ঘটনাটি এমনই কোন এক বর্ষায়- পর্ব ১
আজ - ৪,আষাঢ় | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক আজ সকাল থেকে আমাদের এদিকে কারেন্ট নেই। আর আমার মোবাইল, ল্যাপটপ কোনটিতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এর চার্জ নেই। জানিনা কতক্ষন এগুলো দিয়ে ব্যাকআপ করতে পারব। আর কখনই বা কারেন্ট আসবে। আদো আজ সারাদিন কারেন্ট আসবে কিনা সেটাও বলতে পারছিনা। যাইহোক খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মোবাইল ব্যবহার করছি না। অপ্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহারের পর চার্জ শেষ করলে পরবর্তীতে দেখা যাবে প্রয়োজনের সময় আর মোবাইলে চার্জ থাকছে না। আসলে আমি সবসময় রাতে মোবাইল চার্জ দিয়ে রাখি কিন্তু গতকাল রাতে ও লোডশেডিং হয়েছিল তাই আর মোবাইল চার্জ করার সুযোগ হয়নি।
যাইহোক, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। আসলে বৃষ্টি বাদলের দিনে একটু বেশিই ঘুম পায়। তবে আজকে সত্যিই ঘুম থেকে উঠেতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে প্রায় বেলা এগারোটা বেজে গিয়েছে। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে দেখছি এখনও ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। গত রাত থেকে যে শুরু হয়েছে এরপর আমার মনে হয় না তা একবারের জন্যও থেমেছে। রাস্তায় পানি ও উঠেছে প্রচুর। বারান্দায় দাড়িয়ে ব্রাশ করতে করতে যখন রাস্তার ওই পানি গুলো দেখছিলাম তখন হঠাৎ করে অনেক বছর আগের একটি ঘটনা আমার মনে পড়ে গিয়েছে। তো চলুন ঘটনাটি আপনাদের সাথে সংক্ষিপ্তভাবে শেয়ার করি।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি এমনই কোন এক বর্ষায়। তখন আমি মনে হয় সবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি। যাই হোক সারারাত বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তায় বেশ পানি জমে গিয়েছে। পুরা দেশেই জলাবদ্ধতার কারণে ভয়ঙ্কর এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের বাসার সামনে ও বেশ পানি উঠেছে। এর আগে আমি কখনও বাসার নিচে এত পানি দেখিনি। যাইহোক বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম বাচ্চারা কি সুন্দর এই পানিভর্তি রাস্তার মধ্যে খেলাধুলা করছে। আর এটি দেখে আমারও খুব ইচ্ছে হল নিচে গিয়ে একটু হেঁটে আসার। যাইহোক, যেমন ভাবা তেমন কাজ নেমে গেলাম ঢিলেঢালা একটি প্যান্ট পড়ে এবং ছবি তোলার জন্য আমার প্রিয় মোবাইলটি নিয়ে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি তাই বাসা থেকে আমাকে নতুন একটি ফোন দেওয়া হয়েছে। আর ওইটাই আমার জীবনে প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। যাইহোক, কোন রাস্তায় কতটুকু পানি উঠেছে সেটা দেখার জন্য হাঁটতে-হাঁটতে পুরো এলাকায় হেঁটে আসলাম। পানি ভর্তি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালই লাগছিল।
যেখানে যেখানে বেশি পানি সেখানে গিয়ে কিছু ছবি তুলে এবং যত্নসহকারে আবার মোবাইলটি পকেটে রেখে দিই। রাস্তাগুলোতে বেশ পানি প্রায় হাটুর উপরে। প্যান্ট হাত দিয়ে ধরে উপরে তুলে রাখতে হচ্ছে। যাইহোক অনেক ঘোরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরে আসি। কিন্তু বাসায় এসে দেখি আমার মোবাইলটি পকেটে নেই। অনেক খোঁজ করলাম কিন্তু পাইনি। এরপর আমার বুঝতে আর দেরি হয়নি যে আমার মোবাইলটি পানিতে পড়ে গেছে। কিন্তু আমার মনে আছে আমি ফটো তুলে মোবাইলটি ঠিকভাবে পকেটে রেখেছি। কিন্তু আসার সময় আমি যখন প্যান্ট উপরে তুলে হাঁটছিলাম তখন হয়তো পকেটের ফাঁক দিয়ে মোবাইলটি পড়ে গেছে। কেননা ঢিলেঢালা প্যান্ট পকেট ও অনেক বড়। আর এতো বড় পকেট থেকে মোবাইল পরাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
যাইহোক আমি মোবাইল খোঁজার জন্য বেরিয়ে পড়ি। মোবাইল খুঁজতে গিয়ে আমি কি মোবাইলটি খুজে পেয়াছি? এরপর কি হয়েছে আমার সাথে? সে সবকিছু আপনাদেরকে জানাবো আগামী পর্বে । মোবাইলে চার্জ বেশি নেই। একটু পরেই হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখানেই শেষ করছি আমার ওই ঘটনাটি। পরবর্তী পর্বে ঘটনার বাকি অংশটুকু শেয়ার করব।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বৃষ্টির দিমে নরমালি ঘুম বেশি পায়, বিছানা থেকে উঠতেই যেন মন চায়না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি তার উল্টো। সারাদেশেই পানি বেড়ে যাচ্ছে, বন্যা অলরেডি হয়ে গেছে সিলেট জেলায়। পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি। যায়হোক, আপনার ঘটনাটি পড়ে খারাপ লাগলো ভাইয়া শেষের দিকে এসে 🙂। নতুন ফোনটা এভাবে হারিয়ে গেলো! পেয়েছেন কিনা পরে সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিকই বলেছেন বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক অঞ্চল।
আহা আমি কত মন দিয়ে পড়লাম ফোন টা খুজে পেয়েছেন কিনা। শেষে দেখি পরের পর্বে বলবেন। আহারে। প্রথম ফোন যেহেতু কত কষ্টই না পেয়েছেন ভাই।
আসলে পুরো ঘটনাটি একসাথে শেয়ার করতাম তবে মোবাইলে চার্জ একদমই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই কথা না বাড়িয়ে তাড়াহুড়া করে পোস্টটি শেষ করে দিই।
ব্যাপার না ভাই। এটা একটা আকর্ষন বলা চলে। এটার জন্য অনেকে নেক্সট পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম।
বৃষ্টির কারণে সবাই ঘরবন্দি জীবন যাপন করছে। তবে আমার এলাকায় এখনো লোডিং হয়নি। যাইহোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার এই গল্পটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনি আপনার জীবনের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এভাবে হারিয়ে ফেলেছিলেন জেনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আসলে প্রথম যে কোন জিনিস কিনলে সেই জিনিসটার ওপর প্রচণ্ড মায়া জন্মায়। এরপরে কি হলো সেই কথাটি জানার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করছি আগামী পর্বে আপনি সবটাই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️
ঐদিন ফোনটি হারিয়ে আমর প্রচুর মন খারাপ হয়েছিল।
আহারে জীবনের প্রথম ফোনের এই অবস্থা আমার নিজেরই তো খারাপ লাগছে। যাইহোক আপনার ফোনের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশাকরি আগামীকাল পাব।।
শেষমেশ কি হয়েছে নিশ্চয় আগামী পর্বে পুরো ঘটনাটি জানতে পারবেন।
তবে ঠিকই বলেছেন অঝোরে বৃষ্টি পড়ার কারণে সারাদেশেই অস্থির একটা ভাব দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষ করে সিলেটের মানুষের দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। এই বৃষ্টি বাদলের দিনে ও আপনার পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। কিন্তু আপনি আরো বেশি বিপাকে পড়ে গেছেন আপনার বাসায় বা আপনার এলাকায় কারেন্ট না থাকায়। সেই সাথে অঝোরে বৃষ্টি পড়া এবং আপনার ঘুম থেকে লেট করে ওঠা সবকিছুই অসাধারণ ছিল। তবে আপনার জীবনে প্রথম পাওয়া এন্ড্রয়েড মোবাইল টি বৃষ্টির পানি উপভোগ করতে গিয়ে ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছেন শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আমি তো মনে করেছি আপনার এই মোবাইল আর পাবেন না। তবে বাকি গল্পটুকু শোনার অপেক্ষায় রইলাম। আমাদের সাথে আপনার পুরনো দিনের গল্প টা শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ভাই একেবারে আলিফ লায়লার মতো শেষ করে দিলেন। মোবাইলটা পেয়েছেন কিনা জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে পড়ছি এমন সময় দেখি শেষ করে দিলেন। যাই হোক বাকি ঘটনা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
বর্ষা মৌসুমে আমার জেলা শহরে সচরাচর পানি ওঠে না। কিন্তু বন্যার সময় শহরের বাইরে যাওয়ার পর যখন দেখি কোথাও কোথাও পাকা রাস্তার উপর দিয়ে অনেক পানি হয়েছে। তখন সে রাস্তার মধ্যে হাঁটতে আমারও খুব ভালো লাগে আমি বেশ উপভোগ করি সেই মুহূর্তগুলো।
নতুন মোবাইল হারিয়ে যাওয়াতে অনেক কষ্ট হয়েছে নিশ্চয়ই।