আকাশের স্বপ্ন পূরণ ( ষষ্ঠ পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রক্ত দেয়া শেষ হলে ডাক্তার আকাশের বাবাকে বললো আপনি আরো কয়েক ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করুন দ্রুত। এখনই আপনার ছেলেকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে হবে। এর ভেতরে সেই ছেলেটার বাবা তার পিএ কে বলল দ্রুত এ পজেটিভ রক্ত আছে এমন কিছু লোক যোগাড় করো। সময় খুব কম। আকাশ তখন বুঝতে পারেনি ছেলেটার বাবা দেশের নামকরা একজন শিল্পপতি। দেখতে দেখতে সেখানে তার প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মচারী চলে এলো। সবাই এসে রক্ত দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে রইল।

1000001163.png

শেষ পর্যন্ত সফলভাবে ছেলেটার অপারেশন শেষ হোলো। ডাক্তার যখন বলল ছেলেটা বিপদমুক্ত তখন আকাশ ছেলেটার বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মেসের দিকে ফিরতে লাগলো। তবে লোকটা আকাশ বিদায় নেয়ার সময় তার মোবাইল নাম্বারটা চেয়ে রেখেছে। পরদিন সকালে আকাশ টিউশনি করে ফেরার পথে মনে করলো ছেলেটাকে একবার দেখে যায় কি অবস্থায় আছে। হাসপাতালে গিয়ে আকাশ শুনতে পেল ছেলেটাকে তার বাবা ঢাকায় নিয়ে গিয়েছে। ছেলেটা কে না পেয়ে আকাশ তার মেসে ফিরে এলো।

এভাবে কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর একদিন সকালে আকাশের কাছে একটা ফোন এলো। প্রথমে আকাশ ফোনের ও প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে চিনতে পারল না। পরবর্তীতে তিনি যখন তার পরিচয় দিলেন। তখন আকাশ বুঝতে পারলো লোকটা সেই ছেলেটার বাবা। তিনি আকাশকে বললেন তুমি আগামীকাল সকালে আমার অফিসে এসে এক কাপ চা খাবে। আকাশ সম্মতি জানিয়ে ফোনটা রেখে দিলো। পরদিন সকালে আকাশ টিউশনিতে না গিয়ে গেলো সেই লোকটার সাথে দেখা করতে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Sort:  
 yesterday 

লোকটা তো দেখছি আসলেই খুব ভালো। এতো বড় শিল্পপতি হওয়ার পরেও লোকটা আকাশের উপকারের কথা ভুলেনি। আকাশ সেই লোকের সাথে দেখা করার পর মনে হচ্ছে আকাশের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে। বেশ ভালো লাগলো এই পর্বটা পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।