সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন শেষ পর্ব
প্রিয় ব্লাগার বন্ধুরা আসাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমার কাছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন ছিলো সকল ভ্রমনের চেয়ে বেশি ভালোলাগার ভ্রমন। আর এই ভ্রমনের সবচেয়ে ভালো দিন ছিলো শেষ দিন।
কথায় আছে 'শেষ ভালো যার সব ভালো তার' এই কথাটার যথার্থ মূল্য পেয়েছে এই শেষ দিনে।
যারা পূর্বের পর্ব গুলো দেখেননি, দেখে নিতে পারেনঃ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন - প্রথম পর্ব
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন - দ্বিতীয় পর্ব
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমন - তৃতীয় পর্ব
আজ আপনাদের সাথে সেয়ার করবো সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর শেষ দিন এর চলাচল।
দিনের শুরুটা হয় দেরিতে ঘুম থেকে উঠা নিয়ে। কারন ভ্রমন শুরু থেকে এই রাত ছাড়া ঘুমানো হয়নি। যেহেতু ঘুমাতে বেজেছিলো রাত ২টার মত। যাইহোক যখন ঘুম থেকে উঠি তখন প্রায় ৯টা বাজে, আমাদের সিডিউলে ৯:২০ মিনিটে সকালের নাস্তার সময়।
একটু তারাহুরো করে ফ্রেশ হয়ে নেই এবং খাবারের স্থানে রওনা হই।
সেখানে বেশির ভাগ লোক আমার মতই লেট করেছে। কিন্তু, যারা অনেক সকালে উঠেছে তারা সেন্টমার্টিন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছে অনেক ভালো করেই। যেটা আমার কপালে জোটেনি।
নোটঃ আপনাদের আমি গত পর্বে বলেছিলাম টাইম মেইনটেইন করার কথা। যেটা আমি করতে পারিনি। এইটা আমার ভুল ছিলো, যদি সকাল ৬টায় উঠতে পারতাম তাহলে আরো তিন ঘন্টা বেশি করে সেন্টমার্টিন এর স্বাদ নিতে পারতাম।
খাবার শেষ হতে ১০ টা বেজে যায়,
দেরি করে ফেলেছি ভেবে আমার চলাচলের গতি বৃদ্ধি হয়ে যায়।
পানিতে ভেজার প্রস্ততি নিয়ে চলে যাই বিচে, সেখানে দুজন মিলে একটা রেস্টিং চেয়ার ভাড়া করি।
সেই সময় দেখা মিলে রঙিন আইস বিক্রেতার, এই আইস গুলো ছোট বেলায় টিভিতেই দেখেছি, তাই আইস এর স্বাধ গ্রহন করি।
ছবিঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সকাল ১০:৪২
রিভিউঃ আইস এর সবুজ অংশ ঝাল দেয়া, মানে কাঁচা মরিচ দেয়া, আর অরেঞ্জ টুকোতে দেয়া অরেঞ্জ ফ্লেভার।
আরো ফ্লেভার যোগ করার সুযোগ ছিলো, কিন্তু তখন আইস খাওয়ার প্রতি সেরকম মুড ছিলো না। তাই পছন্দ মত ফ্লেবার দিতে বলেছিলাম।
সেখানে নিয়ে আসা কাপর রেখে নেমে পরি সাগরের নীল পানিতে।
ছবিঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সকাল ১০:৫১
ডিভাইসঃ ক্যানোন ৭০ডি, লোকাল ক্যামেরা ম্যান
পানিতে ভিজতে ভিজতে কখন যে সময় চলে যায় বুঝতেই পারি নাই।
সবশেষে সেখানেই ভেজা কাপর চেন্জ করে উত্তাল সমুদ্রের ঢেও উপভোগ করতে থাকি।
ভিডিওঃ স্লো-মোশনে, সেন্টমার্টিন নীল দিগন্ত বিচ
এই মূহুর্তটাই সেরা ছিলো, সেন্টমার্টিন দ্বীপ তার সৌন্দর্য প্রকাশ করতেছিলো।
কিন্তু সময়টা দৈর্ঘ্য মেয়াদি ছিলো না।
কিছুক্ষণের মাঝে ডাক পরে যায়, দুপুরের খাবারের, খাবার শেষ করে রুম চেক আউট করতে হবে। এবং ৩টার পূর্বে শিপ ধরতে হবে।
যেহেতু ট্যুর শিডিউল ঠিক রেখে চলতে হবে, তাই আর ইচ্ছে থাকলেও থাকা হবে না।
দেরি না করে চলে যাই দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য।
খাবারের আয়জনে ছিলো নাম না জানা সামূদ্রিক মাছ, এটাও যেনো নতুন কোন মাছের স্বাদ।
যাইহোক খাবার শেষ করেই রুমে যাই এবং ব্যাগ গুছিয়ে রওনা হই। সবাই তারাহুরো শুরু করে দিয়েছিলো,,,,
এর পেছনেও অন্য একটা কাজ পরে ছিলো, আর সেটা হলো কেনাকাটা করা।
শিপে ফেরার পথেই বাজার, কিন্তু সময় অনেকটাই কোম ছিলো। আর এই তারাহুরোতে কোন ছবিও তোলা হয় নি।
বাজারে প্রচুর ভীর ছিলো, তাই কেনাকাটা করেও তেমন শান্তি পাচ্ছিলাম না। তাই হাল্কা উপরেই শেষ করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ কে বিদায় জানিয়ে শিপে উঠে পরি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমনের পূর্বেও অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি। কিন্তু, সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর মত এত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোথাও পাই নাই।
আমাকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ এর সৌন্দর্য এখনো ডাকে,,,
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘুরতে ঘুরতে শেষ পর্বে চলে এসেছেন আগের সবগুলো পর্ব যদিও দেখা হয়নি তবে দুইটা পর্ব দেখেছিলাম যাইহোক এ পর্বে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি সমুদ্দুরের সেই সাথে আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো যদিও যাওয়া হয়নি তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলা দেখে কিছুটা হলেও মনকে আসস্থ করতে পারলাম
ছবির দেখার চাইতে, নিজ চখে দেখলে আরো প্রশান্তি পাবেন। আপনার মন্তব্য পরে খুবই ভালো লাগলো, আপনি এর পূর্বের আরো দুইটা পর্ব দেখেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ
আমি শুধু কক্সবাজার পর্যন্ত গিয়েছিলাম কিন্তু সেন্টমার্টিনে যাওয়া হয় নাই। তবে আশা আছে অল্পতেই যাওয়া। আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটি সাজিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক বেশি শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য সেনমার্টিন অপেক্ষা করছে। আমি সেনমার্টিন দ্বীপ ভ্রমনের পরে, কক্সবাজার গিয়েছিলাম। ভালো লাগেনি কক্সবাজার
অবশেষে আমরা শেষ পর্বে এসে পৌছালাম। আপনার এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল যদিও এখন পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়া হয়নি তবে খুব ইচ্ছে আছে খুব দ্রুতই সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাব। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে পর্ব আকারে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দোয়া করি আপনার ইচ্ছেটা তারাতারি যেন পূর্নতা পায়। পোষ্টি মনযোগ দিয়ে দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ
এমন সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলে ,আসলে মন যেমন অনেক ভালো হয়ে যায় তেমনি ভাবে কিন্তু এসব জায়গায় সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে আপনারে ফটোগ্রাফি গুলো। সত্যিই এইসব জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয়নি তবে যাওয়ার আগ্রহটা অনেকাংশে বেড়ে গেল.
অসাধারণ লিখেছেন এবং ভিডিও সহ আপনার পোস্টটিকে আপনি অতুলনীয় করে তুলেছেন মামুন ভাই। আমারও ইচ্ছা আছে নাম না জানা সামুদ্রিক মাছ খেতে অনেক টেস্টি সেই মাছগুলো। দোয়া ভালোবাসা সেই সাথে শুভকামনা আপনার জন্য।
দোয়া করি আপনার মনের আসা পূরন হোক। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মেহেরবান ভাই