্রায় ১৮ বা ২০ বছরের বেশি নাকি। সুমন ভাইয়া নিজে হাতে গাছটা লাগিয়ে ছিল ছোটকালে। সেই থেকে গাছটা এখনো বেঁচে রয়েছে প্রত্যেক বছর অনেক লেবু ধরে।
এটা আমাদের লিচু গাছের লিচুর ফটোগ্রাফি। এই লিচু গাছটা আমার ঘরে জানালার সম্মুখে। এবার বেশ অনেকগুলা লিচু ধরেছে। রান্না ঘরের কারণে গাছে ফুল আসলেও নষ্ট হয়ে যায়। তবে উপরের দিকে বেশ কিছু ধরেছে যা আমি ধারণ করতে পারলাম না।
এটা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের রান্না ঘরের পাশের আমগাছের একটি আম। এই গাছের আম এতটা মিষ্টি হয়ে থাকে তা বলে বোঝানো যায় না। কাঁচা খেতে ভালো লাগে পাকা খেতেও ভালো লাগে।
এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের আতা ফল গাছের আতার ফটোগ্রাফি। আমাদের বাড়িতে কমবেশি বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ রয়েছে। এখানে যে সমস্ত ফটোগুলো শেয়ার করলাম সবগুলোই আমাদের নিজেদের গাছ থেকে তোলা। এখানে আতা ফল দেখতে পাচ্ছেন এটা আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। তবে নিজের পেড়ে খাওয়ার পূর্বেই পাখিতে খেয়ে ফেলে এটাই সমস্যা। কাঁচা অবস্থায় গাছ থেকে ফটো ধারণ করেছিলাম। গাছগুলো ছোট ছোট হাওয়ায় ফটো ধারণ করার সুবিধা। এই ফলটা বেশি সুমিষ্ট হয়ে থাকে। কষ্ট কাঠিন্য দূর করার জন্য উপযুক্ত একটি ফল।
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
বিষয় | রেনডম ফল ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনি আজকে নিজের গাছের বিভিন্ন প্রকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। এই সময় প্রচুর গরম পরছে এতে বেলের শরবত ভীষণ ভালো খেতে। আপনার এই বেলের ফটোগ্রাফি দেখে বেল খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। যাহোক সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া বেলের শরবত শরীরের জন্য উপকার
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আম আতা সহ ডালিম ফলটি দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো এবং খেতে ইচ্ছে করছে।। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
সব ফলি আমাদের নিজের গাছের ভাই
আসলে ইচ্ছেশক্তি থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব।
আপনারা বাড়ির আনাচে কানাচে কত চমৎকার সব ফলের গাছ লাগিয়েছেন, আর এখন সেগুলোতে ফল ধরছে। আসলে নিজের গাছের ফল দেখেও শান্তি খেয়েও শান্তি। আপনার ছবিগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দুই এক জায়গায় বানানের ভুল থাকলেও পোস্টটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন
আপু আপনাদের বাড়িতে তো দেখছি অনেক ধরনের গাছ রয়েছে। তবে বেল গাছের ফটোগ্রাফি টা আরেকটু কাছ থেকে করতে পারলে হয়তোবা খুবই ভালো লাগতো। কেননা বেল গুলো দেখতে খুবই ছোট ছোট লাগছে। তাছাড়া অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলেন আপনি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অনেক রকমের গাছ
বেল গাছে অনেক বেল ধরেছে। দেখতো ভীষণ দারুন লাগতেছে। কাচা কলার ফটোগ্রাফি টা বেশ দুর্দান্ত ছিল। গ
কলা আমাদের দেয়ার জন্য খুবই উপকারী। আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। কাঁঠাল গাছের এই ছবিটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। সর্বোপরি আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পাশাপাশি দুইটা গাছের মধ্যে একটা গাছে বেশি ধরে
বাহ চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু আপনাদের গাছের ফলের ফটোগ্রাফি। এত গুলো ফলের বাগান আছে আপনাদের বাড়িতে দেখে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি ফল আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করলেন। এই সব ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের কথা বেশি মনে পড়ে যায়।
আমাদের বাড়িতে অনেক ফলের গাছ রয়েছে
খুবই আকর্ষণীয় কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। ফল খেতে আমরা ও কম বেশি সকলেই ভালোবাসি। আপনি বেশ মজাদার কয়েকটি ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আম, লিচু, আতা ফল খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার বাসায় দেখছি অনেক ধরনের ফলের গাছ আছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আমার বাবার বাড়িতে একটা ডালিম গাছ আছে সেখানে দেখলাম এত পরিমানে ডালিম ধরেছে যে গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়েছে। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্য পড়ে।