প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য।
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@md-razu বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৬ শে,চৈত্র| | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ||মঙ্গলবার||বসন্তকাল ||
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে কিছু প্রিয় মুহূর্ত বন্দী করার মজাই অন্যরকম।প্রকৃতির রুপ কার না ভালো লাগে।প্রকৃতির রুপ দেখে মানুষের মনে এক অনাবিল সুখ বয়ে যায়।
ফটো-এডিটর দিয়ে বানানো।
device:redmi note 10
What's 3 Word Location:
https://w3w.co/uncorks.nevermore.retake
আজ আপনাদের মাঝে প্রকৃতির কিছু অপরূপ সৌন্দর্য শেয়ার করবো। আশা করি এই ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু আছে তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায়। অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
গতকালের পরিবেশটা অসাধারণ ছিলো।আকাশে রোদের দেখা নাই।ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ।তাই ভাবলাম একটু পদ্মা নদীর তীরে একটু ঘুরে আসি।আমি আর বন্ধু রাহুল বাইক নিয়ে সবুজ প্রকৃতি দেখার জন্য বেরিয়ে পরি।আজ একটা ভিন্ন জায়গায় চলে যাই।সবুজ প্রকৃতি দেখতে সব সময় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।যখন আমরা প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই তখন আমাদের মাঝে অন্য রকম একটি ভালো লাগা কাজ করে। আবার যখন আমাদের অনেক মন খারাপ থাকে আমরা তখন যদি প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই তখন আমাদের মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়।প্রকৃতি হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ একটি নেয়ামত। যে নিয়ামতের কারণে আমরা সবসময় হাসিখুশি এবং সুন্দরভাবে পৃথিবীতে বসবাস করতে পারি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শব্দের মাধ্যমে বুঝাতে পারবো না, কারণ প্রকৃতির সৌন্দর্য কেবল বর্ণনা করা যায় না, তা অনুভব করা প্রয়োজন। এই সৌন্দর্য আমাদের আত্মার শান্তি ।আমাদের সম্পর্ক প্রকৃতির সাথে আরও নিকটতম করে।এরপর জমির মেঠো পথ ধরে কিছু সময় হাটাহাটি করি। মেঠো পথের দুই ধার দিয়ে সবুজ প্রকৃতি সেটা উপভোগ করতে করতে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। হিমেল বাতাস গায়ে লাগছে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। যখন ছোট ছিলাম তখন ঘুড়ি বানিয়ে সবুজ প্রকৃতির মাঝে দৌড়াদৌড়ি করতাম। আসলে তখনকার অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। আর এখন মাসের পর মাস চলে যায় তাও সবুজ প্রকৃতির দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।
তারপর চলে আসলাম আমাদের ভুট্টা ক্ষেত দেখতে।আলহামদুলিল্লাহ জমিতে ভুট্টা অনেক ভালো হয়েছে।ছুটিতে আসার পর এই প্রথম এই জমিতে আসলাম।আমাদের এই পদ্মার চড়ে অনেক ভালো ফসল ফলে।মাঠ জুড়ে ধান,আখ আর ভুট্টা ক্ষেত।ভুট্টা ক্ষেতের পাশেই আমাদের ধানের জমি।এখানে প্রায় ৫-৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে।ধান ক্ষেতও অনেক ভালো হয়েছে।
আমরা মাটির রাস্তা ধরে নদীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। কিছুদূর যেতেই একটা শিমুল গাছের দেখা পায়। যদিও শিমুল গাছে এখন ফুল নেই। নদীর পাশে রাস্তা ও অনেক আঁকাবাঁকা যা দেখতে অসম্ভব রকম সুন্দর লাগে। এই জায়গাটা আমাদের অনেক পছন্দের। বাড়ি থাকলে কয়েকদিন পর পর এখানে আসা হয়। গত বছর রমজান মাসে তো এখানে এসে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলাম। এবারও প্লান আছে এরকম। তবে আমার এক বন্ধু ঢাকা থেকে এখনো আসেনি এজন্য কিছুদিন পরে এখানে ইফতার পার্টি দিব। বন্ধু ঢাকা থেকে আসলেই কিছু নিয়ে আমরা এখানে চলে আসব। খোলা মাঠে প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে ইফতার করার মত অনুভূতি ও অসাধারণ লাগে।
যেদিকে দুচোখ যায় সবুজ প্রকৃতি চোখে পড়বে। এভাবে নদীর পাড়ে বসে সবুজ প্রকৃতি উপলব্ধি করার মজায় অন্যরকম। সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে এভাবে খুন তারপর ঘন্টা পার হয়ে যাবে আপনি টের পাবেন না। বৃষ্টি নিম্ন এলাকা জুড়ে থামের মাঠ। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে যা অসাধারণ একটি অনুভূতির সাক্ষী হলাম।এভাবে অনেক সময় বসে প্রকৃতি দেখার পর। সূর্য অস্ত যাবে তখন গোধূলি লগ্নের কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর যদি হয় প্রকৃতির ফটোগ্রাফি তাহলে তো কোন কথাই নেই। চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য। আসলে গ্রামে আসলে আপনি যে দিকে তাকাবেন সেই দিকেই প্রকৃতির অপরের সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। কোন দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি। আসলে গানের সাথে আমাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য মিল রয়েছে। মূলত প্রকৃতির সৌন্দর্যে আপ্লুত হয়েই এই গানগুলো তৈরি হয়েছে।
সন্ধ্যার আগ মূহুর্তের পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সূর্যাস্তের সময় জেলেরাও ব্যস্ত মাছ ধরতে। সন্ধ্যার দিকে নাকি নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। অবশ্যই এটা আমার শোনা কোথা। সূর্যাস্তের সময় পশ্চিম আকাশে মেঘটা লাল বর্ণের আকার ধারণ করে যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এরকম পরিবেশে নদীর উপর নৌকা নিয়ে ভাসতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। প্রকৃতিকে ভালবাসলে প্রকৃত আপনাকে সন্তুষ্ট করবে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি কখনো নিরাশ হবেন না আশা করি। তারপর ইফতারের আগ মুহূর্তে আমরা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হই। যেহেতু বাড়ি আসতে আমাদের ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে। বাড়ি এসে তারপর আমরা ইফতার সেরে নেই।
আমি মো: রাজু আহমেদ, আমি একজন ছাত্র। আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। আমি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, রান্না করতে, বই পড়তে, কবিতা পড়তে, খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করি।স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness OR
একেবারে মন জুড়ানো ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। সূর্যাস্তের অসাধারণ সৌন্দর্য বেশ মনমুগ্ধকর। আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাহিরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এত চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এমন প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আমি।
গ্রাম আর প্রকৃতির দারুন সমন্বয় ঘটিয়েছেন আপনি আপনার আজকের ফটোগ্রাফিতে । প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন গ্রাম বাংলার প্রতিচছবি। আমার কিন্তু আপনার আজকের প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হবে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রকৃতির মাঝে গেলে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমির মধ্যে সময় অতিবাহিত করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এমন পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। বিকেলে এমন পরিবেশে ঘুরতে গেলেই যেন মনটা ভরে যায়।
আপনি ঠিকই বলেছেন এরকম প্রকৃতির মাঝে সময় অতিবাহিত করতে অনেক ভালো লাগে। চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
পল্লী কবি জসীম উদ্দিন প্রকৃতির প্রেমে বিভোর হয়ে আমাদের অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা উপহার দিয়ে গেছেন। আসলে ইট পাথরের শহরের থেকে গ্ৰামের রঙ্গিন প্রকৃতি অনেক বেশি সুন্দর। রঙ্গিন প্রকৃতিতে রয়েছে অন্যরকম সস্তি কিন্তু অপরদিকে শহরের মধ্যে তা নেই। আপনি আজকে প্রাকৃতিক দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
প্রকৃতির অপরূপ মায়ায় পড়ে অনেক খুবই বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস কবিতা রচনা করে গেছেন। যা সড়ে প্রকৃতির প্রতি প্রেমে পড়তে বাধ্য হয়েছি আমরা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন আপনার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পোস্ট দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। সত্যি বলতে প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর এটা আপনার এই পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়, সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মধ্যে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির মাঝে গেলে আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আপনার শেয়ার করা প্রকৃতির অপরুপ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। সত্যি এমন দৃশ্য গুলো দেখে ক্যামেরা বন্দী করলে অনেক বেশী ভালো লাগে।আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি ই আমার কাছে ভালো লেগেছে। তবে আজ আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভুট্টা ক্ষেত দেখতে পেলাম।খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
নিজ হাতে ক্যামেরা নিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে। চেষ্টা করি সব সময় সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
প্রকৃতির সৌন্দর্য সবসময় আমার অনেক ভালো লাগে। এজন্যই আমি সব সময় প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি সবার সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করি।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি খুব সুন্দর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করেছেন যা আসলে দেখে নয়ন জড়িয়ে গিয়েছে।
প্রকৃতির প্রেমে পড়লে বোঝা যায় প্রকৃতি কত সুন্দর। প্রকৃতি সবসময় আমাকে আপন করে। প্রকৃতির এমন দৃশ্য দেখে সব সময় আমি মুগ্ধ হয়ে যায় । সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘুরতে কার না ভালো লাগে ।আপনি সত্যি প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য মাঝে মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট না দেখলে হয়তো এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতাম না ।ভুট্টাগুলো পেকে গিয়েছে এমন ধরনের ভুট্টা পুড়িয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমরা দূরদূরান্ত ঘুরে বেড়াই। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য যত দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখে সত্যি বলতে আমিও মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ধান ক্ষেত, মেঠো পথ, সূর্যাস্ত সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে যেন চোখ সরাতে পারছিলাম না। এরকম জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষণ থাকলে মনটা সত্যিই ভালো হয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিকেলবেলা সবুজের মাঝে বাইক চালানোর মধ্যে আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করে। আমরা প্রায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করি সব সময়। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।