শখের কবুতর পোষা হতে পারে আয়ের উৎস
০৯ আগস্ট ২০২২, মঙ্গল বার
আসসালামু অলাইকু/নমস্কার
আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় পাঠকগণ আমার সালাম নিবেন ।আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আপনারা সবসময় ভালো থাকুন এই কামনা করি। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের কিছু যুবকদের মাঝে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী কাজ করার আগ্রহ আমাকে অবাক করেছে। আমার মনে হয় সরকার যদি এতে বিনিয়োগ করতেন তাহলে বেকার সমস্যা সমাধান হওয়ার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যুবকরা ও নিত্য নতুন কাজ করতে মনোযোগ দিতো। এমনই একটি কাজ কবুতর পোষা। বর্তমানে দেশের প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক যুবক শ্রেণী শখের বসত কিংবা বিনোদনের জন্য কবুতর পালন করে।
গত শনিবার যে উপজেলায় চাকরি করি সেই জেলার সদরের বাজারে গেলে আমি কবুতরের বাজারে দেখতে পাই। তখন দেখি প্রায় ১০০ জন এর মত যুবক বিভিন্ন ধরনের কবুতর কবুতরের বাচ্চা ও ডিম ও কবুতরের খাবার নিয়ে এসেছে। জানতে পারি এখানে প্রতি শনিবার বাজার বসে । কেউ কবুতর বিক্রি করতে আসে কেউ কবুতর কিনতে আসে। অনেকেই বলেন তারা বিনোদনের জন্য কবুতর পোষে। অনেকে জানায় প্রথমে একজোড়া কবুতর নিয়ে শুরু করলেও এখন তাদের প্রায় ৫০ জোড়া কারো ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে। একেক কবুতরের এক এক ধরনের দাম রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে শখের বসতি কবুতর পোষার সংখ্যা বাড়ছে। অনেক জায়গায় আবার কবুতরের রেসিং হয়।
কবুতর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে। কবুতরের সৌন্দর্যমুক্ত হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আগে কিন্তু কবুতর এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হতো। কোথায় এখন অতীত। বর্তমানে দেশে এমনও কবুতর আছে যেগুলো জোড়া এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। হোমার জাতের কবুতর রেসিং এ ব্যবহার করা হয়। বাজারে আগন্তুক কয়েকজন জয়নাল তোমার জাতের কবুতর ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করুন আর লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়।
কবুতর যে অনেকে শখের বশত পোষে তাই নয় অনেকে আবার তাদের সময় কাটাতেও কবুতর পালন করে। বিশ্বে প্রায় ৭০০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে বাংলাদেশে তার ৩০ প্রজাতির কবুতর পোষা হয় । পোষা পাখিদের মাঝে কবুতর অন্যতম। অনেকে কবুতর উড়াতে খুব ভালোবাসেন। হাততালি দিলে কবুতর আকাশে উড়ে হাততালি দিলে তার মালিকের কাছে ফিরে আসে এ বিষয়টি মানুষকে অনেক আনন্দ দেয়।
কবুতর যে শুধু বিনোদনের উৎস তাই নয়। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবক একে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কারণ কবুতরের ডিম ও কবুতর বিক্রি করে তারা প্রচুর পরিমাণ টাকা উপার্জন করছেন। কারণ কবুতর পালন করতে তাদের বেশি জায়গা ও টাকার প্রয়োজন হয় না। কবুতরের মাংস অনেক পুষ্টিকর খাবার তাই অনেকে কবুতরের বাচ্চা কিনে নেয়। বর্তমানে অনেক বেকার শ্রেণী কবুতর পালন বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি তাদের লেখাপড়ার ব্যায়ভার বহন করার পাশাপাশি সংসারও পরিচালনা করছে।
বাজারে আসা অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় কবুতর পালনের জন্য তাদের নির্দিষ্ট কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এবং সব সময় ওষুধ পত্র সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। অভিমত সরকার যদি উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে তাহলে কবুতর বাংলাদেশের বৈদেশিক রপ্তানির অন্যতম একটি উৎসাহ হতো।
তাই আজকে এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন লেখায়।
বিভাগ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | vivo y33s |
লোকেশন | https://whatw3words.com/unexciting.tout.gridlocked |
ফটোগ্রাফার | @mosaidur |
কি বলেন একজোড়া কবুতর নিয়ে শুরু করে তাদের এখন ৫০ জোড়া 100 জোড়া কবুতর। তাহলে তো তারা তাদের শখ পূরণ এমনকি লাভবান দুটোই হতে পেরেছে। আমার কাছেও কবুতর দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এমনকি কবুতর পালন করতে ও ভীষণ ভালো লাগে।
আমাদেরও কয়েক জোড়া কবুতর ছিল, কিন্তু সেগুলোর পরবর্তীতে পোষা হয়নি, কিছু কবুতর হারিয়ে গেছে কিছু কবুতর মারা গিয়েছিল তার পরে আর কবুতর পালন করা হয়নি।
আসলে এই ধরনের জিনিসগুলো শুরু করলেই অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায় পরবর্তী সময়ে। যদিও কবুতর আমার কাছে পালন করতে খুব একটা ভালো লাগেনা এটা পালন করার জন্য অনেক জায়গার প্রয়োজন হয়। এই জন্য আমি সৌখিন পাখি পালন করতে শুরু করে দিয়েছি।
আমি কবুতর পালন করতে খুব ভালোবাসি। এবং কবুতর আমার বাসায় একজোড়া থেকে এখন ১৫ জোড়া আমার অনেক শ খ যে আমি অনেক দামী দামী কবুতর পালন করব ধন্যবাদ এতো সুন্দর পৌষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।