ঈদের তৃতীয় দিন

in আমার বাংলা ব্লগ29 days ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। এই তীব্র তাপদাহে ভালো থাকার কথা নয়।সবাই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।তারপরও সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করছি।পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে নিজেকে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছি।আজ আমি আবারও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঈদের তৃতীয় দিনের সুন্দর কিছু মূহুর্ত।

ঈদের আগে থেকে প্ল্যান ছিল ঈদের তৃতীয় দিন ভাইয়া ভাবি আসবে। ভাইয়া ভাবি বলতে আমার নিজের ভাইয়া ভাবি নয় আমার ছোটফুপুর ছেলে ও তার ওয়াইফ নিয়ে আমাদের বাসায় আসবে। সকাল ১১ টায় ভাইয়া ভাবি চলে আসে।ঈদের সময় এজন্যই ভালো লাগে যেসব আত্মীয় স্বজনদের সাথে সচরাচর দেখা হয় না তাদের সাথে দেখা হয়।ভাইয়া ভাবি কে দেখে খুব ভালো লাগছিল।আম্মু অনেকরকম খাবার বানিয়ে রেখেছিল যেসব খাবার ভাইয়া পছন্দ করে। সেসব খাবার দেখে ভাইয়া তো অনেক খুশি।ভাইয়া ও তার মেয়ে মূলত এসেছে গাইবান্ধার সব আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করার জন্য সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ।

ভাইয়া আম্মুর বানানো সব খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েছিল অন্য আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করার জন্য।যাওয়ার আগে আমার মেয়েকে বলে গিয়েছিল বিকেলবেলা এসে আমাদের সবাইকে নিয়ে বালাসিঘাট যাবে। কিন্তু সব আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে যায়। আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায় আর সন্ধ্যার সময় তো বালাসিঘাট যাওয়া যাবে না। তাই ঠিক করি সবাই মিলে গাইবান্ধার পৌর পার্কে আবারো যাব। এবার আমি আমার মেয়ে আমার আম্মু ভাইয়া ভাবি ভাইয়ের মেয়ে সবাই মিলে একসাথে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি।

Uploading image #1...

পার্কে গিয়ে আগে বাচ্চাদের পছন্দের কাজ করতে হবে কারণ তা না হলে তারা শান্তি মতো ঘুরতে দিবে না। ঈদের দ্বিতীয় দিন আমার মেয়ে যে খেলনা গুলোতে খেলছিল দোলনা গুলোতে সেগুলোতে আমার মেয়ে আর আমার ভাতিজী দুজনেই খেলছিল। ওরা দুজনে বেশ ভালো বন্ধু হয়ে গেছে। ভাইয়া তো আগে গাইবান্ধায় পড়াশুনা করতো। পার্কে ঘুরতে ঘুরতে ভাইয়া বলছিল এখন পার্কে কত লোকজন আসে আগে তো পার্কে লোকজন দেখায় যেত না।

এবার পার্কে ঘোরাঘুরি শেষ করে খাওয়া দাওয়ার পালা। পার্কের আশেপাশে ফুচকা বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া। আমি চাচ্ছিলাম একটু অন্য রকম খাবার খেতে তাই পাশের একটা ছোট রেস্টুরেন্টে চলে যায় যেখানে এর আগেও আমি অনেক পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। ওই রেস্টুরেন্টের খাবার আমার মা ও অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই ওখানে গিয়ে আমরা সবাই সবার পছন্দের মত খাবার খেলাম।বেশ ভালোই মজা করলাম । এবার খাবার খাওয়া শেষে ভাইয়া ভাবিকে ঈদ সালামি দেবে তাই গোল্ডের দোকানে গিয়ে বেশ বড়সড়ো এই সালামি দিল ভাইয়া। আমি ভাইয়াকে বলেছি আমাদেরকে ভাবির এই সালামি উপলক্ষে একটা ট্রিট দেয়ার জন্য। সালামি হিসেবে ভাবিকে দুই ভরি গোল্ড কিনে দিয়েছে।গোল্ডের দোকান থেকে বেরিয়ে সোজা বাসায় চলে আসি।

রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে অনেক রাত পর্যন্ত গল্প হলো। পরদিন সকালে ভাইয়া চলে যাবে ঢাকায়।তাই সব গল্প শেষ করে ঘুমিয়েছি।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর সময় পার করেছি। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.33
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67617.45
ETH 3777.27
USDT 1.00
SBD 3.69