ভিন্নস্বাদের পেয়ারা মাখা।
আজ - ৬ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে পেয়ারা মাখা রেসিপি শেয়ার করব।

কেমন আছেন সকলে? আশা করি ভাল আছেন। আমি খুব একটা ভালো নেই। গতকাল থেকেই শরীরটা কিছুটা খারাপ । আসলে এখন এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। কেননা সিজন পরিবর্তন হচ্ছে। আর এই সিজন পরিবর্তনের সময়টাতে সাধারণত মানুষের বেশি অসুখ দেখা দেয়।










যাইহোক, জ্বর এর কারণে মুখে খুব একটা রুচি নেই। তাই ভাবলাম মুখোরোচক কিছু তৈরি করা যাক। বাসায় পেয়ারা ছিল তাই পেয়ারা-মাখা তৈরি করলাম। যদিও আমি বেশিরভাগ সময় পেয়ারা-মাখা অন্য পদ্ধতিতে তৈরি করি। তবে আজ একটু ভিন্নভাবে পেয়ারা-মাখা তৈরীর চেষ্টা করলাম। আসলে রাস্তাঘাটে আমরা অনেক সময় পেয়ারা-মাখা খেয়ে থাকি। আর ওই পেয়ারা মাখা গুলো সাধারণত অনেক টেস্টি হয়। তাই ওই রকম করেই পেয়ারা মাখা তৈরীর চেষ্টা করেছি। প্রথমে একটু দ্বিধাদ্বন্দে ছিলাম যে এভাবে পেয়ারা-মাখা তৈরি করলে খেতে কেমন হবে। পরবর্তীতে যখন এটি তৈরি করলাম তখন বেশ অবাক আমি কেননা এটি খেতে খুবই মজা ছিল। এবং বাহিরের পেয়ারা-মাখার ওই স্বাদ ছিল।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেয়ারা ।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- কাসুন্দি ।
- সরিষা বাটা ।
- তেতুল ।
- ধনিয়া পাতা ।
- পোড়া মরিচ।
- বিট লবণ।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে সরিষা বেটে নিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-২ঃ
- এরপর শুকনা মরিচ টেলে নিব।

ধাপ-৩ঃ
- এরপর পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে নিব। কিছুক্ষণ পর তেতুল গুলো যখন নরম হয়ে আসবে তখন বিচিগুলো ফেলে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৪ঃ
- এরপর একটি পেয়ারা নিয়ে নিব। এরপর পেয়ারাগুলো কে লম্বা লম্বা করে কেটে নেব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৫ঃ
- এরপর কেটে নেওয়া পেয়ারা গুলোর মধ্যে তেতুল, কাসুন্দি, সরিষা বাটা, মরিচের গুঁড়া, বিট লবণ দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৬ঃ
- ধনিয়া পাতা কুচি, লবণ ও পোড়া মরিচ দিয়ে দিব।

ধাপ-৭ঃ
- এবার সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালো ভাবে মেখে নেব।
ব্যাস এভাবে তৈরী হয়ে গেল টক-ঝাল পেয়ারা মাখা।

সকলকে ধন্যবাদ।

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR
















আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
সিজনাল সর্দি জ্বর নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই, আমার ছেলেও আজ থেকে অনেক জ্বর।জ্বরের মুখে বেশ ভালো লাগে টক ঝাল খেতে।আর কাসুন্দি ও তেতুল দিলে তো কথাই নাই। দেখেই জিভে জল এসে গেলো।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন রাস্তাঘাটে যেসব পেয়ারা মাখা আমরা খেয়ে থাকি, সেগুলো আসলে অনেক সুস্বাদু হয়। তবে সেখানে ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। কিন্তু আপনি যেভাবে পেয়ারা মাখা বানিয়েছেন সুস্বাদু তো বটেই এবং ক্ষতিকর দিক ও নেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব চমৎকারভাবে ভিন্ন ধরনের পেয়ারা মাখা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
ভাইয়া প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আপনি ঠিকই বলেছেন এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় তাই মানুষের অসুখ-বিসুখ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবুও আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। বাইরের পেয়ারা মাখা আমারও ভীষণ পছন্দের। আর আপনি বাইরের পেয়ারা মাখার মত পেয়ারা মাখা বাড়িতেই তৈরি করেছেন তাহলে সেটা তো আরো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে ।আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো খেয়ে দেখিনি ।সরিষা বাটা, কাসুন্দি, ধনিয়া পাতা, পোড়া মরিচ,তেঁতুল এগুলো দিলে অন্যরকম একটি টেস্ট হওয়ারই কথা ।বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটি। আমিও একদিন বাসায় ট্রাই করবো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, জিভে জল চলে এলো 😋আবার সাথে তেঁতুল। ইস,খুব মজা হয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি। তেঁতুল দিয়ে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 😊
বর্তমান সময়ের ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে যার কারণে অনেকেরই জ্বর এবং ঠান্ডা লাগছে। আর যখন কেউ জোরে আক্রান্ত হয় তখন তার মুখে কোন রকম স্বাদ থাকে না। যাই হোক মুখে রুচি না থাকার কারণে আপনি ভিন্ন স্বাদের পেয়ারা মাখা রেসিপি তৈরি করেছেন। বাসায় ঐরকম ভাবে কখনো পেয়ারা মাখা তৈরি করে খাওয়া হয়নি তবে বাহির থেকে কয়েকবার খাওয়া হয়েছে খুবই সুস্বাদু লাগে। ভিন্ন স্বাদের এই রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেল।
আপনি অসুস্থ তা হ্যাং আউটে জেনেছি। আজ পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার জ্বর হয়েছে। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যান এই দোয়া করি। জ্বর সর্দিতে একদমই মুখের রুচি থাকেনা এবং আপনার পেয়ারা মাখা খাওয়ার আইডিয়াটা ভাল ছিল। আমরা সাধারণত লবন আর মরিচ দিয়ে পেয়ারা মাখা খেয়ে নেই। আপনি খুব ভিন্নভাবে অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে পেয়ারা মাখা বানিয়েছেন। কালার দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। পরিবেশন সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে তাই ভাই, আবহাওয়া চেঞ্জের কারণেই প্রায় বাড়িতেই জ্বর সর্দি লেগেই রয়েছে। আমাদের উত্তরাঞ্চলে আগাম শীতের বাত্রা জানান দিচ্ছে। যাইহোক আপনার করা অন্যরকম পেয়ারা মাখা রেসিপিটি দেখে খুবই সুন্দর লাগলো। আপনি যে সমস্ত আইটেম ব্যবহার করেছেন আপনার রেসিপিতে তাতে টেস্ট অসাধারণ হয়েছে আমি মনে করি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সময় টা খারাপ ভাই। যদিও আশাকরছি সাধারণ জ্বর এটা। তবে কয়েকদিন যদি স্থায়ী হয় ডেঙ্গু পরীক্ষা টা করিয়ে নিয়েন। জ্বর আসলে আসলেই মুখে রুচি থাকে না। পেয়রা মাখা টা সত্যি বেশ আলাদা ছিল। শুকনা মরিচ দিয়ে এইভাবে পেয়ারা মাখা কখনো দেখিনি। দেখে আমারই জিভে পানি চলে আসছে।।
ভাই গতকাল তো হ্যাংআউটে শুনলাম যে আপনার শরীর টা খারাপ ৷ আর আসলে বর্তমান তো আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে একটু জ্বর সর্দি আসবেই ৷
তবে জ্বর এলে আসলে মুখে রুচি থাকে না ৷ খুব ভালো করছেন
৷মরিচের গুঁড়া।
লবণ।
কাসুন্দি ।
সরিষা বাটা ।
তেতুল ।
ধনিয়া পাতা ।
পোড়া মরিচ।
বিট লবণ।
দিয়ে খুব সুন্দর করে বানিয়েছেন ৷ দেখে তো আমারি জিভে জল এসে এসে গেলো ৷
ধন্যবাদ ভাই
গতকাল হ্যাংআউটে আপনার অসুস্থতার কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো ৷ আসলেই সিজন পরিবর্তন হওয়ার এই সময়টাই মানুষের বেশ অসুখ বেসুখ হয় ৷ যাই হোক আপনার সুস্থতা কমনা করছি ৷ আর মুখে রুচি না থাকলে এমন খাবার আসলেই ভালো লাগে ৷ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে পেয়ারা মাখা করেছে ৷ আসলে দেখেই মনে হচ্ছে বেশ স্বাদের এবং মজার হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷