লাইফস্টাইল পোস্ট || সকাল বেলা মাছ কিনতে গিয়ে বন্ধুর সাথে মাউরা রেস্টুরেন্টে নাস্তা করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই মাসের প্রথম সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের ৫ নং ঘাটে গিয়েছিলাম বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনতে। মাছ কেনার পর আমি এবং আমার এক বন্ধু নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাউরা রেস্টুরেন্টে সকাল বেলা নাস্তা করেছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক সেদিন ছিলো রবিবার,আমি সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম মাছ কিনতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তো বাসা থেকে বের হওয়ার পর দুই বন্ধুর সাথে দেখা হলো। এর মধ্যে এক বন্ধু বললো সে ও আমার সাথে মাছ কিনতে যাবে। তো আমরা দু'জন অল্প সময়ের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জের ৫ নং ঘাটে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
যদিও আমাদের উচিত ছিলো আরও সকালে যাওয়া। কারণ সেই মাছ বাজার শুরু হয় একেবারে সকাল বেলা থেকে এবং ১০ টার মধ্যেই মাছ বিক্রি করা প্রায় শেষ হয়ে যায়। সেদিন মাছ বাজারে মানুষ মোটামুটি কম ছিলো। সাধারণত শুক্রবার এবং শনিবারে সেখানে প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে। তাই আমি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,শুক্রবার এবং শনিবারে ৫নং ঘাটে মাছ কিনতে আর কখনোই যাবো না। যাইহোক প্রথমে মাছ বাজারে গিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করে দেখলাম কি কি মাছ উঠেছে। তারপর ৩ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ কিনলাম ১০৫০ টাকা দিয়ে। তারপর ১ কেজি টেংরা মাছ কিনলাম ৭০০ টাকা দিয়ে,১ কেজি মেনি মাছ কিনলাম ৬৫০ টাকা দিয়ে,১ কেজি ছোট বাইলা মাছ কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে,১ কেজি ছোট চিংড়ি মাছ কিনলাম ৪৫০ টাকা দিয়ে,১ কেজি শিং মাছ কিনলাম ৪০০ টাকা দিয়ে।
তারপর শোল মাছ কিনলাম ৩টা এবং তিনটা শোল মাছের ওজন হয়েছিল ১,২০০ গ্রাম। শোল মাছ গুলো ৬০০ টাকা কেজি কিনেছিলাম। সবমিলিয়ে ৯ কেজির উপরে মাছ কিনেছিলাম সেদিন। ৩০ মিনিটের মধ্যেই মাছগুলো কিনে ফেলেছিলাম সেদিন। তবে আমার বন্ধু কোনো মাছ কিনেনি। তাড়াহুড়া করে মাছগুলো কিনেছিলাম বলে,সেদিন মাছের ফটোগ্রাফি করার কথা একেবারেই মনে ছিলো না। যাইহোক মাছ কেনার পর আমরা চলে গেলাম ঐতিহ্যবাহী মাউরা রেস্টুরেন্টে। মাউরা রেস্টুরেন্ট নারায়ণগঞ্জ ৫নং ঘাট থেকে একেবারে কাছাকাছি অবস্থিত। এই রেস্টুরেন্টটা অনেক পুরনো এবং এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান খুবই ভালো। এককথায় বলতে গেলে এই রেস্টুরেন্টের বেশ সুনাম রয়েছে।
এর আগে বেশ কয়েকবার এই রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলেও, সকালে নাস্তা করা হয়নি কোনোদিন। যাইহোক আমি দু'জনের জন্য পরোটা,চিকেন স্যুপ,মাংস এবং ডিম পোজ অর্ডার দিলাম। মাছ নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে বলে,আমরা তাড়াতাড়ি নাস্তা করে নিলাম। তারপর দুই কাপ চা খেলাম। চায়ের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তাছাড়া বাকি খাবারের স্বাদও দারুণ ছিলো। তারপর আমরা বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। সবমিলিয়ে বিল এসেছিল ৪৮০ টাকা এবং ওয়েটারকে ২০ টাকা টিপস দিলাম। তারপর আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বাড়িতে চলে এসেছিলাম। সবমিলিয়ে অনুভূতি দারুণ ছিলো। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২১.১১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
হাহাহা মাছ কিনে খাই। একটু মজা করলাম ভাইয়া। শুরুতেই আপনার পোস্ট দেখতে পেরে আনন্দ আসলে মনে। খুব সুন্দর একটি খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশি বেশি রেস্টুরেন্টে খাওয়া কিন্তু ভালো না। ১৯২৮ সালে স্থাপিত এই রেস্টুরেন্ট। বেশ অনেক দিনের পুরাতন। ভালো লাগলো,মাত্র একটা পরোটা খেতে দেখে।
পরোটা একটা না বরং তিনটা করে খেয়েছিলাম। প্রথমে দুটি করে দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে আরও একটি করে নেওয়া হয়েছিল। স্যুপ এবং মাংস দিয়ে কেউ একটা পরোটা খায়? আপনার মনে হয় চশমা নিতে হবে হা হা হা।
১৯২৮ সালের রেস্টুরেন্ট মানে তো সেই ব্রিটিশ আমলের রেস্টুরেন্ট ভাই। বেশ সুন্দর লাগলো এত ঐতিহ্যবাহী একটি রেস্টুরেন্টের ছবি দেখে। আপনার খাবারগুলি ও খুব সুন্দর ছিল নাস্তা হিসেবে। বন্ধুর সঙ্গে বেশ সুন্দর একটি সময় নাস্তার মাধ্যমে কাটালেন। এমনভাবে মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে দিতে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে। সব মিলিয়ে দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন।
হ্যাঁ ভাই এই রেস্টুরেন্ট অনেক পুরনো। আমরা সেদিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।