ডেঙ্গুতে কুপোকাত // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
বোন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ না কাটতেই আমিও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়লাম। বলা যেতে পারে ডেঙ্গুতে কুপোকাত হয়ে গেলাম। গত শনিবার দিন বোনের নানা ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেওয়া শুরু হয় তারপর সোমবার রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে তারপর পুরোপুরি ডেঙ্গু সারতে শুক্রবার পর্যন্ত লেগে যায়। আমার ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেওয়া শুরু হয় মঙ্গলবার সকাল বেলা থেকে।
বোনের ডেঙ্গু হওয়া থেকেই বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ডেঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিলো। যদিও ডেঙ্গু ছোঁয়াচে না তবুও সাধারণত একবার যে বাড়িতে ডেঙ্গুর মশা কামড়েছে সেখানে অন্যান্যদের কামড়াতে পারে এটাই স্বাভাবিক। সব কিছু চিন্তা নিয়েই সাবধানতা তুলনামূলক বেশিই ছিলো।
যেহেতু ডেঙ্গুর মশা দিনের বেলায় কামড়ায় সে জন্য মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ফুল হাতা জামা, মশার রিপেলেন্ট গায়ে লাগিয়ে রাখা সবই মেনে চলার পরেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পড়লাম। ওই কথাটা মিলেই গেলো বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো।
বোনের সুস্থতার সাথে একটু গা ছাড়া স্বভাব হয়েছিল সেটারই পরিনাম স্বরূপ ডেঙ্গু। সপ্তাহ দুয়েক সব নিয়ম মেনে চললেই হয়তো আজকের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
মঙ্গলবার সকা থেকেই গা ম্যাজম্যাজ ভাব ছিলো পাশাপাশি প্রচন্ড বমি বমি ভাব। সাধারন বদহজম ভেবে সকাল বেলাতেই বমির ওষুধ খেয়ে খানিকটা সময় ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম যদি ঠিক হয়ে যায়। তবে যখন ঘুমটা ভাঙলো তখন পরিস্থিতি আরো গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল তখন সারা শরীরে অল্প ব্যথার অনুভূতি ছিলো। সাধারনত সুস্থ শরীরে এমন ভাবে ব্যাথা খুব একটা হয় না। ডেঙ্গুর চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো তবুও পজিটিভ ছিলাম, হয়তো ইনফ্লুয়েঞ্জার আগাম হতে পারে। বেলায় বাড়ার সাথে সাথে সন্দেহের তীব্রতা ডেঙ্গুর দিকে যেতে থাকলো। সারা গায়ে অসহ্য যন্ত্রণা আর জ্বর। মঙ্গলবার গা ব্যাথায় ঘুমিয়ে কেটে গেলো।
বুধবার সন্ধ্যায় সমস্ত সন্দেহ গুলো বাস্তবে পরিনত হলো। ডেঙ্গু পজিটিভ। প্লেট লেট স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


আমাদের সবার মধ্যেই আসলে এই ব্যাপারটা দেখা যায় যে কিছুদিন আমরা নিয়মকানুন মেনে তারপর গা ছাড়া দিয়ে দেই যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সমস্যা বা অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। আপনার ক্ষেত্রেও হয়তো সেটাই হয়েছে ।আশা করছি ভাইয়া খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন । শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা, ভালো ভাবে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আর সব নিয়মকানুন মেনে চলেন। আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে ডেঙ্গু ভালো হয়ে যায়। চিন্তা করবেন না দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
দাদা, আমি দোয়া করি আপনি এবং আপনার বোন খুব দ্রুত ডেঙ্গুর হাত থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর এখন বেশ সাবধানতার সাথে থাকবেন এবং সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করবেন।