শেষ হয়েও হইল না শেষ রেসিপির কথা
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা হয়তো পোস্টের টাইটেলে দেয়া নামটি দেখে সকলেই ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা। এমন আবার পোস্টের টাইটেলের নাম হয় নাকি। বিশ্বাস করুন যখনই আমি আমার মোবাইল ফোনটি ঘেঁটে ঘেঁটে পোস্ট রেডি করতে শুরু করি তখনই পোস্টে থাকা এমন কিছু ছবি দেখলে মনটা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
কারণ যেকোনো রেসিপির ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎ করে কোন একটা ছবি মিস হয়ে গেলে, তখন আর সেই রেসিপি পোস্ট করা হয় না। আমার এমন রেসিপি বেশ কয়েকটি রয়েছে। আপনাদের ক্ষেত্রেও এমনটি হয় কিনা আমি জানিনা। তবে আমার ক্ষেত্রে এমনটি বেশ কয়েকবার হয়েছে। তাই আজ যখন মোবাইলে সেই ছবিগুলো দেখছিলাম, তখন খুবই খারাপ লাগছিল। তাই ভাবলাম এই কথাগুলো না হয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেই।
আমি এখন যে রেসিপিটা উপস্থাপন করছি তা কিন্তু শীতকালে তৈরি করেছিলাম। আর শীতকালে ফুলকপি ও মুলা দিয়ে মাছের রেসিপি তৈরি করে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। বিশেষ করে ঠান্ডা ঠান্ডা ফুলকপি ও মুলা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যদিও বা আমি এই রেসিপিটি শীতকালে তৈরি করেছিলাম, তবে আমি কিন্তু শেয়ার করতে পারিনি।
রেসিপিটি আমি যখন তৈরি করেছিলাম, তখন শুরু থেকে বেশ ভালোভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করার জন্য ফটোগ্রাফি করেছিলাম। প্রথমে মাছ ভেজে নেয়া, ফুলকপি ও মুলা কেটে নেয়া, সেই সাথে চুলায় করায় বসিয়ে দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিয়ে, তাতে সকল মসলা ঢেলে দিয়ে কষিয়ে নেয়া এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছবি তুলেছিলাম।
যখন রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম, তখন খুব মনোযোগের সাথে সমস্ত ধাপ উপস্থাপন করার জন্য ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছিলাম। রেসিপির এই পর্যায়ে এসে ফুলকপি গুলো কষানো মসলার সাথে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিয়েছিলাম। সেই সাথে কেটে রাখা মুলা দিয়ে আবারো নেড়েচেড়ে নিয়েছিলাম।
তারপরে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ফুলকপি ও মুলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছিলাম। যখন আমি এই রেসিপিটি তৈরি করছিলাম, তখন রেসিপিটি দেখে আমার বেশ মনে হয়েছিল, খেতে খুবই মজার হবে। ঠিক তাই রেসিপিটি খেতে কিন্তু ভীষণ মজার হয়েছিল। তবে এই মজার রেসিপিটি কিন্তু আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারিনি।
এই হচ্ছে রেসিপির শেষ পর্যায়। যে পর্যায়ে এসে ভাজা মাছগুলো কষানো ফুলকপি ও মুলার উপরে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর কিছুক্ষণ ভাজা মাছগুলো ফুলকপি ও মুলার সাথে কষিয়ে নিয়েছিলাম। আর কষিয়ে নেয়ার পর তৈরি হয়ে গিয়েছিল, আমার তৈরি মজার সেই ফুলকপি ও মুলা দিয়ে মাছের রেসিপি। তবে শেষ পর্যায়ে এসে সব বিপত্তি ঘটে গেল।
মাছ গুলো ফুলকপি ও মুলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নেয়ার পর, একটি ছবি তুলতে হতো। আর সেই ছবিটি তুলতে আমি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। আবার পরিবেশন এর জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়ে ছবি তুলতে হতো সেটিও ভুলে গিয়েছিলাম। কেননা রেসিপি তৈরি হতে না হতেই ছেলেমেয়েকে নিয়ে খেতে বসেছিলাম😁।ছেলে মেয়ের তাড়াহুড়োর কারণে এমনটা হয়ে গিয়েছিল।
সত্যি কথা বলতে কি এমন রেসিপি আমার বেশ কয়েকটি রয়েছে। শুরু থেকে বেশ ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করে রেসিপিগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, পরবর্তীতে শেষ পর্যায়ে এসে ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম, যার কারণে সেই রেসিপিগুলো আমার আর কখনো শেয়ার করা হয়নি। তাই আজ টাইটেলে এসে লিখতে বাধ্য হলাম, শেষ হয়ে হইল না শেষ রেসিপির কথা।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
https://twitter.com/mahbubullemon/status/1782341709894230346?t=r5Iz3Rk8GSMrq5ZEk-aeIA&s=19
আপনার পোস্টের টাইটেল দেখে পোস্ট পড়ার ইচ্ছে জাগলো।আসলে ভাইয়া এমন ভুল হলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। আর ফোনে ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আর ভালো লাগে না। এই রেসিপিটি শীতে অনেক মজার। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
মিয়াভাই কি করলেন এটা? আমাকে দাওয়াত না করে এত সুন্দর সুন্দর খাবারের রেসিপি শেয়ার করে দিলেন? ইস্ দেখেই তো মনে হচ্ছে নিয়ে খেয়ে ফেলি। আজকের খাবার ছিল অতুলনীয় এবং লোভনীয়। ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি যখন এই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম তখন খেতে বেশ ভালই লেগেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এমনটা হয়ে যায়। যদিও আমার কখনো এরকম হয়নি। তবে যদি এরকম পরিস্থিতি হয় তাহলে সত্যি অনেক খারাপ লাগবে। যাই হোক অবশেষে এই রেসিপিটা দেখতে পেরেছি এটাই অনেক। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপু ছেলেমেয়েদের প্যারায় পড়ে জীবনে কত কিছু যে হয় তা আর কি বলবো। আর তাইতো রেসিপি করতে যেয়ে শেষ পর্যন্ত আর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ধাপ গুলো সম্পন্ন করতে পারিনি। যার কারনে খুবই খারাপ লেগেছিল। যাইহোক আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে মাঝে মধ্যে এরকম অনেক সময় হয়ে যায়। আমারও একটি রেসিপিতে এরকম হয়েছিল। এরকম পরিস্থিতি হলে মন খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক শীতকালে সবজি দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। দেখে লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
তাড়াহুড়োর কারণে আমারও এমন হয়েছিল। তবে সব সময় হয় না। প্রথমদিকে যখন বাংলা ব্লগে নতুন এড হই তখন হয়েছিল। তারপরও আপনার রেসিপিটি দেখতে পেলাম অনেক ভালো লাগলো। আপনার রেসিপিটির কালার অসাধারণ এসেছে এবং রেসিপিটি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।যদিও শীতকালের রেসিপি তারপরও এই রেসিপি আমাদের জন্য গরমে উপযুক্ত রেসিপি।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপু, খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হাহাহাহা কি বলবো আর দুঃখের কথা ভাইয়া আমি আপনার মতে ভুক্তভুগি।আমার এমনো হয়েছে যে সব ঠিক ঠাক করে ফটোগ্রাফি করা হলেও খাওয়ার পর মনে পড়েছে ফাইনাল লুকের ফটোগ্রাফি করিনি।আপনারও এরকমই হয়েছে। এরকম হলে আপসোসের শেষ থাকে না।পোস্ট টি ভালো লাগলো বুঝতে পারলাম শুধু আমার এমন হয়না অনেকেই হয় হয়তো বা।ধন্যবাদ আপনাকে দুঃখের হলেও হাসি পাওয়ার মতো পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।