"১০০ বছরের পুরনো রহস্যময় ভুতুড়ে বাড়ি"
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৪ ই এপ্রিল, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল। আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ঈদের ছুটিতে নিজেদের বাড়িতে আসার পরে পরিবারের সাথে মামা বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার মামা বাড়ির পাশেই ১০০ বছরের একটি রহস্যময় পুরনো ভুতুড়ে বাড়ি রয়েছে সেই বাড়িটি দেখতে গিয়েছিলাম। আমি সেই একশ বছরের পুরনো রহস্যময় ভূতের বাড়ি দেখার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার মামার বাড়ি থেকে মিনিট পাঁচেক এর মতো পথ হাঁটলেই একশত বছরের পুরনো একটি বাড়ি আছে সেদিন সেখানেই গিয়েছিলাম । অনেকে বাড়িটাকে ভুতুড়ে বাড়িও বলে। লোকের মুখে শোনা যায় প্রায় ১০০ বছর হলো ওই বাড়িতে কেউ থাকেনা। বাড়িতে কেউ না থাকতে না থাকতে পুরনো হয়ে গেছে ইটগুলো খসে পড়ছে বাড়িতে ফাটল ধরেছে।
কত বড় একটা বাড়ি ছিল কে জানে কিসের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল ওই বাড়ির মালিকরা। ঘটনাটি অজানা। কেউ বলে রাতারাতি নাকি কোন এক সমস্যার কারণে বাড়ি থেকে সবাই চলে যায় আর বাড়িটি পড়ে থাকে প্রাক্তন বাড়ি হিসেবে। ওই বাড়িতে কেউ আর এখন যায় না। অনেকেই দেখতে আসে বাড়িটি। বাড়িটির মধ্যে ভুতুড়ে একটা ভাব আছে।
আমরা সেদিন দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রায় তিনটার দিকে গিয়েছিলাম বাড়িটি দেখতে। আমার এমনিতে পুরনো বাড়ি দেখতে অনেক ভালো লাগে। অনেকেই বলে বাড়িটিতে নাকি গুপ্তধন আছে। আছে কিনা জানিনা লোকের মুখে শোনা কথা। প্রথমে বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখলাম জঙ্গল হয়ে গিয়েছে বাড়িটির আশেপাশে। বাড়িটির বারান্দায় নাকি দু একজন লোক ওঠে ভিতরে কেউ যায় না।
বাড়িটির বারান্দায় উঠে চারপাশ দেখলাম কিছু ছবি তুলে রাখলাম। আমি আমার মায়ের সাথে গিয়েছিলাম।ছোটবেলায় মা বলতো যেখানে মা থাকে সেখানে ভয় থাকে না। কথাটা আমি এখনো বিশ্বাস করি। মাকে বললাম চলো না মা উপরে যাই। মা বলল না যেতে হবে না। বাড়িটি দুটো বিল্ডিং এর মধ্যে যে বিল্ডিংটা ছোট সেই বিল্ডিংটার ছাদে নাকি কেউ কেউ ওঠে। আমি উঠতে চাইলাম কিন্তু মা উঠতে দিল না।
তাও আমি বাড়ির কয়েক সিঁড়ি উপরে উঠলাম কিছু ছবি তুললাম সেখানকার ভয় ভয় লাগছিল একটু তাই আর উপরে ওঠেনি। বাড়িতে এখনো তালা বন্ধ কি জানি কি আছে বাড়িটির ভিতরে অনেক জানতে ইচ্ছে হলো। তারপর আমরা বাড়ির সিঁড়ি থেকে নেমে আসলাম তারপর বাড়ির যে বড় বিল্ডিং টা আছে সে বড় বিল্ডিংটার পিছনে আসলাম। পিছন থেকে বাড়িতে দেখতে বেশ সুন্দর কোনটা বাড়ির সামনে আর কোনটা বাড়ির পিছন বোঝায় যাচ্ছিল না বাড়ি দেখে।
বাড়ির পিছনটাতে অনেক জায়গায় দেখলাম অনেক সুন্দর কারুকাজ করা। তারপর আমরা আরও কিছুক্ষণ বাড়িতে থেকে বাড়ির চারপাশগুলো ভালোভাবে দেখলাম তারপর সবাই মিলে চলে আসলাম।
অনেকগুলো প্রশ্ন মনের মধ্যে জাগে। সময় পেলে আবার কখনো যাব ওই বাড়িটি দেখতে সেদিন বাড়ির ভিতরে যাব ইচ্ছা আছে।
আমার এখনো কৌতুহল হয় বাড়িতে কি এমন আছে আছে?
সত্যি বাড়িতে গুপ্তধন আছে?
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৮ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
এই রকম একটি পরিত্যক্ত বাড়ি এবং জমি ভুমিখেকোদের দখলে যায়নি এখনো, এটাই একটা আশ্চর্যের বিষয়!
ধন্যবাদ আপনারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে।
বাড়িটি দেখার পর আমিও এটাই ভেবেছিলাম এখনো দখল কেন হয়নি বাড়িটি।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
পরিত্যক্ত বাড়িতে জ্বীন-ভূত থাকার সম্ভাবনা এমনিতেই বেশি থাকে। আর এই বাড়িটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে,অবশ্যই জ্বীন-ভূত আছে। এমন ভূতুড়ে বাড়ির ছাঁদে উঠতে না দিয়ে আপনার মা খুব ভালো কাজ করেছেন। কারণ বাড়ির ছাঁদে গেলে কি না কি হয়ে যায়, সেটা তো বলা যায় না। আবার দুপুর ৩ টার দিকে গিয়েছিলেন আপনারা, আর দুপুরের সময় জ্বীন-ভূতের আনাগোনা থাকে অনেক সময়। তবে পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভূত জীন কি সত্যি আছে?
পুরনো বাড়ি সম্পর্কে জানতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আপনি ঠিকই বলেছেন মা হয়তো যেতে না দিয়ে ভালোই করেছেন। মায়ের কথা শোনা উচিত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
জ্বীন-ভূত অবশ্যই আছে এবং এটা বিশ্বাস করতে হবেই। জ্বীনেরা বিভিন্ন ধরনের রূপ ধারণ করে। যেমন সাপ, বিড়াল এবং আরও অনেক কিছুর রূপ ধারণ করে।
আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বাড়িটি দেখতে অনেক পুরনো একটি বাড়ি মনে হচ্ছে। আর এরকম পুরনো বাড়ি সম্পর্কে জানতে এবং এরকম পুরনো বাড়ি দেখতে আমারও খুবই ভালো লাগে। হয়তো জনমানুষ শূন্য এরকম বাড়িতে ভূতের আস্তানা থাকতে পারে, আবার এরকম বাড়িতে গুপ্তধন থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। যাহোক চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার অনেক ভালো লাগে পুরনো বাড়ি সম্পর্কে জানতে। গুপ্তধন কি আদৌ আছে মানুষ বলে আছে জানিনা কি আছে ভিতরে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।