স্ত্রীর উপহার
০৪ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
আসসালামু অলাইকু/নমস্কার
লেখার শুরুতে আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় বন্ধুদের প্রতি আমার সালাম ও আশীর্বাদ রইল। কয়েকদিন যাবত শরীর অনেক খারাপ। সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয় তাই পিঠ ব্যাথা করছে। ডাক্তার দেখিয়েছি ডাক্তার বলল আপনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাটবেন। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে এখন একটু হাঁটার চেষ্টা করি পাশাপাশি রাত্রে একটু হাঁটাহাঁটি করি। আমি খুব ব্যস্ত মানুষ অনেক কষ্ট করে আমাকে সময় ম্যানেজ করতে হয়। কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলের জন্মদিন পালন করলাম। আমার স্ত্রী জানে আমি বই পড়তে অনেক ভালোবাসি।
বাসায় যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ বই নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এটা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। আমার মা থেকে শুরু করি সবাই বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য পড়াশোনা করি। পড়াশোনার রেওয়াজটি আমার ঐতিহ্যগত ভাবে পাওয়া। তাই বিভিন্ন অকেশনে আমি বই উপহার পেতে অনেক পছন্দ করি। তাই স্ত্রী আমাকে এই কয়েকটি বই উপহার হিসেবে প্রদান করে।
হেলাল হাফিজের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ যে জলে আগুন জ্বলে এই বইটি আমার স্ত্রীর কাছ থেকে উপহারস্বরূপ পাই। যদিও এই বইয়ের কপি আমার আগে থেকেই ছিল। তবে নতুন বই পেলে আমার পড়তে অনেক ভালো লাগে। বিখ্যাত এই কবি 1948 সালে জন্মগ্রহণ করেন। এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতা হল নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়, বেদনা বোনের মত, তোমাকেই চাই অশ্লীল সভ্যতা এই কবিতাগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।
যেহেতু ইদানিং লেখালেখিতে হাত দিয়েছি তাই এই বইটি আমার অনেক প্রয়োজন ছিল। এই বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। লেখালেখিতে আমি কিছু ভুল করতে ছিলাম তাই আশা করছি এই ভুলগুলো আমি ক্রমান্বয়ে কাটিয়ে উঠতে পারবো।
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের তিনি অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ কবি। বাংলা প্রতিবাদী কাব্যধারায় রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ অনিবার্য নাম। তার বিভিন্ন কবিতা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ উচ্চারণ অসম শোষণ স্বৈরাচার তাকে হিসেবে পাঠক সমাজে পরিচিত করেছে। তার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি বিতর্কিত তসলিমা নাসরিনের স্বামী। বহু গুণের অধিকারী এই তরুণ কবি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার লেখা ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো এখনো মানুষের মুখোমুখি রয়েছে।
আমার স্ত্রী প্রদত্ত এই বইটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে ।আমি মনে করি এটা আমাকে আমার স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ উপহার। নজরুল আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় একজন কবি। আমি প্রায় নজরুলের কবিতা, নিজে মনে মনে আবৃত্তি করি। তার কবিতা আমার হৃদয় সবসময় দোলা দেয়।
জীবনানন্দ দাশ আমার প্রিয় একজন কবি। এই কবিতা সমগ্র উপহার পেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।
আমি মোঃ সাইদুর রহমান সরকার পেশায় একজন ব্যাংকার। হাই স্কুল জীবনে ছড়া, ছোট গল্প ও কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই লেখালেখির কাজটি অবহ্যাত রাখতে পেরেছিলাম। বই পড়া এবং বই সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে । আমি জীবনে একজন ভালো মনের মানুষ এবং ভালো মানের একজন লেখক হতে চাই । আমি প্রতিদিন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। প্রতিদিন একটু একটু করে আমার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পানে এগিয়ে যেতে চাই। আমার সমস্ত কর্ম তৎপরতা আমার স্বপ্নকে ঘিরে। এটা আমার আজন্ম সাধনা। আমার জন্য দোয়া করবেন।
আপনি যে একজন বইপোকা সেটা বেশ পরিষ্কার। এবং পারিবারিক ভাবে বই পড়া ঐতিহ্য এইরকমটা তো এখন দেখাই যায় না। এবং নিজের স্ত্রীর থেকে বই উপহার পাওয়ার থেকে ভালো কিছু আর হতে পারে না। যাইহোক অনেক ভালো লাগল আপনার পোস্ট টা দেখে।ধন্যবাদ আপনাকে।।
পরিবারের সবাই বই পড়তে অনেক অভ্যস্ত এবং আমাদের বাসায় যে লাইব্রেরী আছে তা একটি ছোটখাটো ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরীর সমান।
বইয়ের চেয়ে দামি উপহার আর কিছু আছে বলে মনে হয়না। কিন্তু আফসুস এমন উপহার কখনো পাওয়া হয়না।
শুনে খুব ভাল লাগলো আপনি সহ আপনার পরিবারের সবাই বই প্রেমি। সবাই মিলে একসাথে বই পড়ার আনন্দ নিতে পারেন।
ভাবি কে আমার পক্ষ থেকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিবেন এমন অমুল্য উপহার গুলো প্রদান করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন আলহামদুলিল্লাহ।