স্পোর্টস : চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির বড় জয় //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির বড় জয়
- ২৭, নভেম্বর ,২০২৫
- বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ Kirar tv থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
| চেলসি | বার্সেলোনা |
|---|---|
| মোট শট-১৩ | মোট শট-০৫। |
| টার্গেটের শট-০৫ | টার্গেটের শট-০৩। |
| দৈর্ঘ্য | ৯০ মিনিট । |
| বল পজিশন -৫২% | বল পজিশন -৪৮% |
| পাস করে -৪৫১ | পাস করে -৩৫৮ |
| পাস নির্ভুলতা-৯৪% | পাস নির্ভুলতা-৮৯% |
| ফাউল-১৮ | ফাউল-১২ |
|---|---|
| হলুদ কার্ড- ০১ | হলুদ কার্ড - ০১ |
| রেড কার্ড- ০০ | রেড কার্ড-০১ |
| অফসাইডস-০৬ | অফসাইডস-০১ |
| কোণ-৪ | কোণ- ০০ |
| সময়কাল রাত ২.০০ টায় | ২৬.১১.২০২৫ইং |
| ফলাফল : | চেলসি-০৩ বার্সেলোনা-০০ |
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আমার কাছে খেলাধুলা খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আলাদাভাবে নেশাটা রয়েই গেছে। এখনো সময় পেলে ছোট ভাই ব্রাদারের সাথে এলাকায় খেলাধুলার মেতে ওঠা। যেটা অনেক বড় একটি নেশা খেলাধুলা শরীরের পক্ষে যেমন ভালো তেমনি মানসিক সকল ধরনের অবসাদ দূর করে দেয়। ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ফিরে যেতে মন চায়। আসলে সেই স্বাধীন মুহূর্ত চাইলে যখন তখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠতাম এখন আর পারি নাহ। মাঝে মাঝে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলা গুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি আর খেলাধুলা এখন নিয়মিত না করা হলেও রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাসটা এখনো রয়েই গেছে।
চেলসি পুরো ম্যাচে বার্সেলোনাকে একেবারে ছন্দহীন করে দেয়। স্কোরলাইন ৩–০ হলেও খেলাটা আরও বড় ব্যবধানে যেতে পারত। প্রথমার্ধে বার্সেলোনা কিছুটা প্রতিরোধ করলেও দ্বিতীয়ার্ধ ছিল সম্পূর্ণ চেলসির নিয়ন্ত্রণে। বার্সা ডিফেন্সে ভুল, মাঝমাঠে ধীর গতি, আর আক্রমণে ধারহীনতা — সব মিলে তাদের দিক থেকে এটি ছিল হতাশাজনক এক পারফরম্যান্স।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে জুল কুন্দের আত্মঘাতী গোল চেলসিকে শুরুতেই এগিয়ে দেয়। এতে বার্সেলোনার ডিফেন্সের অস্থিরতা স্পষ্ট হয়। বিরতির পর এস্তেভাওয়ের দুর্দান্ত গোল (৫৫’) চেলসির গতি দ্বিগুণ করে দেয়। ৭৩’ মিনিটে লিয়াম ডেলাপ তৃতীয় গোল করে ম্যাচ নিশ্চিত করে দেন। বার্সার কোনো গোল না পাওয়া আসলে তাদের নিজেদের অদক্ষতারই ফল।
৪৪ মিনিটে রোনাল্ড আরাউহো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বার্সেলোনা কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। ১০ জন নিয়ে চেলসির পাসিং, প্রেসিং, উইং-গেম সামলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আরাউহো সাধারণত ডিফেন্সের হৃদপিণ্ড, তাকে ছাড়া কুন্দে–ক্রিস্টেনসেনদের সমন্বয় পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। সেই লাল কার্ডই ম্যাচের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট।
দুই দলই দখল প্রায় সমান করেছে (চেলসি ৫২%, বার্সেলোনা ৪৮%), কিন্তু পার্থক্য ছিল পাসিংয়ের মানে।চেলসির পাসিং ছিল দ্রুত, সরাসরি এবং আক্রমণাত্মক। অপরদিকে বার্সেলের পাসিং বারবার কাট হয়ে যায়, ফলে তারা কখনোই ধারাবাহিক আক্রমণ সাজাতে পারেনি।
চেলসির আক্রমণভাগ বার্সা ডিফেন্সকে পুরো ম্যাচ জুড়ে ব্যস্ত রেখেছে। উইং-থেকে কম্বিনেশন, থ্রু-পাস, বক্সে আগ্রাসী রান — সব কিছুই ছিল পরিকল্পিত। বার্সা আক্রমণে ছিল একেবারেই নীরব, লেভানডোভস্কি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন।
কিন্তু বার্সার একটি লাল কার্ড (আরাউহো) ম্যাচের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। চেলসির স্বাভাবিক প্রেসিংয়ের বিপরীতে বার্সা বারবার ভুল করেছে। ম্যাচের রেফারিং ছিল কঠোর কিন্তু ন্যায্য—আরাউহোর ফাউল সোজা লাল কার্ডই হওয়ার কথা ছিল।চেলসি এই ম্যাচে দেখিয়েছে কিভাবে গতি, প্রেসিং ও ট্যাকটিক্স দিয়ে বড় ক্লাবকে কোণঠাসা করা যায়। তাদের খেলার পরিকল্পনা স্পষ্ট, সমন্বয় চমৎকার এবং সুযোগ মানায় সক্ষমতা দুর্দান্ত। অন্যদিকে বার্সেলোনার সমস্যা তিন জায়গায়—ডিফেন্সে সমন্বয়হীনতা, মাঝমাঠে গতি নেই, আর আক্রমণে ধার কম। আরাউহোর লাল কার্ড অবশ্যই ক্ষতি করেছে, কিন্তু তার আগেই বার্সা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এই ম্যাচ বার্সাকে বুঝিয়েছে যে স্কোয়াড ডেপথ, গতি ও ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন ছাড়া বড় ম্যাচ জেতা কঠিন।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ভিডিওর লিংক সমূহ
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।

















https://x.com/mahmudrr_r/status/1994095757859979386?t=7Dzi05xfedyqJVe-eqNJMQ&s=19
https://x.com/mahmudrr_r/status/1994096054283980917?t=mRMkOpJdo-eQgEcHTLajTw&s=19