বাংলা নাটক রিভিউঃ- এরেঞ্জ লাভ (Arrange Love)
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। যদিও আম্মু বেড়াতে যাওয়ার কারণে অনেকটা ব্যস্ততায় সময় পার হচ্ছে। যাই হোক। আজ আপনাদের সাথে একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। নাটক টি গ্রামে যেয়ে দেখেছিলাম। ভালোই লেগেছিলো। তাই এর রিভিউ শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
নাটক এর ইউটিউব লিংক -
| নাটক | এরেঞ্জ লাভ |
|---|---|
| অভিনয়ে | অপুর্ব, তানজিন তিশা |
| পরিচালক | রুবেল হাসান |
| সম্পাদনা | ইসমাইল হোসেন |
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন একটু অন্য রকম নাটক। এরেঞ্জ লাভ আবার কি রকম হয়। হ্যা এটাও হয়। তা এই নাটক দেখলেই বুঝতে পারবেন। নাটকটি মূলত অপুর্ব ও তিশার বিয়ে নিয়ে। অপুর্ব প্রথমে মেয়ের ছবি না দেখেই হ্যা বলে দেয় যে মেয়ে দেখতে যাবে। মেয়েটি বিয়ে আগে শেষ পার্টি ভেবে বান্ধবিদের পাল্লায় পরে মদ খায়। এতে সে মাতাল হয়ে যায়। রাস্তা দিয়ে যখন আসছিলো তখন অপুর্বর গাড়ির সামনে পরে। অপুর্ব তো জানেনা এটি তার পাত্রি। সে মাতাল অবস্থায় বলে তার সামনে বিয়ে কিন্তু সে বিয়ে করতে চায়না। পরে অপুর্ব যখন মেয়ে দেখতে যায় তখন অবাক হয়। কারণ কাল যে মেয়েটি তার গাড়ির সামনে এসেছিলো এটি সেই মেয়ে। তারপর অপুর্ব বাসায় যেয়ে বিয়েতে না করে দেয়। কিন্তু মেয়েটি ভাবে যে অপুর্ব তাকে রিজেক্ট করেছে। তাই সে অপুর্বর কাছে যেয়ে বলে যে সে অপুর্বকে রিজেক্ট করেছে। তারপর অপুর্ব বাসায় যেয়ে মেয়েটিকে বোঝানোর জন্য কল দেয়। এভাবেই তাদের প্রেম শুরু হয়। কারণ দুজনেরই দুজন কে পছন্দ হয়েছিলো। অপুর্ব মেয়েটির পরের পাত্রকেও সিস্টেমে ভাগিয়ে দেয়। যেটি আর এখানে উল্লেখ করলাম না। শেষে তাদের মিল হয়। বাকিটা নাটকে দেখে নিয়েন।
এখান থেকেই নাটকের শুরু। যেখানে অপুর্ব তার পরিবারের সাথে বসে নাস্তা করছিলো। আর তার মা তাকে মেয়ের ছবি দেখালো। কিন্তু সে ছবি না দেখে বললো তোমাদের পছন্দই আমার পছন্দ। তারপর তার বাবা তার প্রশংসা করলো যে সে একজন আদর্শ ছেলে। এর পর অপুর্ব অফিস চলে যায়। অপুর্বর মা তখন মেয়েটির ছবি দেখে বলে বাহ কি সুন্দর মিস্টি চেহারার মেয়ে।
স্ক্রিনশট
এই সেই দৃশ্য যেখানে তিশাকে ড্রিংস করতে দেখা যায়। আসলে এগুলো করে ওর বান্ধুবিদের পাল্লায় পরে। বান্ধুবিরা বুঝিয়েছিলো যে সামনে তো বিয়ে একটু মজা করে নে। তারপর সে বাসায় মিথ্যা বলে এখানে এসেছিলো। কিন্তু মদ খাইতে খাইতে এতই মাতাল হয়ে যায় যে বাকি দুই বান্ধুবির হুস থাকেনা। তারপর তিশা একা একা চলে আসতে নেয় আর আপুর্বর গাড়ির সামনে পরে। ভাগ্যিস অপুর্ব ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলো।
স্ক্রিনশট
পরের দিন তিশাকে দেখতে অপুর্ব ও তার পরিবার আসে। গতকাল রাতেও এ বাসায় এসেছিলো। কিন্তু জানতোনা যে এটাই পাত্রীর বাড়ি। অপুর্ব একটু অবাক হয়। তারপর ভিতরে যেয়ে মিস্টি খায়। যখন মেয়ে আসে তখন তো দুজন দুজন কে দেখে অবাক হয়। তারপর অপুর্ব কিছু কথা জিজ্ঞেস করে। তারপর বাসায় যেয়ে সে এই বিয়ে না করে দেয়। আর বাসার সবাইকে বলে বিয়ের জন্য যেনো চাপ না দেয়।
এখানে তিশার বাবা গিয়ে যখন বলে মেয়েটিকে রিজেক্ট করে দিয়েছে তখন তিশা খেপে যায়। তার বাবার ফোন থেকে ছেলের নাম্বার নিয়ে ছেলের সাথে মিট করে। ছেলেটি হ্যান্ড শেক করতে আসলে ঘুসি মারে। তারপর রাগ ঝারে। অপুর্ব কে বলে তুমি কি আমাকে রিজেক্ট করেছো আমি তোমাকে উলটো রিজেক্ট করলাম। অপুর্বকে কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়নি।
শেষে তিশার বাসায় আবার পুরো ফ্যামিলি নিয়ে আসে। এবার বিয়ের কথা ভালো মতন পাকা পোক্ত হয়। আর কিছু বলছিনা বাকি সব নাটক দেখে বুঝে নিবেন।
সম্পুর্ন মুভিটি দেখে আমি ৮/১০ রেটিং দিলাম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিঊ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু। নাটকটি দেখতে পারেন সময় পেলে।
আপনি চমৎকার নাটকে রিভিউ দিয়েছে। দেখে খুব ভালো লাগলো। এরেঞ্জ লাভ নাটকটি আমি দেখেছি বেশ ভালো লেগেছে আমার। নাটকের চরিত্র, সংলাপ এবং দৃশ্যপট গুলো খুবই অসাধারণ । নাটকটি দেখে অনেক কিছুই বুঝে যায়। নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হুম চরিত্র সংলাপ সব ভালো ছিলো।
এই নাটক আমি দেখেছি অনেক সুন্দর একটি নাটক। আমার কাছে এই নাটক অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আবার নাটকের রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
হুম আপু। আমার কাছে নাটকটি ভালো লেগেছে অনেক।
নাটকটি আমি দেখেছিলাম। তাই আর পুরো রিভিউটি পড়তে হয়নি। আমার কাছে সব সময় খুব ভালো লাগে অপূর্বের নাটক গুলো। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর এই নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এতে করে ভালো হয়েছে। নাটক টি খুবই সুন্দর ছিলো।
নাটক আমার অনেক প্রিয় আর সময় পেলেই নাটক দেখতে ভুল করি না ৷ বিশেষ করে অপূর্ব নাটক সত্যি অনেক ভালো লাগে ৷ যা হোক শেষ মেষ তাহলে বিয়ে পাকা পক্ত হয়েছে ৷
অপূর্বের নাটক গুলা সত্যি দারুণ হয়ে থাকে।
আপনি অনেক চমৎকার একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আমি অবশ্যই নাটক দেখিনি কিন্তু আপনার নাটকটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে নাটকটি অনেক চমৎকার। নাটকের চরিত্র সংলাপ দৃশ্য পাঠ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যেহেতু দেখা হয়নি তবে কোন সময় নাটকটি দেখে দেখার জন্য চেষ্টা করব।
জ্বি ভাইয়া। সময় পেলে ইউটিউব থেকে দেখতে পারেন।
খুবই অসাধারন একটি নাটকের রিভিউ করেছেন।পড়ে ভালো লাগলো।যদিও নাটকটি দেখা হয়নি, তবে রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছে খুব ভালোই হবে।এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদিন দেখে ফেলতে পারেন সময় করে।
নাটকটি বেশ সুন্দর ছিল মনে হচ্ছে। কাহিনী পড়ে তো তাই মনে হল। আসলে অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবীদের পাল্লায় পড়ে অনেককেই এভাবে বিপদে পরতে হয়। তিশাও সেরকম বান্ধবীদের পাল্লায় পরে মদ খেয়ে অপূর্বর গাড়ির সামনে গিয়েই পড়েছে। যাই হোক প্রথমে বিয়ে ভেঙ্গে দিলেও পরে মোবাইলে গল্প করতে করতে মিল হয়ে গেল । সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকের কাহিনী উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম। আজব এক প্রেম কাহিনী ছিলো। তবে দারুণ।