মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আর এই ফটোগ্রাফি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি। যখন থেকে আমার প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করতে শুরু করেছি, তখন থেকে ফটোগ্রাফি করাটা যেন আমার একটা নেশায় পরিণত হয়ে গেছে। আমার তো বিশ্বাস শুধু আমি নই, বরং আমার কমিউনিটির সকল সদস্য ফটোগ্রাফি করার নেশায় পড়ে গেছে।
কেননা প্রতিদিন সকলের পোস্টে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পাই, যা দেখে একদম চোখ জুড়িয়ে যায়। যদিও বা আমার ফটোগ্রাফি করার দক্ষতা তেমন একটা নেই, তবে আমাদের কমিউনিটির এমনও সদস্য রয়েছে, যাদের ফটোগ্রাফি দেখলে মনে হয় চোখের সামনে বাস্তব চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে একদম প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের ফটোগ্রাফি বলে মনে হয়।
আর তাইতো আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি, তাদের মতই দক্ষ ফটোগ্রাফার হতে। যাইহোক আজ আমি খুবই সুস্বাদু ও মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আর সেই সব খাবারের বর্ণনাও তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাহলে বন্ধুরা আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন, আমার সুস্বাদু ও মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেয়া যাক।
" ফটোগ্রাফি : ১ "
" ফটোগ্রাফি : ১ "
১। এই খাবারটির নাম নাম হচ্ছে কাঁচা কলার স্পেশাল টিকিয়া রেসিপি। আর এই টিকিয়া রেসিপি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। মজাদার ও সুস্বাদু কাঁচা কলার এই টিকিয়া রেসিপি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আর আমার অর্ধাঙ্গিনী এই কাঁচা কলার স্পেশাল টিকিয়া রেসিপি একটু স্পেশালভাবে তৈরি করে বলে স্বাদটা একটু বেশি মনে হয়। যেদিন এই কাঁচা কলার স্পেশাল টিকা রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল, সেদিন আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। আর সেখান থেকে একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
" ফটোগ্রাফি : ২ "
" ফটোগ্রাফি : ২ "
২। এই খাবারটির নাম পটেটো ফ্রাই। আর এই পটেটো ফ্রাই আমার একদম স্পেশাল রেসিপি। কেননা আমার ছেলে যখন ভাত খেতে চায় না, তখন আমি চট জলদি খুব সহজে এই পটেটো ফ্রাই রেসিপিটি তৈরি করে দেই। খেতে মচমচে ও সুস্বাদু হওয়ার কারণে আমার ছেলেও খুব মজা করে এই রেসিপি ভাতের সাথে খায়। যদিও বা এই রেসিপি ভাতের চেয়ে, সসের সাথে খেতে বেশি স্বাদ লাগে। তবে ছোট মানুষ সে আর কি বোঝে, তার কাছে ভাতের সাথে খেতে বেশি মজা লাগে।
" ফটোগ্রাফি : ৩ "
" ফটোগ্রাফি : ৩ "
৩। এই খাবারটির নাম সরপুটি মাছ ভাজা। এইতো সেদিন আমি বাজার থেকে পাঁচমিশালী মাছ কিনে নিয়ে এসেছিলাম। আর সেখানে বড় বড় দুটি সরপুঁটি মাছও ছিল। তাই আমার অর্ধাঙ্গিনী সরপুটি মাছ দুটো ভেজে মচমচে করে আমাকে ও আমার ছেলেকে খেতে দিয়েছিল। সরপুটি মাছ রান্না করার চাইতে মচমচে ভাজা খেতে বেশি ভালো লাগে। আর সেখান থেকে আমি এই সরপুটি মাছ ভাজার ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।
" ফটোগ্রাফি : ৪ "
" ফটোগ্রাফি : ৪ "
৪। এই খাবারটির নাম লাড্ডু। আমার ছেলে ও মেয়ে দুজনেই এই লাড্ডু খেতে ভীষণ পছন্দ করে। তাই আমি বাজারে গেলে মাঝে মাঝে তাদের জন্য এই লাড্ডু কিনে নিয়ে আসি। এইতো সেদিন আমি আমাদের এখানে বগুড়া দধি ঘর নামে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাড্ডু কিনেছিলাম। আর সেখানে গিয়ে তাদের খাবারের ডিসপ্লেতে এই লাড্ডুগুলো সাজিয়ে রাখতে দেখেছিলাম। আর সেখান থেকেই এই লাড্ডুর ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
" ফটোগ্রাফি : ৫ "
" ফটোগ্রাফি : ৫ "
৫। এই খাবারটির নাম নারিকেল কোরা। আর এই নারিকেল কোড়া দিয়ে আমার বাসায় নাড়ু তৈরি করা হয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমি সেদিন বাসায় না থাকার কারণে, এই নারিকেলের নাড়ুর রেসিপি শেয়ার করতে পারিনি। তবে হ্যাঁ যখন নারিকেল কোরা শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন কিন্তু ঠিকই একটি ফটোগ্রাফি করে রাখতে পেরেছি। আর সেই নারিকেল কোরা ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
" ফটোগ্রাফি : ৬ "
" ফটোগ্রাফি : ৬ "
৬। এই খাবারটির নাম বাটা মাছ ভাজা। আমার ছেলে রান্না করা মাছের চাইতে, ভাজা মাছ খেতে বেশি পছন্দ করে। আর এজন্য তাকে সব সময় মাছ ভাজা তৈরি করে দিতে হয়। বাজার থেকে কোন মাছ নিয়ে আসলে, তা রান্না করার আগে তাকে মাছ ভেজে দিতে হয়। আর মাছ ভাজা পেলে আমার ছেলে খুব তৃপ্তি সহকারে বেশ অনেকটাই ভাত খেয়ে ফেলে। তাই আমিও তার পছন্দের দিক চিন্তা করে, মাছগুলোকে ভেজে তাকে খেতে দেই। আর সেই মাছ ভাজার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
Photographer | @mahbubul.lemon |
---|---|
Device | realme 9i |
Location | Kurigram |
আশা করি আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
খাবারের ফটোগ্রাফী গুলো দেখলেই আমার জিহ্বার মধ্যে জল চলে আসে।আর মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলে তো আর কোন কথাই নেই। যাইহোক আপনি বেশ কিছু মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ভাই, আমার ক্যাপচার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার কাছে ভাল লেগেছে, এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি
এইরকম পটেটো ফ্রাই আগে কখনো দেখিনি। সত্যি এটা বেশ দারুণ এবং আপনার স্পেশাল এটা মেনে নিলাম। কাঁচ কলার টিকিয়া আমি খেয়েছি বেশ সুস্বাদু লাগে। দুই প্রকারের মাছ ভাজা দেখেই লোভ লাগছে। ওটাও দারুণ ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
ভাই এজন্যই তো স্পেশাল পটেটো ফ্রাই বলেছিলাম। আমার ছেলে ভীষণ পছন্দ করে এই পটেটো ফ্রাই খেতে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি দেখে অনেক ভালো লাগলো এজন্যই যে আপনার পোস্টটিতে মজার মজার খাবার দেখা যাচ্ছে। সবগুলোই আমার অত্যন্ত পছন্দের। বিশেষ করে মিষ্টির মধ্যে লাড্ডু আমার খুবই পছন্দ। বাটা মাছ ভাজা সরপুটি মাছ ভাজা এগুলো আমার খুবই পছন্দের। এমন মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপু আমার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজকে খাবারের ফটোগ্রাফিগুলো বেশ অসাধারণ ছিল। প্রথমেই দেখতে পেয়েছি কাঁচা কলা টিকিয়া রেসিপিটি বেশ দারুন।পটেটো ফ্রাই টা বেশ দারুন লাগতেছে এবং সরপুটি মাছ ভাজাটা বেশ মজাদার হয়েছে। অনেকদিন দেখলাম আপনি বেশ দারুন ভাবে ফটোগুলো করেছেন। সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
মিয়া ভাই এই গরমের মধ্যে এমন সব খাবারের ফটোগ্রাফি কি শেয়ার করা ঠিক হলো? এত লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো গরম আরও বেড়েই গেল। প্রতিটি খাবারই মনে হচ্ছে বেশ লোভনীয়। আমার কাছে প্রতিটি খাবারই আমার কাছে বেশ সুস্বাদু। ধন্যবাদ এমন সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন প্রিয় আপু, প্রতিটা খাবার খুবই লোভনীয় ও সুস্বাদু ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে লোভ লাগে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে এবং আমাদের মাঝে দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।
বাহ! দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না আপনার খাবারের মেনু গুলো। এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করলেন। প্রতিটি খাবার খুবই লোভনীয়দেখাচ্ছে। আমার কাছে তো আপনার প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি খুব ভালো লাগলো। এ ধরনের ঘরোয়া তৈরি খাবার গুলো খেতে খুবই মজার হয়। আমিও চেষ্টা করি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন।
আপু ঠিকই বলেছেন, এভাবে ঘরোয়া তৈরি খাবারগুলো খেতে খুব মজার হয়।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটা সত্যি বলেছেন ভাই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মনে হয় কোন বাস্তব চিত্র দেখছি। যেমনটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে ভাই। বিশেষ করে লাড্ডু আর মাছ ভাজি খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনি বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে সরপুঁটি মাছ ভাজা ও বাটা মাছ ভাজা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। তাছাড়া লাড্ডু ও কাঁচা কলার টিকিয়া দেখে আরো বেশি খেতে ইচ্ছে করছে। এমন লোভনীয় খাবার চোখের সামনে ঘোরাফেরা করলে লোভ সামলানো কঠিন হয়ে যায়। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ এমন লোভনীয় ও মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পটেটো ফ্রাই দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আর লাড্ডুগুলো তো দারুন লাগছে। ভাইয়া আপনার ছেলে মেয়েরা এই লাড্ডু খেতে পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া আমরা কেউ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার নই। তবে মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে ভালোই লাগে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার ক্যাপচার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।