অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১ লা, বৈশাখ| | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ||রবিবার||গ্রীষ্মকাল ||
আজ আপনাদের মাঝে অসহায় মানুষের সাথে ঈদ উদযাপনের গল্প শেয়ার করব। মুসলিম জাতির জন্য ঈদুল ফিতর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সবাই চায় ঈদটা যেন আনন্দে অতিবাহিত করতে পারে। কিন্তু যারা অসহায় মানুষ তাদের তো আর ঈদ আনন্দ বলে কিছু থাকে না। তারা অন্যের দিকে চেয়ে থাকে যদি কেউ কিছু সাহায্য করে তাহলে তারা খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে। আমাদের উচিত অসহায় মানুষদের দিকে খেয়াল রাখা। তাদের সাহায্য করা তাদের পাশে দাঁড়ানো। ঈদ আনন্দটা সবার জন্য। সবাই মিলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আমাদের অনেক খেয়াল রাখতে হবে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর।
যদিও আমাদের সামর্থ্য বৃত্তশালীদের মতো না। তবে যতটুক আছে সেখান থেকে কিছুটা হলেও তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার। আমাদের বাড়ির পাশে এক কাকু খুবই গুরুতর অসুস্থ। আমি যখন ঢাকা ছিলাম তখন আমার আম্মু ফোন দিয়ে আমাকে বলল বাড়ির পাশে ওই কাকুর কথা। আমি আম্মুকে জিজ্ঞাসা করলাম তার কি হয়েছে আম্মু বলল দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি শুনে তো অবাক হয়ে গেলাম সেদিন থেকে আসলাম ভালো একটা মানুষ এই কয়দিনের মধ্যে এমন একটা অবস্থা। তখনই মনে মনে ভেবেছিলাম বাড়ি গিয়ে কিছুটা হল তার দুঃখটা লাঘব করব। তার একটা ছেলে ও একটা মেয়ে আছে। মেয়েটা বিয়ে হয়ে গেছে ছেলেটারও বিয়ে হয়েছে। তবে ছেলেটা কাজকর্ম করে না। তার সংসারের উপার্জন ক্ষম মানুষ ছিল ওই কাকু। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার পর একটা পরিকল্পনা করি। একা একা তো আর সাহায্য করা সম্ভব না। আমি আমার বন্ধুদের বলি বাড়ির পাশে একটা লোক খুবই অসুস্থ তাকে আমরা একটু সাহায্য করতে পারি। আমার বন্ধুরা এক কথায় রাজি হয়ে যায়। এই কথা আমার কাছের একটা বড় ভাইয়ের সাথে শেয়ার করি। ভাই বলল আচ্ছা সমস্যা নাই আমি পাশে থাকবো।
ভাই আবার অসহায় মানুষদের দেখলে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে। পরে একদিন বিকেলে সবাইকে ডাকি। ওরে আমার কথাগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করি। সবাই আমার কথা মত রাজি হয়ে যায়। আমি বলি যে যেমন সাহায্য করতে পারবা সেটাই অনেক। পরে আমার দুই বন্ধু ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসতে পারিনি। তাদেরও আমি ফোনের মাধ্যমে জানাই। তারাও তাদের সাধ্যমত বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দেয়। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার দুইটা বন্ধু ও বড় ভাইকে নিয়ে বাজারে যাই। আগে থেকেই আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা পরিবারের এক সপ্তাহের যা কিছু দরকার সেটা ক্রয় করে দিব। তো আমরা কেনাকাটা শুরু করি। এক মাসের বাজার করতে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। যদিও আমরা এভাবে বাজার করাতে অভ্যস্ত না। তবুও একটা দোকানে গিয়ে বলি এক মাসের একটা পরিবারের যে জিনিস গুলো লাগে সব পরিমাণ মতো দিতে। ঈদের জন্য সেমাই চিনি মাংস এগুলোও ক্রয় করি। বলতে পারেন এক মাসের যা যা প্রয়োজন সবগুলোই আমরা ক্রয় করি। তারপর এক বস্তা চাউল তেল প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রী একসাথে করি। তারপর একটা ভ্যান নিয়ে সেই কাকুর বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে কাকুরা সবকিছু বুঝিয়ে দেই। কাকু আমাদের দেখে কেদে ফেলেছে। কাকুর সাথে অনেক দিনের সম্পর্ক। যেহেতু একই এলাকায় বাড়ি। কাকুকে সান্তনা দিয়ে বলি ওষুধ ঠিকমতো খাবেন অসুখ সারানোর মালিক আল্লাহ। আল্লাহর উপর ভরসা রাখবেন ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। পরে কাকুর বাড়ি থেকে আসার সময় ঈদের খরচের জন্য কিছু ক্যাশ টাকা তাকে দেওয়া হয়। আর কাকুকে বলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেন এরকম অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি। আজকে এই পর্যন্তই আপনারা এই অসুস্থ লোকটাকে অবশ্যই দোয়া করবেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
আপনার পোস্ট টা পড়ে আমার বেশ ভালো লাগল ভাই। আর মনে হলো মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। আপনারা যেন সেটাই করেছেন। আমাদের সবার উচিত এইরকমভাবে নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ টা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আপনাদের জন্য শুভকামনা ভাই। আশাকরি আল্লাহ উনাকে সুস্থ্য করে দিবেন।।
আসলে আমাদের উদ্দেশ্যটা একটু ভিন্ন। চেষ্টা করি স্বল্প পরিমান হলেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে তোলেন দ্রুত।
আপনার এই পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাই। নিজের জায়গা থেকে সকলেই যদি এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে খুব সহজে আমাদের সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মানুষের মধ্যে গভীর ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। চমৎকার একটি কল্যাণমূলক কাজ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করি ভাই সবসময় অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। স্বল্প পরিমান হলেও মানুষের সাহায্য করার। দোয়া করবেন এই লোকটি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।